পোস্ট অফিসের এই স্কিমে পাওয়া যাচ্ছে দ্বিগুন রিটার্ন, জেনে নিন এখনই

আমরা সবাই প্রায় সর্বদাই এমন স্কিমগুলোর সন্ধান করি, যা ভবিষ্যতে আমাদের অর্থ দ্বিগুণ করতে সহায়তা করে। বর্তমান মূল্যবৃদ্ধির বাজারে সকলেই চাই এমন জায়গায় বিনিয়োগ করতে যেখানে সুরক্ষিত ভাবে মোটা টাকা রিটার্ন পাওয়া সম্ভব। বাজারে বিভিন্ন ধরনের স্কিম থাকলেও এই সকল ক্ষেত্রে সুরক্ষার অভাব রয়েছে।

এই উদ্দেশ্যে বেশ কিছু পোস্ট অফিস স্কিম ডিজাইন করা হয়েছে। পোস্ট অফিস স্কিমগুলি কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা সমর্থিত, যা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে একটি নিরাপদ এবং নিশ্চিত রিটার্ন অফার করে৷ এমনই একটি স্কিম রয়েছে যা ভাল রিটার্ন দিতে পারে, তার নাম কিষাণ বিকাশ পত্র প্রকল্প।

এই স্কিমটি ১৯৮৮ সালে ইন্ডিয়া পোস্ট দ্বারা চালু করা হয়েছিল। অফিসিয়াল ওয়েবসাইট অনুসারে, এই স্কিমের পিছনে লক্ষ্য ছিল "মানুষের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদী আর্থিক শৃঙ্খলাকে উৎসাহিত করা।"

চলতি বছরের ১ এপ্রিল এই প্রকল্পে সুদের হার বাড়িয়েছে সরকার। এই স্কিমের রিটার্ন এখন প্রতি বছর ৭.৫% হারে হবে, যার মানে এই স্কিমের নতুন আপডেট অনুসারে এর মেয়াদ হবে ১১৫ মাস বা ৯ বছর এবং ৭ মাস।

প্রাথমিকভাবে এই স্কিমে টাকা দ্বিগুণ হতে ১২০ মাস সময় লাগতে পারে। কেউ যদি ৪ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন, তাহলে ১১৫ মাসে তাঁদের ফেরত দেওয়া টাকা হবে ৮ লাখ টাকা।

এই স্কিমে সর্বনিম্ন বিনিয়োগের পরিমাণ ১০০০ টাকা এবং সর্বাধিক পরিমাণের জন্য কোনও সীমা নেই। কেউ যদি একটি একক পরিমাণ বিনিয়োগ করতে চান, তাহলে ১১৫ মাসের শেষে এটি দ্বিগুণ হয়ে যাবে।

মানি লন্ডারিং কেস রোধ করতে সরকার ৫০,০০০ টাকা বা তার বেশি টাকার বিনিয়োগকারীদের জন্য প্যান কার্ড প্রমাণ বাধ্যতামূলক করেছে। ১০ লাখ টাকা বা তার বেশি বিনিয়োগের জন্য আয়ের প্রমাণ জমা দিতে হবে, যেমন বেতন স্লিপ, ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট এবং আইটিআর নথি।

প্রথমে এটি কৃষকদের জন্য চালু করা হলেও এখন তা সবার জন্য উন্মুক্ত। এটি দেশের সব ব্যাঙ্ক ও পোস্ট অফিসে পাওয়া যায়।

এই স্কিমটি বেছে নেওয়ার যোগ্যতা হল যে, আবেদনকারীকে একজন ভারতীয় নাগরিক হতে হবে, বয়স ১৮ বছরের বেশি এবং একজন প্রাপ্তবয়স্ক একজন নাবালক বা অসুস্থ মনের ব্যক্তির পক্ষে আবেদন করার যোগ্য। হিন্দু অবিভক্ত পরিবার এবং অনাবাসী ভারতীয় এই স্কিমের জন্য যোগ্য নয়।