Life Certificate সম্পর্কে এই বিষয়গুলো জেনে নিন, না হলে সমস্যায় পড়তে হতে পারে

লাইফ সার্টিফিকেট বা জীবন প্রমাণপত্র। একজন মানুষ বেঁচে আছে কি না তার প্রমাণ। পেনশনভোগীদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নথি। অন্যদের কাছে আয়ের অতিরিক্ত উৎস। লাইফ সার্টিফিকেট না থাকলে অ্যাকাউন্টে পেনশন জমা পড়বে না। পেনশন বিতরণকারী সংস্থাই লাইফ সার্টিফিকেট দেয়।

জীবন প্রমাণপত্র কী:জীবন প্রমাণপত্র হল কেন্দ্র, রাজ্য বা অন্য কোনও সরকারি সংস্থার পেনশনভোগীদের দেওয়া বায়োমেট্রিক-এনেবল ডিজিটাল পরিষেবা। দেশের কয়েক কোটি পরিবার মাসিক পেনশনের উপর নির্ভরশীল। চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের পর পেনশন পেতে হলে প্রতি বছর নভেম্বর মাসে পেনশন বিতরণ সংস্থার কাছে লাইফ সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে, যাতে প্রমাণ হয় যে, তিনি বেঁচে আছেন।

এই সার্টিফিকেট পেলে পেনশন বিতরণকারী সংস্থা আরও এক বছর পেনশন দেবে। শংসাপত্র জমা হওয়ার পরই পেনশন ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে জমা হয়। লাইফ সার্টিফিকেট প্রতি বছর ১ অক্টোবর থেকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে জমা দিতে হয়। শংসাপত্র পেতে অবশ্যই পেনশন বিতরণকারী সংস্থায় সশরীরে উপস্থিত থাকতে হবে।

ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট কী:আগেই বলা হয়েছে, লাইফ সার্টিফিকেট পেতে পেনশনভোগী ব্যক্তিকে সশরীরে পেনশন বিতরণকারী সংস্থায় উপস্থিত হতে হয়। কিন্তু বৃদ্ধ বা বৃদ্ধাদের জন্য এটা কষ্টকর। তাছাড়া অসুস্থ থাকলেও সশরীরে উপস্থিত থাকা মুশকিল। অবসর নেওয়ার পর অনেকে অন্য কোনও শহরে বা গ্রামে গিয়ে থাকতে শুরু করেন। তাঁদের ক্ষেত্রেও প্রতি বছর উপস্থিত থাকা শক্ত।

এসব কথা মাথায় রেখেই ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট এনেছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রবীণ নাগরিকদের সহজেই লাইফ সার্টিফিকেট দেওয়ার জন্য প্রক্রিয়াটিকে ডিজিটালাইজ করা হয়েছে। পেনশনভোগীদের আর পেনশন বিতরণকারী সংস্থায় সশরীরে উপস্থিত থাকতে হয় না।

ডিজিটাল পরিষেবা কীভাবে কাজ করে:১. ‘জীবন প্রমাণ’ অ্যাপ বা সফটওয়্যার ডাউনলোড করতে হবে। ২. এবার অ্যাপে রেজিস্টার করতে হবে। দিতে হবে আধার নম্বর, পেনশন পেমেন্ট অর্ডার, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর, ব্যাঙ্কের নাম এবং মোবাইল নম্বরের মতো বিবরণ।

৩. ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেটের জন্য চোখের মণি এবং আঙুলের ছাপ প্রয়োজন। এই বিবরণ আধার থেকেই পাওয়া যাবে। তাই অনলাইন বায়োমেট্রিক প্রমাণীকরণ দরকার।

৪. সব কিছু যাচাই করার পর রেজিস্টার্ড মোবাইল নম্বরে মেসেজ যাবে। এর সঙ্গে থাকবে জীবন প্রমাণ সার্টিফিকেট। ৫. প্রমাণ আইডি ব্যবহার করে জীবন প্রমাণের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে পিডিএফ ফরম্যাটে সার্টিফিকেট ডাউনলোড করা যায়।