Golden Rules For Investments: : প্রথমবার বিনিয়োগ শুরু করছেন? এই ১০ নিয়ম মেনে চলুন, সহজেই দ্বিগুন হবে টাকা
- Published by:Dolon Chattopadhyay
- trending-desk
- Written by:Trending Desk
Last Updated:
Golden Rules For Investments: কেউ যদি একটি নতুন চাকরি পেয়ে থাকে এবং আর্থিক পরিকল্পনা করতে চায়, তাহলে কোথাও বিনিয়োগ করার আগে কয়েকটি বিষয় পরিষ্কারভাবে বোঝা উচিত।
আর্থিক লক্ষ্যের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য বিনিয়োগ সব সময়েই গুরুত্বপূর্ণ। কেন না, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সব কিছুর বাড়তে থাকে, তা কমে না। এদিকে, উপার্জন বাড়লেও তাকে সেই বর্ধিত খরচের সঙ্গে পাল্লা দিতে হয়। ফলে, সঞ্চয় কিন্তু বাড়ে না। সেই জন্যই বিনিয়োগের মাধ্যমে তহবিল বাড়ানো আমাদের সবার দরকার। কিন্তু, সব কিছুরই একটা শুরু আছে। বিনিয়োগও প্রথমবারের মতোই শুরু হয় কোনও এক জায়গা থেকে। যাতে সেই অভিজ্ঞতা মনে আনন্দ এবং হাতে কাঙ্ক্ষিত রিটার্ন এনে দেয়, তা সবারই খেয়াল রাখতে হবে।
advertisement
কেউ যদি একটি নতুন চাকরি পেয়ে থাকে এবং আর্থিক পরিকল্পনা করতে চায়, তাহলে কোথাও বিনিয়োগ করার আগে কয়েকটি বিষয় পরিষ্কারভাবে বোঝা উচিত। কেউ যদি এটি করে তাহলে সহজেই নিজেদের আর্থিক লক্ষ্যগুলি অর্জন করতে সক্ষম হবে। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক সেই ১০টি সেরা উপায় যা প্রথমবার বিনিয়োগকারীদের সর্বদা মনে রাখা উচিত।
advertisement
নিজেদের আর্থিক লক্ষ্য -প্রথমত, সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে, কোন উদ্দেশ্যে বিনিয়োগ করা হচ্ছে, যেমন একটি বাড়ি কেনা, শিশুদের শিক্ষা, অবসর পরিকল্পনা বা বড় খরচের জন্য সঞ্চয় ইত্যাদি। নিজেদের লক্ষ্য বোঝার পরে, এটিকে স্বল্পমেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদীতে ভাগ করতে হবে, তারপর সেই অনুযায়ী একটি বিনিয়োগের বিকল্প বেছে নিতে হবে।
advertisement
একটি বাজেট তৈরি করতে হবে এবং সঞ্চয় শুরু করতে হবে -বিনিয়োগ করার আগে, নিশ্চিত করতে হবে যে, নিজেদের দৈনন্দিন প্রয়োজন এবং জরুরি তহবিলগুলি কভার করা হয়েছে কি না। প্রতি মাসে কিছু পরিমাণ সঞ্চয় করতে হবে এবং বিনিয়োগ করতে হবে। আর্থিক নিয়ম বলে যে, প্রত্যেক ব্যক্তিকে তার আয়ের ২০% সঞ্চয় করতে হবে এবং বিনিয়োগ করতে হবে।
advertisement
ঝুঁকি সহনশীলতার মূল্যায়ন -প্রতিটি বিনিয়োগে কিছু ঝুঁকি থাকে। তাই সেই ঝুঁকির সহনশীলতা বুঝতে হবে এবং তার ভিত্তিতে বিনিয়োগ করতে হবে। কেউ যদি বেশি ঝুঁকি নিতে না চায়, তাহলে ফিক্সড ডিপোজিট বা বন্ডে বিনিয়োগ করতে হবে। যদি দীর্ঘ মেয়াদে ভাল রিটার্ন পেতে হয়, তাহলে মিউচুয়াল ফান্ড বা স্টক মার্কেটে বিনিয়োগ করতে হবে।
advertisement
advertisement
বৈচিত্র্যময় পোর্টফোলিও -কথায় আছে সব জিনিস এক ঝুড়িতে রাখা উচিত নয়। বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য। শুধুমাত্র একটি জায়গায় বিনিয়োগ ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। অতএব, নিজেদের বিনিয়োগগুলিকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে যেমন, সোনা, মিউচুয়াল ফান্ড, শেয়ার বাজার, এফডি এবং অন্যান্য সরকারি প্রকল্পের মধ্যে ভাগ করতে হবে।
advertisement
দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ -কেউ যদি মিউচুয়াল ফান্ডের মতো বাজার সংযুক্ত স্কিমগুলিতে বিনিয়োগ করে, তবে দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্যগুলি তৈরি করতে হবে। স্বল্পমেয়াদী বাজারের ওঠানামা থেকে ভয় পাওয়া উচিত নয়। দীর্ঘমেয়াদে, এই স্কিমে টাকার গড় খরচের সুবিধা পাওয়া যাবে এবং চক্রবৃদ্ধির সাহায্যে একটি বড় তহবিল গড়ে তোলা যাবে।
advertisement
advertisement
advertisement
আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে -বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আবেগপ্রবণ হয়ে কাজ করা যাবে না। বাজারের অস্থিরতার কারণে বিনিয়োগ বন্ধ করা উচিত নয় এবং অতিরিক্ত লোভের কারণে ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। কাউকে দেখে বা কারও লাভের কথা শুনে টাকা বিনিয়োগ করা উচিত নয়। আগে সমস্ত তথ্য জানতে হবে বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে, তারপর বাজারে বিনিয়োগ করতে হবে।
advertisement