মার্চ প্রান্তিকে কোম্পানির মুনাফা বার্ষিক ভিত্তিতে ৩০ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১৫৮ কোটি টাকা। ত্রৈমাসিকে এই ফলাফলের পর ব্রোকারেজ হাউজগুলিও আশাবাদী। স্টক আরও বাড়বে বলে মনে করছে তারা। আজও, এনএসইতে বাজাজ ফিনান্সের স্টক ইন্ট্রাডে ০.৭০ শতাংশ বৃদ্ধির সঙ্গে ৬২৪৩.৯০ টাকার স্তরে (আজ বাজাজ ফিনান্স শেয়ারের মূল্য) ট্রেড করছে।
আজ থেকে ২১ বছর আগে অর্থাৎ ২০০২ সালে এই শেয়ারের দাম ছিল ৫.৭৫ টাকা। যা এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬২৪৩ টাকা। গত ১০ বছরে, স্টকটি ৪৮৫০ শতাংশ বা ৫০ গুণের কাছাকাছি বেড়েছে। ১০ বছরে শেয়ারের দাম ১২৬ টাকা থেকে বেড়ে ৬২৪৩ টাকা হয়েছে। অর্থাৎ ২০১৩ সালে যে বিনিয়োগকারীরা এতে টাকা ঢেলেছেন, তাঁদের অর্থ বেড়েছে ৫০ গুণ। পাঁচ বছরেও শেয়ারের রিটার্ন এসেছে ২২৫ শতাংশের বেশি।
১ লাখ টাকা বেড়ে ১০ কোটি: যদি একজন বিনিয়োগকারী ২১ বছর আগে বাজাজ ফিনান্স শেয়ারে ১ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে থাকেন এবং সেই বিনিয়োগ বজায় রাখেন, তিনি এখন কোটিপতি৷ তাঁর ১ লাখ টাকা এখন বেড়ে ১০৮,৫৭৩,৯১৩ টাকা হয়েছে। একইভাবে, যদি কোনও বিনিয়োগকারী ১০ বছর আগে এই শেয়ারে ১ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে থাকেন, তবে আজ তিনি ৪,৯৫৪,৭৬১ টাকার মালিক।
বাই রেটিং দিয়েছে ব্রোকারেজ হাউজ: ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস-এর একটি প্রতিবেদন অনুসারে, ব্রোকারেজ হাউস মতিলাল অসওয়াল বাজাজ ফিনান্স স্টককে ৭,০৮০ টাকার লক্ষ্য মূল্যের সঙ্গে বাই রেটিং দিয়েছে। ব্রোকারেজ হাউস মরগান স্ট্যানলি বাজাজ ফিনান্স স্টকে ৮ হাজার টাকা লক্ষ্য মূল্য নির্ধারণ করেছে। ব্রোকারেজ হাউস শেয়ারখানও বিনিয়োগকারীদের এই শেয়ার কেনার পরামর্শ দিয়েছে। তাদের মতে, বাজাজ ফিনান্সের শেয়ার ৭,৫০০ টাকার স্তর স্পর্শ করতে পারে।