পোস্ট অফিসের এই ৩ স্কিমে ৫ বছরের জন্য টাকা রাখলে মিলবে বিপুল রিটার্ন, আজ থেকেই শুরু করুন

বিনিয়োগের জন্যে দুটি জিনিস গুরুত্বপূর্ণ। মোটা টাকা এবং দীর্ঘ মেয়াদ। টাকা যত বেশি হবে, রিটার্ন তত বাড়বে। আর যত বেশি সময় সেই টাকা বাজারে খাটবে, সুদও তত বেশি পাওয়া যাবে। এটাই বিনিয়োগের শুরুর কথা। কিন্তু আরও একটা জিনিসের কথা অনেকেরই মাথায় থাকে না। সেটা হল, সঠিক বিনিয়োগ স্কিম।

পোস্ট অফিসে একাধিক বিনিয়োগ স্কিম রয়েছে। ব্যাঙ্ক বা অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের চেয়ে সুদ কিছুটা বেশি। ফলে রিটার্নও ভাল পাওয়া যায়। পাশাপাশি বেশিরভাগ স্কিমই দীর্ঘ মেয়াদের। কমপক্ষে পাঁচ বছর তো বটেই। যেমন রেকারিং ডিপোজিট, ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট, পোস্ট অফিস টাইম ডিপোজিট স্কিম ইত্যাদি।

পোস্ট অফিস রেকারিং ডিপোজিট স্কিম: পোস্ট অফিসের রেকারিং ডিপোজিট স্কিম মানে নিশ্চিত রিটার্ন। মেয়াদ পাঁচ বছর। অর্থাৎ ৫ বছর ধরে প্রত্যেক মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা বিনিয়োগ করতে হবে।

এই স্কিম সরকার-সমর্থিত, ফলে নিরাপদ। রেকারিং ডিপোজিটে বর্তমানে ৫.৮ শতাংশ হারে সুদ পাওয়া যাচ্ছে। মাসে ১০০ টাকা দিয়ে বিনিয়োগ শুরু করা যায়। বিনিয়োগের কোনও উর্ধ্বসীমা নেই।

পোস্ট অফিস টাইম ডিপোজিট স্কিম: পোস্ট অফিস টাইম ডিপোজিট স্কিমে বিনিয়োগকারী ১, ২, ৩ বছরের জন্য বিনিয়োগ করতে পারেন। বর্তমানে এই স্কিমে ৫.৫ শতাংশ হারে সুদ পাওয়া যাচ্ছে। আর যদি কেউ ৫ বছরের জন্য বিনিয়োগ করে তাহলে ৬.৭ শতাংশ হারে সুদ পাবেন।

তাছাড়া এই স্কিমে বিনিয়োগ করলে ধারা ৮০সি-র আওতায় করছাড় পাওয়া যায়। মাত্র ১০০০ টাকা দিয়ে বিনিয়োগ শুরু করা যায়।

ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট স্কিম: ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট স্কিমে একলপ্তে মোটা টাকা বিনিয়োগ করতে হয়। এর মেয়াদ পাঁচ বছর। মেয়াদকালের পুরোটাই লক ইন পিরিয়ড।

সুদের হার বার্ষিক ৭ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭.৭ শতাংশ করা হয়েছে। ন্যূনতম ১০০০ টাকা দিয়ে বিনিয়োগ শুরু করা যায়। কেউ ৫ লাখ টাকা বিনিয়োগ করলে ম্যাচিউরিটিতে ৭,২৪৫১৭ টাকা পাবেন। এই স্কিমে ট্যাক্স সুবিধাও মেলে।