৬০ বছরে অবসর নিচ্ছেন? PF অ্যাকাউন্ট থেকে কত পেনশন মিলবে? জানুন নিয়ম ও হিসেব

Last Updated:
PF Pension Amount: বেসরকারি চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে বেতনের ১২ শতাংশ পিএফ অ্যাকাউন্টে জমা হয়। কোম্পানিও একই পরিমাণ টাকা জমা করে।
1/6
চাকরিজীবীদের বেতনের একটা অংশ পিএফ অ্যাকাউন্টে জমা হয়। অবসরের সময় সুদ ও আসল সমেত পুরো টাকা হাতে মেলে। কিন্তু কীভাবে পিএফ গণনা করা হয়? ইপিএফও-এর নিয়ম কী? ৬০ বছর বয়সে অবসর নেওয়া একজন চাকরিজীবী কত টাকা পেনশন পেতে পারেন?
চাকরিজীবীদের বেতনের একটা অংশ পিএফ অ্যাকাউন্টে জমা হয়। অবসরের সময় সুদ ও আসল সমেত পুরো টাকা হাতে মেলে। কিন্তু কীভাবে পিএফ গণনা করা হয়? ইপিএফও-এর নিয়ম কী? ৬০ বছর বয়সে অবসর নেওয়া একজন চাকরিজীবী কত টাকা পেনশন পেতে পারেন?
advertisement
2/6
বেসরকারি চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে বেতনের ১২ শতাংশ পিএফ অ্যাকাউন্টে জমা হয়। কোম্পানিও একই পরিমাণ টাকা জমা করে। তবে এই ১২ শতাংশের মধ্যে ৮.৩৩ শতাংশ পেনশন ফান্ডে জমা হয় এবং বাকি ৩.৬৭ শতাংশ পিএফ তহবিলে।
বেসরকারি চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে বেতনের ১২ শতাংশ পিএফ অ্যাকাউন্টে জমা হয়। কোম্পানিও একই পরিমাণ টাকা জমা করে। তবে এই ১২ শতাংশের মধ্যে ৮.৩৩ শতাংশ পেনশন ফান্ডে জমা হয় এবং বাকি ৩.৬৭ শতাংশ পিএফ তহবিলে।
advertisement
3/6
ইপিএফও-এর নিয়ম অনুযায়ী, যদি কেউ ১০ বছর পিএফ তহবিলে অবদান রাখেন, তাহলে তিনি পেনশন পাওয়ার যোগ্য হন। কেউ চাইলে ৫০ বছর বয়সে পেনশন ক্লেম করতে পারেন, তবে এতে প্রতি বছর ৪ শতাংশ হারে কাটা যাবে। ৫৮ বছর বয়স পর্যন্ত অপেক্ষা করলে তাঁকে পুরো পেনশন দেওয়া হবে। আর ৬০ বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করলে প্রতি বছর ৪ শতাংশ করে পেনশন বৃদ্ধি পাবে, অর্থাৎ ৬০ বছর বয়সে পেনশন ৮ শতাংশ বা তার বেশি বাড়বে।
ইপিএফও-এর নিয়ম অনুযায়ী, যদি কেউ ১০ বছর পিএফ তহবিলে অবদান রাখেন, তাহলে তিনি পেনশন পাওয়ার যোগ্য হন। কেউ চাইলে ৫০ বছর বয়সে পেনশন ক্লেম করতে পারেন, তবে এতে প্রতি বছর ৪ শতাংশ হারে কাটা যাবে। ৫৮ বছর বয়স পর্যন্ত অপেক্ষা করলে তাঁকে পুরো পেনশন দেওয়া হবে। আর ৬০ বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করলে প্রতি বছর ৪ শতাংশ করে পেনশন বৃদ্ধি পাবে, অর্থাৎ ৬০ বছর বয়সে পেনশন ৮ শতাংশ বা তার বেশি বাড়বে।
advertisement
4/6
বর্তমান EPFO-র নিয়ম অনুযায়ী, পেনশনযোগ্য বেতনের সর্বোচ্চ সীমা ১৫,০০০ টাকা। এর মানে, প্রতি মাসে সর্বাধিক ১৫,০০০ x ৮.৩৩/১০০ = ১,২৫০ টাকা পেনশন তহবিলে জমা হতে পারে। যখন পেনশন গণনা করা হয়, তখন এই সূত্র অনুসারে হিসাব করা হয়: পেনশনযোগ্য বেতন x পেনশনযোগ্য চাকরির বছর / ৭০ = মাসিক পেনশন।
বর্তমান EPFO-র নিয়ম অনুযায়ী, পেনশনযোগ্য বেতনের সর্বোচ্চ সীমা ১৫,০০০ টাকা। এর মানে, প্রতি মাসে সর্বাধিক ১৫,০০০ x ৮.৩৩/১০০ = ১,২৫০ টাকা পেনশন তহবিলে জমা হতে পারে। যখন পেনশন গণনা করা হয়, তখন এই সূত্র অনুসারে হিসাব করা হয়: পেনশনযোগ্য বেতন x পেনশনযোগ্য চাকরির বছর / ৭০ = মাসিক পেনশন।
advertisement
5/6
এখন প্রশ্ন হলো, ৬০ বছর বয়সে কত পেনশন মিলবে? ধরে নেওয়া যাক, কোনও ব্যক্তি ২৩ বছর বয়সে চাকরি শুরু করেছেন এবং ৫৮ বছর বয়সে অবসর নেবেন। এই ক্ষেত্রে, তাঁর মোট চাকরির মেয়াদ হবে ৩৫ বছর। যদি পেনশনযোগ্য বেতন ১৫,০০০ টাকা হয় এবং চাকরির মেয়াদ ৩৫ বছর হয়, তাহলে: ১৫,০০০ x ৩৫ / ৭০ = ৭,৫০০ টাকা হবে মাসিক পেনশন। আর যদি তিনি ৬০ বছর বয়সে পেনশন নেন, তাহলে ৮ শতাংশ অতিরিক্ত বৃদ্ধির সুবিধা পাবেন।
এখন প্রশ্ন হলো, ৬০ বছর বয়সে কত পেনশন মিলবে? ধরে নেওয়া যাক, কোনও ব্যক্তি ২৩ বছর বয়সে চাকরি শুরু করেছেন এবং ৫৮ বছর বয়সে অবসর নেবেন। এই ক্ষেত্রে, তাঁর মোট চাকরির মেয়াদ হবে ৩৫ বছর। যদি পেনশনযোগ্য বেতন ১৫,০০০ টাকা হয় এবং চাকরির মেয়াদ ৩৫ বছর হয়, তাহলে: ১৫,০০০ x ৩৫ / ৭০ = ৭,৫০০ টাকা হবে মাসিক পেনশন। আর যদি তিনি ৬০ বছর বয়সে পেনশন নেন, তাহলে ৮ শতাংশ অতিরিক্ত বৃদ্ধির সুবিধা পাবেন।
advertisement
6/6
কর্মজীবনে নিয়মিত পিএফ কনট্রিবিউশন করলে অবসরের পর তা ভাল পরিমাণের পেনশন হিসেবে ফেরত আসে। যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে চাকরি করছেন, তাঁরা সর্বোচ্চ ৭,৫০০ থেকে ৮,১০০ টাকার মতো পেনশন পেতে পারেন। তবে এই অঙ্ক নির্ভর করবে চাকরির স্থায়িত্ব এবং পিএফ কন্ট্রিবিউশনের উপর। সময়মতো পিএফ ও পেনশন প্ল্যানিং করলে ভবিষ্যৎ আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব।
কর্মজীবনে নিয়মিত পিএফ কনট্রিবিউশন করলে অবসরের পর তা ভাল পরিমাণের পেনশন হিসেবে ফেরত আসে। যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে চাকরি করছেন, তাঁরা সর্বোচ্চ ৭,৫০০ থেকে ৮,১০০ টাকার মতো পেনশন পেতে পারেন। তবে এই অঙ্ক নির্ভর করবে চাকরির স্থায়িত্ব এবং পিএফ কন্ট্রিবিউশনের উপর। সময়মতো পিএফ ও পেনশন প্ল্যানিং করলে ভবিষ্যৎ আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব।
advertisement
advertisement
advertisement