২০১৬ সালে নোট বাতিল সংক্রান্ত সমস্যায় জেরবার হয়েছিল সাধারণ মানুষ। সেই সময়কার ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট বাতিল হয়ে যাওয়ায় বাজারে আনা হয়েছিল ২০০০ টাকার নোট এবং নতুন করে ছাপানো ৫০০ টাকার নোট। তবে প্রায় বছর ছয়েক পরে ফের নোট বাতিলের ঘোষণা করা হল। গত শুক্রবারই ২০০০ টাকার নোট বাতিল করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে দিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (আরবিআই)। তবে আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণই নেই। কারণ এই টাকা জমা এবং এক্সচেঞ্জ করার জন্য আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে।
তবে প্রশ্ন উঠেছিল যে, সেপ্টেম্বর মাসের পর কি তাহলে অবৈধ হয়ে যাবে এই নোট? সেই বিষয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে, এই সময়সীমার পার হয়ে গেলেও ২০০০ টাকার নোট বৈধই থাকবে। ইতিমধ্যেই আরবিআই জানিয়ে দিয়েছে যে, গ্রাহকরা নিকটবর্তী ব্যাঙ্কের শাখায় গিয়ে ২০০০ টাকার ব্যাঙ্ক নোট জমা কিংবা এক্সচেঞ্জ করাতে পারবেন। এই প্রসঙ্গে আরবিআই-এর অফিসিয়াল বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ তারিখ পর্যন্ত অ্যাকাউন্টে ২০০০ টাকার নোট জমা করা অথবা এক্সচেঞ্জ করার সুবিধা রয়েছে। আরবিআই-এর ১৯টি আঞ্চলিক অফিসে (আরও) এই সুবিধা পাওয়া যাবে। কিন্তু ব্যাঙ্কে গিয়ে কীভাবে এক্সচেঞ্জ করাতে হবে ২০০০ টাকার নোট? রইল সেই উপায়।
‘Tenderer’-এর নাম ক্যাপিটাল লেটারে লিখতে হবে।
এর পর পরিচয়ের প্রমাণপত্র হিসেবে জমা করা ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন নম্বর দিতে হবে।
পরিচয়ের প্রমাণপত্র হিসেবে জমা করতে হবে আধার কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স, ভোটার আইডি কার্ড, পাসপোর্ট, এনআরইজিএ কার্ড এবং পপুলেশন রেজিস্টারের মতো ৬টি ওভিডি-র মধ্যে যে কোনও একটা।
আইডেন্টিফিকেশন সংক্রান্ত তথ্য পূরণ করে যে ২০০০ টাকার নোট জমা অথবা এক্সচেঞ্জ করতে চাওয়া হচ্ছে, তার বিশদ তথ্য দিতে হবে। যার মধ্যে অন্যতম হল-
ডিনোমিনেশন (এক্ষেত্রে হবে ২০০০ টাকা)।
নোটের পরিমাণ (কতগুলি নোট জমা অথবা এক্সচেঞ্জ করা হচ্ছে)।
মোট মূল্য (সর্বোচ্চ সীমা ২০০০০ টাকা, সেটা মাথায় রেখে এক্সচেঞ্জ বা জমা করতে চাওয়া ২০০০ টাকার নোটের মোট পরিমাণ হিসেব করে তা লিখতে হবে)।
সব তথ্য পূরণ হয়ে গেলে গ্রাহককে ফর্মটায় স্বাক্ষর করতে হবে।
এর সঙ্গে স্থান (কোথায় এক্সচেঞ্জ করানো হচ্ছে) এবং তারিখ (কবে এক্সচেঞ্জ করানো হচ্ছে)-ও দিতে হবে।
ধাপ ৩: সব শেষে ফর্মটা সাবমিট করতে হবে।
এই সংক্রান্ত জরুরি তথ্য:
আরবিআই জানিয়েছে যে, এক্সচেঞ্জ বা ডিপোজিটের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে বিনামূল্যে।
এর সঙ্গে আরবিআই আরও জানিয়েছে যে, নন-অ্যাকাউন্টধারীরাও যে কোনও ব্যাঙ্কের শাখা থেকে ২০০০ টাকার নোট এক্সচেঞ্জ করাতে পারবেন। সেক্ষেত্রে এক বারে সর্বোচ্চ সীমা ২০০০০ টাকা।