Post Office Scheme: পোস্ট অফিসের বাম্পার স্কিম! ঝুঁকিহীন প্রকল্পে দ্বিগুণ রিটার্ন, মালামাল সহজেই

পোস্ট অফিসে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ পছন্দ করেন বহু মানুষই ৷ এটি বিনিয়োগের অন্যতম মাধ্যম যা পরিবারের বিনিয়োগকে সুনিশ্চিত করে ৷ পোস্ট অফিসের স্কিম দীর্ঘ সময় ধরে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অত্যন্ত লাভদায়ক ৷ প্রতীকী ছবি ৷

শেয়ার বাজারে টাকা বিনিয়োগ করলে বেশি লাভ পাওয়া যায় ঠিকই কিন্তু সেক্ষেত্রে বিশাল ঝুঁকির বিষয়ও থেকে যায় ৷ কোনও রকমের ঝুঁকি ছাড়াই পোস্ট অফিসের এই স্কিমে বিনিয়োগ করলে মালামাল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে ব্যাপক ভাবেই ৷ প্রতীকী ছবি ৷

কিষাণ বিকাশপত্র অত্যন্ত একটি ভাল স্কিম (Kisan Vikas Patra) ৷ পোস্ট অফিসের স্কিমে সরকারি গ্যারান্টি পাওয়া যায় ৷ সেই কারণে এই প্রকল্পতে বিনিয়োগ মোটেই ঝুঁকিপূর্ণ নয় ৷ প্রতীকী ছবি ৷

কিষাণ বিকাশপত্রের মেয়াদ ১২৪ মাসের অর্থাৎ ১০ বছর ৪ মাসেই টাকা দ্বিগুণ হয়ে যায় ৷ যদি এই স্কিমে ১ এপ্রিল ২০২২ থেকে ৩০ জুন ২০২২-এর মধ্যে এককালীন (lump sum amount) জমালে ১০ বছর ৪ মাসের মধ্যে তা দ্বিগুণ হয়ে যাবে ৷ প্রতীকী ছবি ৷

কিষাণ বিকাশপত্রের সার্টিফিকেট ন্যূনতম ১,০০০ টাকা দিয়ে কিনতে পারেন, এই স্কিমে বিনিয়োগের কোনও সীমা পরিসীমা নেই ৷ যত প্রয়োজন ততই এই স্কিমে বিনিয়োগ করতে পারেন ৷ প্রতীকী ছবি ৷

এই স্কিমের সূচনা হয়েছিল ১৯৮৮ সালে ৷ অর্থাৎ এই স্কিমে যতটা সম্ভব টাকা বিনিয়োগ করতে পারেন ৷ সেই সময়ের উদ্দেশ্য ছিল কৃষকদের সঞ্চয় দ্বিগুণ করা ৷ কিন্তু বর্তমানে বলা যেতেই পারে কিষাণ বিকাশপত্রের সঙ্গে কৃষকদের কোনও চাওয়া পাওয়া নেই ৷ প্রতীকী ছবি ৷

এই বিশেষ প্রকল্পে বিনিয়োগের কোনও সীমা পরিসীমা নেই ৷ এতে টাকা নয়-ছয়ের ঝুঁকি থাকছে ৷ এই কারণেই কেন্দ্রীয় সরকার ২০১৪ সালে নতুন নিয়ম করেছে যার অন্তর্গত ৫০,০০০ টাকার বেশি বিনিয়োগ করলে প্যান অনিবার্য ৷ প্রতীকী ছবি ৷

কেউ যদি ১০ লক্ষ টাকা বার তার থেকে বেশি বিনিয়োগ করলে আয়ের প্রমাণপত্র জমা দিতে হবে যেমন বেতনের স্লিপ (Salary Slip), আইটিআর (ITR), ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট (Bank Statement) ৷ একই সঙ্গে সচিত্র পরিচয়পত্রও (Photo Identity Card) জমা দিতে হবে ৷ প্রতীকী ছবি ৷

তিন ভাবে কিষাণ বিকাশপত্র কিনতে পারেন ৷ সিঙ্গেল হোল্ডার টাইপ সার্টিফিকেট: এই ধরনের সার্টিফিকেট নিজের জন্য বা কোনও নাবালক-নাবালিকার জন্য ক্রয় করা যায় ৷ প্রতীকী ছবি ৷

জয়েন্ট A অ্যাকাউন্ট: ২ জন ভিন্ন বয়সী মানুষ এই অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন ৷ এই দুই ব্যক্তিরই বিনিয়োগ থাকে বা জীবিত ব্যক্তির বিনিয়োগ ৷ প্রতীকী ছবি ৷

জয়েন্ট B অ্যাকাউন্ট: জয়েন্ট অ্যাকাউন্টে ২ জনের মধ্যে একজনের বিনিয়োগ থাকে ৷ যিনি জীবিত তাঁর বিনিয়োগ থাকে ৷ প্রতীকী ছবি ৷

কিষাণ বিকাশপত্রের ফিচার্স

১. এই স্কিমে রিটার্ন গ্যারান্টি সহকারে পাওয়া যায়, বাজারের ওঠাপড়ার সঙ্গে এই বিনিয়োগের কোনও সম্পর্ক নেই ৷ এই কারণেই এই বিনিয়োগ অত্যন্ত সুরক্ষিত ৷ মেয়াদ সম্পন্ন হলে পুরো টাকা পাওয়া যায় ৷ প্রতীকী ছবি ৷

২. এই স্কিমে আয়কর আইন ৮০সি-র অন্তর্গত ছাড় পাওয়া যায়না ৷ রিটার্ন পুরোটাই করের আওতায় থাকে ৷ ম্যাচিওরিটির পরে টাকা তুললে কোনও ট্যাক্স লাগেনা ৷ প্রতীকী ছবি ৷

৩. ম্যাচিওরিটির পরে অর্থাৎ ১২৪ মাসে সমস্ত টাকা তুলতে পারেন ৷ তবে এর লকইন পিরিয়ড ৩০ মাসের হয়ে থাকে ৷ এর আগে এই স্কিম থেকে টাকা তোলা যেতনা ৷ অ্যাকাউন্ট হোল্ডারের মৃত্যু বা কোনও বিশেষ ক্ষেত্রে আদালতের নির্দেশে ৷ প্রতীকী ছবি ৷