GDP গ্রোথ ৪ ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি, ভারত বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনৈতিক দেশ, তবে পরিস্থিতি কি উদযাপনের? নীতি আয়োগ কী বলছে?
- Published by:Siddhartha Sarkar
Last Updated:
India's GDP Growth Sparks Comparison: ভারত ৪ ট্রিলিয়ন ডলারের জিডিপি সীমা অতিক্রম করে ফেলেছে। তবে একই সঙ্গে গড় ভারতীয়দের জন্য এর অর্থ কী তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। নীতি আয়োগের সিইও বি ভি আর সুব্রহ্মণ্যম (NITI Aayog CEO BVR Subrahmanyam) এই অর্জনকে একটি ঐতিহাসিক মোড় হিসেবে প্রশংসা করেছেন, যা আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতকে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনৈতিক দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
অনেকেই বলবেন খবর আনন্দের। তা নিয়ে সন্দেহও নেই। ভারত ৪ ট্রিলিয়ন ডলারের জিডিপি সীমা অতিক্রম করে ফেলেছে। তবে একই সঙ্গে গড় ভারতীয়দের জন্য এর অর্থ কী তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। নীতি আয়োগের সিইও বি ভি আর সুব্রহ্মণ্যম (NITI Aayog CEO BVR Subrahmanyam) এই অর্জনকে একটি ঐতিহাসিক মোড় হিসেবে প্রশংসা করেছেন, যা আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতকে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনৈতিক দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। কিন্তু মেজাজ পুরোপুরি উদযাপনের মতো নয়। (Representative Image)
advertisement
আসলে, বিরোধীরা, বিশেষ করে কংগ্রেস দল, জিডিপির শীর্ষ পরিসংখ্যান থেকে দেশের সাধারণ মানুষের আয়ের দিকে স্পটলাইট ঘুরিয়ে দিয়েছেন। জিডিপি গ্রোথ দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলেও, তাদের যুক্তিও একেবারে ফেলনা নয়। মাথাপিছু আয় কি বাড়ল দেশবাসীর? এই অর্থনৈতিক সম্প্রসারণ কি সত্যিই সাধারণ ভারতীয়র জন্য উন্নত জীবনযাত্রার সহায়ক? (Representative Image)
advertisement
চিন এবং মার্কিন মানদণ্ড: ভারতের অর্থনৈতিক অবস্থান বোঝার জন্য বিশ্বের বৃহত্তম দুই দেশ একই রকম জিডিপি মাইলফলক অর্জনের পর কীভাবে অগ্রগতি করেছিল তা ফিরে দেখা দরকার। ২০০৮ সালে চিনের জিডিপি ৪ ট্রিলিয়ন ডলারের গণ্ডি অতিক্রম করে। সেই সময়, তার মাথাপিছু আয় ছিল প্রায় ৩,৫০০ ডলার। এরপর এক দশকে দ্রুত অর্থনৈতিক রূপান্তর ঘটে: বিশাল অবকাঠামোগত বিনিয়োগ, একটি ক্রমবর্ধমান রফতানি খাত এবং সামাজিক সংস্কার লক্ষ লক্ষ মানুষকে দারিদ্র্য থেকে মুক্তি দেয়। বর্তমানে, চিনের মাথাপিছু আয় ১২,০০০ ডলার ছাড়িয়ে গিয়েছে, যা ১৫ বছরে তিনগুণেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। (Representative Image)
advertisement
আবার, ১৯৮৭ সালে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ৪ ট্রিলিয়ন ডলারের জিডিপির লক্ষ্যে পৌঁছেছিল। তখন, তাদের মাথাপিছু আয় সেই সময়েই প্রায় ১৭,০০০ ডলার ছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উদ্ভাবন, পরিষেবা খাত এবং অত্যাধুনিক প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে তার সম্পদ তৈরি করেছিল। এর পরের দশকগুলিতে, তাদের মাথাপিছু আয় ৬৫,০০০ ডলারেরও বেশি বেড়েছে। (Representative Image)
advertisement
ভারত তাহলে কোথায় দাঁড়িয়ে আছে? ভারত এখন এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে। জিডিপি ৪ ট্রিলিয়ন ডলার অতিক্রম করলেও মাথাপিছু আয় ২,৮০০ থেকে ২,৯০০ ডলারের কাছাকাছি। সমালোচকরা একে বৃদ্ধির অসম প্রকৃতি বলেই মনে করছেন। তা বলে উন্নতি যে হচ্ছে না, এমনটা নয়। ২০০৪ সালে ভারতের মাথাপিছু আয় ছিল মাত্র ৬২০ ডলার। দুই দশক ধরে প্রায় পাঁচগুণ বৃদ্ধি একটি ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক জোয়ারের ইঙ্গিত দেয়। (Representative Image)
advertisement
এটা ঠিক যে জিডিপি গ্রোথ যদি মানুষের পকেটেও না আসে, তাহলে কোনও লাভ নেই। কিন্তু ইতিহাস দেখায় যে এই মুহূর্তটি একটি মোড় হতে পারে উন্নতির, একটি অচলাবস্থা কখনই নয়। চিন থেকেই উদাহরণ স্পষ্ট, ৪ ট্রিলিয়ন ডলার জিডিপি গ্রোথ চূড়ান্ত কিছু নয়, তা আরও বাড়বে যদি যথাযথ নীতি নিয়ে এগিয়ে যাওয়া যায়। (Representative Image)
advertisement
ভারতের কিছু নিজস্ব অনন্য সুবিধা রয়েছে। তরুণ এবং গতিশীল জনসংখ্যা এই দেশের মানবসম্পদগত বল। ডিজিটাল অর্থনীতি দ্রুত সম্প্রসারিত হচ্ছে, বিশ্বব্যাপী সার্ভিস চেনে ভারতের ভূমিকা বৃদ্ধি পাচ্ছে, বিশেষ করে যখন নানা দেশ চিনের বিকল্প খুঁজছে। এগুলো ভারতের জন্য ভবিষ্যতের বৃদ্ধির সহায়ক হতে পারে। (Representative Image)
advertisement
জিডিপি গ্রোথকে নাগরিকের সমৃদ্ধিতে রূপান্তরিত করতে ভারতের একটি সুসঙ্গত, দীর্ঘমেয়াদী অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রয়োজন হবে। জিডিপি গ্রোথে জোর দেওয়ার পাশাপাশি ইনফ্রাস্ট্রাকচার, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যসেবাতে বিনিয়োগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সামাজিক স্থিতিশীলতা এবং অর্থনৈতিক গতি, দুইয়ে মিলে তাহলেই জীবনযাত্রার মান উন্নতিতে সাহায্য করতে পারবে। (Representative Image)