Pension Calculator: আপনার বেসিক স্যালারি কি ৫০০০০ টাকা? তাহলে ১৮, ২৫ এবং ৩৫ বছর ধরে চাকরি করার পর মাসে মাসে কত টাকা পেনশন পাবেন?
- Published by:Dolon Chattopadhyay
- Written by:Trending Desk
Last Updated:
Pension Calculation: পেনশনের সুবিধা পেতে হলে কমপক্ষে ১০ বছর চাকরি করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। ইপিএফ পেনশন ফর্মুলা অনুসারে কত টাকা পাওয়া যেতে পারে দেখে নিন।
চাকরিজীবীদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত রাখার জন্য পেনশন অপরিহার্য। আর পেনশনের সুবিধা পেতে হলে কমপক্ষে ১০ বছর চাকরি করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। তবে পেনশনের টাকা তোলার জন্য চাকরিজীবীদের বয়স ৫০ বছর অথবা ৫৮ বছর পূর্ণ হতে হবে। যদি চাকরিজীবী ৫০ বছর বয়স হওয়ার পরে পেনশনের টাকা তোলেন, তাহলে তাঁরা কম পরিমাণে এমপ্লয়ি পেনশন বা ইপিএস পাবেন। ইপিএস-এর সুবিধা চাকরিজীবী এবং তাঁর অবর্তমানে তাঁর পরিবারকে প্রদান করা হয়। তাহলে কারও বেসিক স্যালারি ৫০,০০০ টাকা হলে ১৮, ২৫ এবং ৩৫ বছর ধরে চাকরি করার পরে তাঁর ইপিএস-এর পরিমাণ কত হবে, সেটাই আজকের প্রতিবেদনে আলোচনা করে নেওয়া যাক! তবে তার আগে জেনে নিতে হবে, এই এমপ্লয়ি পেনশন স্কিম বা ইপিএস আসলে কী!
advertisement
এমপ্লয়ি পেনশন স্কিম (EPS) কী?চাকরিজীবীদের ৫৮ বছর বয়স পূর্ণ হওয়ার পর তাঁদের মাসিক পেনশন প্রদান করা হয় এমপ্লয়ি পেনশন স্কিম (EPS)-এর মাধ্যমে। কর্মচারীরা ৫০ বছর বয়সেও প্রাথমিক অবসর গ্রহণের বিকল্প বেছে নিতে পারেন এবং তখনও এর সুবিধা লাভ করতে পারেন।এমপ্লয়ি পেনশন স্কিম কীভাবে কাজ করে?নিয়োগকারী সংস্থা বা এমপ্লয়ার এবং চাকরিজীবী উভয়েই চাকরিজীবীর বেতনের ১২ শতাংশ করে ইপিএফ-এ জমা করে থাকেন। যদিও চাকরিজীবীর পুরো শেয়ার ইপিএফ-এ জমা হয়, অন্যদিকে নিয়োগকারী সংস্থার শেয়ার ৮.৩৩ শতাংশ এমপ্লয়িজ পেনশন স্কিম (ইপিএস)-এ এবং বাকি ৩.৬৭ শতাংশ ইপিএফ-এ জমা হয় প্রতি মাসে।
advertisement
এমপ্লয়ি পেনশন স্কিমের জন্য যোগ্য কারা?১. যাঁদের বয়স ৫০ বছর পূর্ণ হয়েছে, তাঁরা প্রাথমিক পেনশনের জন্য যোগ্য। আর ৫৮ বছর বয়সীরা আবার নিয়মিত পেনশনের জন্য যোগ্য।২. চাকরিজীবীকে অবশ্যই EPFO-র সদস্য হতে হবে।৩. চাকরিজীবীদের কম করে ১০ বছরের চাকরি জীবন সম্পন্ন করতে হবে।এমপ্লয়ি পেনশন স্কিমের সুবিধা:৫৮ বছর বয়সে অবসর গ্রহণের পরে একটি স্থিতিশীল আয়ের বিকল্প প্রদান করে এমপ্লয়ি পেনশন স্কিম (EPS)। কেউ যদি ৫০ বছর বয়সেও প্রাথমিক অবসর গ্রহণের বিকল্প বেছে নেন, তাহলে তিনি তাতেও এই সুবিধা পেতে পারেন। এছাড়াও, যদি কেউ ৫৮ বছর বয়স হওয়ার ১০ বছর আগেই চাকরি ছেড়ে দেন, তাহলে ৫৮ বছর বয়স পূর্ণ হওয়ার পর তিনি পেনশনের সম্পূর্ণ পরিমাণ তুলে নিতে পারবেন।
advertisement
ইপিএস নমিনেশনে কীভাবে বেনিফিশিয়ারি যোগ করা সম্ভব?EPS-এ নমিনেশনের সুবিধাও পাওয়া যায়। এর মাধ্যমে বিনিয়োগকারী বা চাকরিজীবী এটা বেছে নিতে পারবেন যে, তাঁর কিছু হয়ে গেলে কারা তাঁর পেনশনের সুবিধা পাবেন। এই স্কিমে নিজের স্ত্রী, সন্তান অথবা বাবা-মায়ের মতো পরিবারের সদস্যদের নমিনি বানাতে পারেন। যদি তাঁর পরিবার না থাকে, তাহলে তিনি যে কাউকে বেছে নিতে পারবেন।সর্বনিম্ন এবং সর্বোচ্চ মাসিক পেনশন কত হবে?চাকরিজীবী যে সর্বনিম্ন মাসিক পেনশন পাবেন, তার পরিমাণ হল ১,০০০ টাকা এবং এর সর্বোচ্চ পরিমাণ হল ৭,৫০০ টাকা।
advertisement
ইপিএস ক্যালকুলেশনইপিএস পেনশন গণনার সূত্র হল:মাসিক পেনশনের পরিমাণ = (পেনশনযোগ্য বেতন x পেনশনযোগ্য পরিষেবা) / ৭০।মাসিক পেনশন ক্যালকুলেশন: ১৮, ২৫ এবং ৩৫ বছর ধরে চাকরি করলে কত টাকা মিলবে?চাকরিজীবী যে মাসিক পেনশন পাবেন, তা তাঁর পেনশনযোগ্য বেতন এবং পরিষেবার উপর নির্ভর করবে। সূত্রে ব্যবহৃত গড় বেতন হল - চাকরিজীবীর গত ১২ মাসের মূল বেতন এবং তাঁর ডিএ-এর গড়।
advertisement
পেনশনের হিসেব:(বর্তমান) স্যালারির সর্বোচ্চ সীমা ১৫,০০০ টাকায় অবদান রাখছে। কারও মূল বেতন এবং মহার্ঘ্য ভাতা ৫০,০০০ টাকা হলেও, তাঁদের ইপিএস পেনশন ১৫,০০০ টাকা বেতনে গণনা করা হবে।১৮ বছর চাকরি করলে চাকরিজীবীদের মাসিক পেনশন কত হবে?(পেনশনযোগ্য বেতন x পেনশনযোগ্য পরিষেবা) / ৭০ = (১৫,০০০ x ১৮) / ৭০ = ৩,৮৫৭ টাকা।চাকরিজীবীরা ১৮ বছর ধরে চাকরি করার জন্য প্রায় ৩,৮৫৭ টাকা পেনশন পেতে পারেন।
advertisement
২৫ বছর চাকরি করলে চাকরিজীবীদের মাসিক পেনশন কত হবে?(পেনশনযোগ্য বেতন x পেনশনযোগ্য পরিষেবা) / ৭০ = (১৫,০০০ x ২৫) / ৭০ = ৫,৩৫৭ টাকা।২৫ বছর ধরে চাকরি করলে চাকরিজীবীরা ৫,৩৫৭ টাকা পেনশন পেতে পারেন।৩৫ বছর চাকরি করলে চাকরিজীবীদের মাসিক পেনশন কত হবে?(পেনশনযোগ্য বেতন x পেনশনযোগ্য পরিষেবা) / ৭০ = (১৫,০০০x৩৫) / ৭০ = ৭,৫০০ টাকা।চাকরিজীবীরা ৩৫ বছর ধরে করা চাকরির জন্য প্রায় ৭,৫০০ টাকা পেনশন পেতে পারেন।
