এক টাকা না দিয়েও প্রতি মাসে মিলবে পেনশন, কীভাবে দেখে নিন বিস্তারিত!

এক সময় ছেলেমেয়েকে বলা হত, বৃদ্ধ বয়সের লাঠি। সময় বদলেছে। এখন শুধু ছেলেমেয়েরাই নয়, বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের জন্য একাধিক পরিকল্পনা নিচ্ছে সরকারও। আর সেই সব স্কিমই হয়ে উঠছে বৃদ্ধ বয়সের লাঠি। যেমন মুখ্যমন্ত্রী বৃদ্ধজন পেনশন প্রকল্প।

বয়স্কদের আর্থিক চাহিদা মেটাতে বিভিন্ন ধরনের পেনশন স্কিম চালু রয়েছে। এই স্কিমগুলির মধ্যে কিছু কেন্দ্র সরকার দ্বারা চালিত হয়, কিছু রাজ্য সরকার দ্বারা। মুখ্যমন্ত্রী বৃদ্ধজন পেনশন প্রকল্প চালায় রাজ্য সরকার।

নতুন এই স্কিম চালু করেছে বিহার সরকার। এই স্কিমের আওতায় প্রবীণ নাগরিকদের পেনশন আকারে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। বিহার সরকারের সমাজ কল্যাণ বিভাগ জানিয়েছে, যাঁদের বয়স ৬০ বছরের বেশি তাঁরা ‘মুখ্যমন্ত্রী বৃদ্ধজন পেনশন যোজনা’-র জন্য আবেদন করতে পারেন।

বিহারে বসবাসকারী প্রবীণদের সাহায্য করার জন্য, নীতীশ কুমার ২০১৯ সালে এই প্রকল্প চালু করেন। এই প্রকল্পের আওতায় এখনও পর্যন্ত ৩০ লক্ষেরও বেশি মানুষ উপকৃত হয়েছেন বলে সরকারি সূত্রে খবর।

মুখ্যমন্ত্রী বৃদ্ধজন পেনশন প্রকল্পের অধীনে, বিহারের ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সী প্রবীণরা সুবিধা পান। এতে প্রবীণ নাগরিকদের দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম ক্যাটাগরিতে ৬০ বছর থেকে ৭৯ বছর বয়সী প্রবীণদের রাখা হয়েছে, দ্বিতীয় ক্যাটাগরিতে রাখা হয়েছে ৮০ বছর বা তার বেশি বয়সীদের।

এই প্রকল্পের আওতায় আসা ব্যক্তিদের প্রতি মাসে রাজ্য সরকার আর্থিক সাহায্য করে। বিহারের ৬০ থেকে ৭৯ বছর বয়সী বৃদ্ধদের সরকার প্রতি মাসে ৪০০ টাকা করে পেনশন দেয়। একইভাবে, ৮০ বছর বা তার বেশি বয়সী প্রবীণ নাগরিকদের আর্থিক সহায়তা হিসাবে প্রতি মাসে ৫০০ টাকা পেনশন দেওয়া হয়।

বিশেষ বিষয় হল এই প্রকল্পের অধীনে, উপকারভোগীকে তাঁর মৃত্যু পর্যন্ত পেনশন দেওয়া হবে। যাঁরা সরকারি এই স্কিমের মাণদণ্ড পূরণ করবেন তাঁরা এই স্কিমের জন্য আবেদন করতে পারেন।

এভাবে আবেদন করতে হবে: মুখ্যমন্ত্রী বার্ধক্য পেনশন স্কিমের সুবিধা নিতে চাইলে ব্লক অফিসের আরপিটিএস কাউন্টারে আবেদন করতে হবে। পাশাপাশি https://www.sspmis.bihar.gov.in –এ ক্লিক করেও আবেদন করা যাবে।

এই নথিগুলি কাছে রাখতে হবে: আধার কার্ড, আধার লিঙ্ক, ব্যাঙ্ক পাসবুক, মোবাইল নম্বর, ভোটার আইডি কার্ড, মুখ্যমন্ত্রী বার্ধক্য পেনশন স্কিম ফর্ম এবং পাসপোর্ট সাইজ ছবি।