Real Estate Vs Gold: নিরাপদ বিনিয়োগের জন্য কোনটি সবচেয়ে ভাল বিকল্প হবে? রিয়েল এস্টেট না কি সোনা? রিটার্নের অঙ্ক দেখে তবেই সিদ্ধান্ত নিন
- Published by:Dolon Chattopadhyay
- Written by:Trending Desk
Last Updated:
Gold and Real Estate: বিনিয়োগ করছেন কিন্তু নিশ্চিত নন সোনা না রিয়েল এস্টেট কোনটি নিরাপদ? এই প্রতিবেদনে তুলনা করা হয়েছে দুই ক্ষেত্রের লাভ ও ঝুঁকি, যাতে আপনি ২০২৫ সালের জন্য সঠিক বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
advertisement
সঠিক বিনিয়োগের বিকল্প:
ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের জন্য সোনা এবং রিয়েল এস্টেট সর্বদাই সেরা বিনিয়োগের বিকল্প। কেবল সম্পদ সৃষ্টির ক্ষেত্রেই নয়, নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও এগুলি বিশেষ বলে বিবেচিত হয়। কিন্তু বিগত ১০ থেকে ১৫ বছরের রিটার্নের ক্ষেত্রে কোনটি বিনিয়োগকারীদের আরও ধনী করেছে, সোনা না কি রিয়েল এস্টেট? আসলে এই দুই বিকল্পের তুলনা করা আকর্ষণীয় হতে পারে। কারণ বিভিন্ন সময়ে এগুলির পারফরম্যান্স ভিন্ন ভিন্ন ছিল। আর এর নিজস্ব কিছু সুবিধা এবং অসুবিধাও রয়েছে।
ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের জন্য সোনা এবং রিয়েল এস্টেট সর্বদাই সেরা বিনিয়োগের বিকল্প। কেবল সম্পদ সৃষ্টির ক্ষেত্রেই নয়, নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও এগুলি বিশেষ বলে বিবেচিত হয়। কিন্তু বিগত ১০ থেকে ১৫ বছরের রিটার্নের ক্ষেত্রে কোনটি বিনিয়োগকারীদের আরও ধনী করেছে, সোনা না কি রিয়েল এস্টেট? আসলে এই দুই বিকল্পের তুলনা করা আকর্ষণীয় হতে পারে। কারণ বিভিন্ন সময়ে এগুলির পারফরম্যান্স ভিন্ন ভিন্ন ছিল। আর এর নিজস্ব কিছু সুবিধা এবং অসুবিধাও রয়েছে।
advertisement
বিগত ১০ থেকে ১৫ বছরে সোনা:
বিগত ১০ থেকে ১৫ বছরে সোনার দামের উর্ধ্বগতিও অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে। বিগত ১০ থেকে ১৫ বছরে সোনা বার্ষিক গড়ে ১২ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ চক্রবৃদ্ধি হারে (CAGR) রিটার্ন দিয়েছে। অন্য দিকে, ধরে নেওয়া যাক যে, ১৫ বছর আগে যদি ১ লাখ টাকা সোনায় বিনিয়োগ করা হত, তাহলে আজ তা প্রায় ৫ লাখ টাকায় পৌঁছে যেত। যেখানে ১০ বছরে সোনা ১২ থেকে ১৪ শতাংশ রিটার্ন দিয়েছে। তবে বাজারের অস্থির পরিস্থিতি এবং অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার সময় সোনা নিরাপত্তা হিসেবে কাজ করেছে, যার কারণে এর মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিগত ১০ থেকে ১৫ বছরে সোনার দামের উর্ধ্বগতিও অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে। বিগত ১০ থেকে ১৫ বছরে সোনা বার্ষিক গড়ে ১২ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ চক্রবৃদ্ধি হারে (CAGR) রিটার্ন দিয়েছে। অন্য দিকে, ধরে নেওয়া যাক যে, ১৫ বছর আগে যদি ১ লাখ টাকা সোনায় বিনিয়োগ করা হত, তাহলে আজ তা প্রায় ৫ লাখ টাকায় পৌঁছে যেত। যেখানে ১০ বছরে সোনা ১২ থেকে ১৪ শতাংশ রিটার্ন দিয়েছে। তবে বাজারের অস্থির পরিস্থিতি এবং অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার সময় সোনা নিরাপত্তা হিসেবে কাজ করেছে, যার কারণে এর মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে।
advertisement
রিয়েল এস্টেটের আকর্ষণ:
যাইহোক, রিয়েল এস্টেটের রিটার্ন অনেকটাই নির্ভর করে অবস্থান, সম্পত্তির ধরন এবং বাজারের অবস্থার উপর। গড়ে বিগত ১০ থেকে ১৫ বছরে রিয়েল এস্টেট বার্ষিক প্রায় ৫ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশ রিটার্ন দিয়েছে। ধরে নেওয়া যাক, কেউ যদি ১৫ বছর আগে রিয়েল এস্টেটে ১ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করতেন, তাহলে তা ২.৫ লক্ষ টাকায় পৌঁছে যেত। আমরা ধরে নিতে পারি যে, বিগত ১০-১৫ বছরে সোনা রিয়েল এস্টেটের তুলনায় ভাল এবং নির্ভরযোগ্য রিটার্ন দিয়েছে।
যাইহোক, রিয়েল এস্টেটের রিটার্ন অনেকটাই নির্ভর করে অবস্থান, সম্পত্তির ধরন এবং বাজারের অবস্থার উপর। গড়ে বিগত ১০ থেকে ১৫ বছরে রিয়েল এস্টেট বার্ষিক প্রায় ৫ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশ রিটার্ন দিয়েছে। ধরে নেওয়া যাক, কেউ যদি ১৫ বছর আগে রিয়েল এস্টেটে ১ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করতেন, তাহলে তা ২.৫ লক্ষ টাকায় পৌঁছে যেত। আমরা ধরে নিতে পারি যে, বিগত ১০-১৫ বছরে সোনা রিয়েল এস্টেটের তুলনায় ভাল এবং নির্ভরযোগ্য রিটার্ন দিয়েছে।
advertisement
সোনার সুবিধা এবং অসুবিধা:
ভারতীয়দের কাছে সোনা কেবল গয়নার প্রতীক নয়, নিরাপদ বিনিয়োগেরও প্রতীক। এর সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হল - এটি তাৎক্ষণিক ভাবে বিক্রি করা যায় এবং প্রয়োজনে তা নগদে রূপান্তর করা যায়। এছাড়াও অর্থনৈতিক সঙ্কট, মুদ্রাস্ফীতি বা শেয়ার বাজারের পতনের কালে সোনা একটি শক্তিশালী প্রতিরক্ষা কবচ হিসেবেও আবির্ভূত হয়। এতে রক্ষণাবেক্ষণ খরচ বা করের ঝামেলা নেই। যার কারণে এটি দীর্ঘ সময়ের জন্য নিরাপদ থাকে। যদিও সোনা কোনও নিয়মিত আয় প্রদান করতে পারে না এবং এর বৃদ্ধি সীমিত হতে পারে, তবুও এটি একটি বৈচিত্র্যময় পোর্টফোলিওর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিকল্প।
ভারতীয়দের কাছে সোনা কেবল গয়নার প্রতীক নয়, নিরাপদ বিনিয়োগেরও প্রতীক। এর সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হল - এটি তাৎক্ষণিক ভাবে বিক্রি করা যায় এবং প্রয়োজনে তা নগদে রূপান্তর করা যায়। এছাড়াও অর্থনৈতিক সঙ্কট, মুদ্রাস্ফীতি বা শেয়ার বাজারের পতনের কালে সোনা একটি শক্তিশালী প্রতিরক্ষা কবচ হিসেবেও আবির্ভূত হয়। এতে রক্ষণাবেক্ষণ খরচ বা করের ঝামেলা নেই। যার কারণে এটি দীর্ঘ সময়ের জন্য নিরাপদ থাকে। যদিও সোনা কোনও নিয়মিত আয় প্রদান করতে পারে না এবং এর বৃদ্ধি সীমিত হতে পারে, তবুও এটি একটি বৈচিত্র্যময় পোর্টফোলিওর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিকল্প।
advertisement
রিয়েল এস্টেটের সুবিধা এবং অসুবিধা:
দীর্ঘমেয়াদে সম্পদ গড়ে তোলার জন্য রিয়েল এস্টেট খাতে বিনিয়োগকে একটি ভাল এবং স্থিতিশীল বিকল্প হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। এটি কেবল নিয়মিত আয় প্রদান করে না, বরং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সম্পত্তির মূল্যও বৃদ্ধি পেতে পারে। এটি গৃহ ঋণের উপর কর সুবিধাও প্রদান করে, যা এটিকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে। যদিও এতে স্বচ্ছতা কম এবং আরও মূলধনের প্রয়োজন। এর পাশাপাশি রক্ষণাবেক্ষণ খরচটাও রয়েছে। আর আইনি প্রক্রিয়াও বেশ জটিল হতে পারে, তবুও এটি একটি শক্তিশালী বিনিয়োগ বিকল্প হিসেবেই বিবেচিত হয়।
দীর্ঘমেয়াদে সম্পদ গড়ে তোলার জন্য রিয়েল এস্টেট খাতে বিনিয়োগকে একটি ভাল এবং স্থিতিশীল বিকল্প হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। এটি কেবল নিয়মিত আয় প্রদান করে না, বরং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সম্পত্তির মূল্যও বৃদ্ধি পেতে পারে। এটি গৃহ ঋণের উপর কর সুবিধাও প্রদান করে, যা এটিকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে। যদিও এতে স্বচ্ছতা কম এবং আরও মূলধনের প্রয়োজন। এর পাশাপাশি রক্ষণাবেক্ষণ খরচটাও রয়েছে। আর আইনি প্রক্রিয়াও বেশ জটিল হতে পারে, তবুও এটি একটি শক্তিশালী বিনিয়োগ বিকল্প হিসেবেই বিবেচিত হয়।