Check Whether Your Gold Jewellery Is Real: চুম্বক, জল আর বরফ বলে দেবে আপনার লকারে রাখা গয়না আসল না নকল ?

সোনা ও রুপোর শনাক্তকরণ নিয়ে বাড়িতে প্রায়ই বিভ্রান্তির পরিস্থিতি তৈরি হয়। এসব ক্ষেত্রে সাধারণত মানুষ স্বর্ণকারের কাছে যায় তা শনাক্ত করার জন্য। কিন্তু, এখন যে কেউ নিজেই এটি শনাক্ত করতে পারবেন। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক কীভাবে।

সোনা এখন খুবই দামি। সোনার গয়না পরা সামাজিক মর্যাদারও একটি অংশ। বিশেষ করে মহিলারা ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, উৎসব বা যে কোনও বড় অনুষ্ঠানে সোনার গয়না পরেন। কিন্তু, এই অলঙ্কার কেনার সময়, এটি আসল না নকল তা শনাক্ত করাও গুরুত্বপূর্ণ।

কারণ ১ গ্রাম ভেজালও হাজার হাজার টাকার ক্ষতি করতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে, খুবই সতর্ক থাকা উচিত। যদি কারও কাছে সোনা ও রুপোর গয়না থাকে এবং তাঁরা পরীক্ষা করতে চান যে, সেগুলি আসল না নকল, তাহলে এখন ঘরে বসেই তা শনাক্ত করা যেতে পারে।

আসল সোনা ও রুপো শনাক্ত করার সবচেয়ে সহজ উপায় হল হলমার্ক পরীক্ষা করা। সোনা ও রুপোর গয়নাতে হলমার্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যে কোনও গয়না বা বাসন কেনার সময় এই হলমার্ক পাওয়া যাবে। যদি কোনও হলমার্ক না থাকে, তাহলে গয়নাটি নকল হতে পারে। হলমার্কে ছোট সংখ্যা বা অক্ষর থাকে, যা সাবধানে দেখতে হবে।

ফ্রিজে রাখা বরফের টুকরোও আসল রুপো শনাক্ত করতে সাহায্য করতে পারে। কারণ, রুপো অন্যান্য ধাতুর তুলনায় বেশি গরম হয়। যখন কোনও রুপোর গয়না বা পাত্রে বরফের টুকরো রাখা হয়, তখন যদি তা দ্রুত গলে যায়, তখন বুঝতে হবে রুপোটি আসল নয়, এটি নকল।
রুপোর গয়না আসল না নকল তা শনাক্ত করার আরেকটি সহজ উপায় হতে পারে চুম্বক। কারণ চুম্বক রুপো এবং সোনাকে নিজের দিকে টেনে নেয় না, তবে এতে যদি কিছু ভেজাল থাকে, তখন এটি সোনা-রুপো নিজের দিকে টেনে নেয়। এর থেকে বোঝা যায় গয়নায় কী খাদ মেশানো হয়েছে!

ঘরে বসে সোনা পরীক্ষা করতে চাইলে একটি বড় পাত্রে জল ভরে তাতে গয়না রাখতে হবে। গয়না যদি জলে ডুবে যায়, তাহলে বুঝতে হবে সোনা আসল। আসল সোনা যত হালকাই হোক না কেন, জলে ডুবে যায়।
উৎসবের সময় রুপোর মুদ্রা খুবই জনপ্রিয়।  যদি কেউ একটি মুদ্রার রুপোর গুণমাণ পরীক্ষা করতে চায়, তাহলে এটি মাটিতে ফেলে দিতে হবে এবং দেখতে হবে মুদ্রাটি থেকে ঘণ্টার মতো আওয়াজ বের হচ্ছে কি না, হলে বুঝতে হবে এটি আসল রুপো।

সোনা ও রুপোর গয়না অনেক দামি, তাই যখনই গয়না কেনা হবে, তখন সর্বদা একটি রসিদ বা একটি সঠিক বিল নেওয়া উচিত। এটি গয়না কেনার একটি সরকারি রেকর্ড দেবে। এতে যদি কেউ বিক্রেতার দ্বারা প্রতারিত হয়ে থাকেন, তাহলে আইনি ব্যবস্থা নিতে পারবেন।