পয়লা বৈশাখে এই ব্যবসায় বিনিয়োগ করে বছরে রোজগার করুন ৬ লাখ টাকা

পয়লা বৈশাখ মানেই নতুন বছর ৷ পয়লা বৈশাখ মানেই হালখাতার পুজো ৷ ব্যবসায়ীরা এই দিনে ব্যবসার বৃদ্ধির কামনা করে মা লক্ষ্মী ও সিদ্ধিদাতা গণেশের আহবান করেন ৷ দোকানে দোকানে চলে নববর্ষের হালখাতার পুজো ৷ নতুন ব্যবসায় বিনিয়োগের আদর্শ দিন হল পয়লা বৈশাখ ৷ স্বল্প বিনিয়োগে নিশ্চিত আয়ের রাস্তা খুঁজলে আজ থেকেই শুরু করতে পারেন এই ব্যবসা ৷

শুরুতে মাত্র ২ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে প্রতি মাসে এই ব্যবসা থেকে লাভ করতে পারেন ৫০ হাজার টাকা৷ অর্থাৎ বছরে ৬ লাখ টাকা ৷ কম পরিশ্রমে প্রচুর লাভের এর থেকে ভাল রাস্তা কিছু হতে পারে না ৷

মাত্র এক বার ২ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে সারা জীবন মাসে ন্যূনতম ৫০ হাজার টাকা আয়ের সুযোগ মিলবে টম্যাটো সস তৈরির ব্যবসায় ৷ এই ব্যবসা শুরু করতে গেলে মূলধনের যোগান দেবে খোদ কেন্দ্রীয় সরকার ৷ কেন্দ্রের থেকে লোন নিয়ে টম্যাটো সসের ব্যবসা শুরু করলে মাসের শেষে হাজার হাজার টাকা লাভ ৷

আমাদের দেশের মানুষ চাইনিজ কুইজিন বিশেষভাবে পছন্দ করেন ৷ এই চাইনিজ কুইজিনের যে কোনও রান্নায় অন্যতম প্রধান উপাদান হল টম্যাটো সস ৷ শুধু চাইনিজ নয় যেকোনও বিদেশী রান্না, এমনকি দেশি রান্নাতেও ব্যবহার হয় টম্যাটো সস ৷ তাই রেস্তোরাঁ থেকে বাড়ি, সুপার মার্কেট থেকে পাড়ার মুদির দোকান সব জায়গাতেই চাহিদা রয়েছে টম্যাটো সসের ৷ তাই এই ব্যবসায় মুনাফার সুযোগও প্রচুর ৷

এই ব্যবসা শুরু করতে গেলে যেসব মেশিন ও ইকুইপমেন্ট প্রয়োজন তার জন্য কম বেশি ২ লাখ টাকার মূলধনের প্রয়োজন হয় ৷ এছাড়া ব্যাঙ্কিং ক্যাপিটাল হিসেবে আরও প্রায় ৫.৮২ লাখ টাকার দরকার পড়ে ৷ সস তৈরির কাঁচামাল, মজুরদের মাইনে, প্যাকিং , ডেলিভারির ব্যবস্থার কাজের খরচা ওই টাকা থেকেই উঠে আসে ৷ ব্যবসা শুরুর জন্য মেলে সরকারি সাহায্যও ৷ প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনার মাধ্যমে যেকোনও থেকে ঋণ পেতে পারেন ব্যবসায়ীরা ৷

টম্যাটো সসের ব্যবসায় বছরে সর্বোচ্চ ২৮.৮০ টাকা টার্নওভার মিলতে পারে ৷ প্রোডাকশনের খরচা বাদ দিয়ে বছরে কম করে হলেও হাতে থাকবে ৪.৫৮ লাখ টাকা ৷ মাসে লাভ প্রায় ৪০ হাজার টাকা ৷