ছিলেন অ্যাপল-এর ১০ শতাংশের মালিক, শেয়ার বেচে দেওয়াতেই হল ভরাডুবি ! রোনাল্ড ওয়েনের গল্প জানলে যে কেউ হাত কামড়াবেন

Last Updated:
অ্যাপল শুরু করার ক্ষেত্রে রোনাল্ড ওয়েন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। তিনি অ্যাপলের প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জোবস এবং স্টিভ ওজনিয়াকের বন্ধু ছিলেন।
1/5
নিয়তি কাকে কখন কোন পথে নিয়ে যাবে, তা বলা মুশকিল! রোনাল্ড ওয়েন যদি ১৯৭৬ সালে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি কোম্পানি অ্যাপল থেকে তাঁর ১০% শেয়ার প্রত্যাহার না করতেন, তাহলে তাঁর নাম বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের মধ্যে গণ্য হত। আসলে, এই ১০ শতাংশ শেয়ারের টোটাল ওয়ার্থ এখন ২৬.১ লক্ষ কোটি টাকা লক্ষ কোটি ($300 বিলিয়ন)। ওয়েন তাঁর শেয়ার দুই লক্ষ টাকার কাছাকাছি বিক্রি করেছিলেন। অ্যাপল শুরু করার ক্ষেত্রে রোনাল্ড ওয়েন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। তিনি অ্যাপলের প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জোবস এবং স্টিভ ওজনিয়াকের বন্ধু ছিলেন। (File Photo)
নিয়তি কাকে কখন কোন পথে নিয়ে যাবে, তা বলা মুশকিল! রোনাল্ড ওয়েন যদি ১৯৭৬ সালে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি কোম্পানি অ্যাপল থেকে তাঁর ১০% শেয়ার প্রত্যাহার না করতেন, তাহলে তাঁর নাম বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের মধ্যে গণ্য হত। আসলে, এই ১০ শতাংশ শেয়ারের টোটাল ওয়ার্থ এখন ২৬.১ লক্ষ কোটি টাকা লক্ষ কোটি ($300 বিলিয়ন)। ওয়েন তাঁর শেয়ার দুই লক্ষ টাকার কাছাকাছি বিক্রি করেছিলেন। অ্যাপল শুরু করার ক্ষেত্রে রোনাল্ড ওয়েন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। তিনি অ্যাপলের প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জোবস এবং স্টিভ ওজনিয়াকের বন্ধু ছিলেন। (File Photo)
advertisement
2/5
১৯৭৬ সালে স্টিভ জোবস অ্যাপল প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেন। এটি করার জন্য তাঁর স্টিভ ওজনিয়াকের সমর্থনের প্রয়োজন ছিল। তিনি স্টিভকে দিয়ে এই কাজটি করানোর জন্য রোনাল্ড ওয়েনের উপর আস্থা রেখেছিলেন। ওয়েন এই কাজটি দুর্দান্তভাবে সম্পন্ন করেছিলেন এবং স্টিভ অ্যাপলকে সমর্থন করতে রাজি হয়েছিলেন। ওয়েন তখন আটারি নামক একটি ইলেকট্রনিক্স কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন। ওয়েন কেবল জোবস এবং স্টিভের ঘনিষ্ঠ বন্ধুই ছিলেন না, বরং একজন বিজ্ঞ উপদেষ্টাও ছিলেন। (File Photo)
১৯৭৬ সালে স্টিভ জোবস অ্যাপল প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেন। এটি করার জন্য তাঁর স্টিভ ওজনিয়াকের সমর্থনের প্রয়োজন ছিল। তিনি স্টিভকে দিয়ে এই কাজটি করানোর জন্য রোনাল্ড ওয়েনের উপর আস্থা রেখেছিলেন। ওয়েন এই কাজটি দুর্দান্তভাবে সম্পন্ন করেছিলেন এবং স্টিভ অ্যাপলকে সমর্থন করতে রাজি হয়েছিলেন। ওয়েন তখন আটারি নামক একটি ইলেকট্রনিক্স কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন। ওয়েন কেবল জোবস এবং স্টিভের ঘনিষ্ঠ বন্ধুই ছিলেন না, বরং একজন বিজ্ঞ উপদেষ্টাও ছিলেন। (File Photo)
advertisement
3/5
যদিও ওয়েন ১২ দিন পর কোম্পানি ছেড়ে চলে যান! তিনি খুবই বুদ্ধিমান মানুষ ছিলেন, এবং জোবস এই বিষয়ে ভালভাবেই অবগত ছিলেন। তাই, তিনি অ্যাপলকে একটি কোম্পানি হিসেবে রেজিস্ট্রেশনের সমস্ত কাজ ওয়েনের উপরে অর্পণ করেছিলেন। ওয়েন কোম্পানির চুক্তির খসড়া তৈরি করেছিলেন এবং সমস্ত আইনি নথি প্রস্তুত করেছিলেন, সমস্ত প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিক কাজ সম্পন্ন করেছিলেন এবং কীভাবে কাজ এগিয়ে যাবে তাও ব্যাখ্যা করেছিলেন। এই অবদানের বিনিময়ে তাঁকে অ্যাপলে ১০% শেয়ার দেওয়া হয়েছিল, যেখানে জোবস এবং ওজনিয়াক প্রত্যেকে ৪৫% পেয়েছিলেন। যাই হোক, এই চুক্তির মাত্র ১২ দিন পরে ওয়েন অ্যাপল ছেড়ে চলে যান। তিনি মাত্র ৮০০ ডলারে তার শেয়ার বিক্রি করে দেন। পরে, তাঁকে যে কোনও আইনি দাবি থেকে মুক্ত করার জন্য অতিরিক্ত ১,৫০০ ডলার দেওয়া হয়েছিল। (File Photo)
যদিও ওয়েন ১২ দিন পর কোম্পানি ছেড়ে চলে যান! তিনি খুবই বুদ্ধিমান মানুষ ছিলেন, এবং জোবস এই বিষয়ে ভালভাবেই অবগত ছিলেন। তাই, তিনি অ্যাপলকে একটি কোম্পানি হিসেবে রেজিস্ট্রেশনের সমস্ত কাজ ওয়েনের উপরে অর্পণ করেছিলেন। ওয়েন কোম্পানির চুক্তির খসড়া তৈরি করেছিলেন এবং সমস্ত আইনি নথি প্রস্তুত করেছিলেন, সমস্ত প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিক কাজ সম্পন্ন করেছিলেন এবং কীভাবে কাজ এগিয়ে যাবে তাও ব্যাখ্যা করেছিলেন। এই অবদানের বিনিময়ে তাঁকে অ্যাপলে ১০% শেয়ার দেওয়া হয়েছিল, যেখানে জোবস এবং ওজনিয়াক প্রত্যেকে ৪৫% পেয়েছিলেন। যাই হোক, এই চুক্তির মাত্র ১২ দিন পরে ওয়েন অ্যাপল ছেড়ে চলে যান। তিনি মাত্র ৮০০ ডলারে তার শেয়ার বিক্রি করে দেন। পরে, তাঁকে যে কোনও আইনি দাবি থেকে মুক্ত করার জন্য অতিরিক্ত ১,৫০০ ডলার দেওয়া হয়েছিল। (File Photo)
advertisement
4/5
ওয়েন আসলে ঋণের ভয় পেয়েছিলেন! সেই সময় অ্যাপলের মূলধন কম ছিল এবং স্টিভ জোবস ৫০টি কম্পিউটারের অর্ডার পূরণের জন্য বাইট শপ নামের একটি ইলেকট্রনিক্স স্টোর থেকে ১৫,০০০ ডলার ধার নিয়েছিলেন। ‘‘আমি ভেবেছিলাম, যদি আমরা টাকা না পাই, তাহলে আমরা সেই ১৫,০০০ ডলার কীভাবে ফেরত দেব? জোবস এবং ওজনিয়াকের কাছে কোনও টাকা ছিল না, কিন্তু আমার একটি বাড়ি, একটি গাড়ি এবং একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ছিল। যদি কিছু ভুল হয়, তাহলে আমিই সব হারাব ৷’’ (File Photo)
ওয়েন আসলে ঋণের ভয় পেয়েছিলেন! সেই সময় অ্যাপলের মূলধন কম ছিল এবং স্টিভ জোবস ৫০টি কম্পিউটারের অর্ডার পূরণের জন্য বাইট শপ নামের একটি ইলেকট্রনিক্স স্টোর থেকে ১৫,০০০ ডলার ধার নিয়েছিলেন। ‘‘আমি ভেবেছিলাম, যদি আমরা টাকা না পাই, তাহলে আমরা সেই ১৫,০০০ ডলার কীভাবে ফেরত দেব? জোবস এবং ওজনিয়াকের কাছে কোনও টাকা ছিল না, কিন্তু আমার একটি বাড়ি, একটি গাড়ি এবং একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ছিল। যদি কিছু ভুল হয়, তাহলে আমিই সব হারাব ৷’’ (File Photo)
advertisement
5/5
ওয়েন ২০১৭ সালের এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন যে এই ভয় তাঁকে অ্যাপল ছাড়তে বাধ্য করেছিল। রোনাল্ড ওয়েন যদি সেই ১০% শেয়ার বিক্রি না করতেন, তাহলে বর্তমানে তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ হত ৩০০ বিলিয়ন ডলার। অ্যাপলের বর্তমান বাজার মূলধন প্রায় ৩ ট্রিলিয়ন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় ২৫০ ট্রিলিয়ন টাকা)। এর অর্থ হল ওয়েনের শেয়ারের পরিমাণ স্টিভ জবস বা বিল গেটসের চেয়েও বেশি হত। তিনি বিশ্বের শীর্ষ বিলিয়নেয়ারদের মধ্যে স্থান পেতেন। কিন্তু ভাগ্য তাঁর কাছ থেকে এই সুবর্ণ সুযোগ কেড়ে নেয়
ওয়েন ২০১৭ সালের এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন যে এই ভয় তাঁকে অ্যাপল ছাড়তে বাধ্য করেছিল। রোনাল্ড ওয়েন যদি সেই ১০% শেয়ার বিক্রি না করতেন, তাহলে বর্তমানে তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ হত ৩০০ বিলিয়ন ডলার। অ্যাপলের বর্তমান বাজার মূলধন প্রায় ৩ ট্রিলিয়ন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় ২৫০ ট্রিলিয়ন টাকা)। এর অর্থ হল ওয়েনের শেয়ারের পরিমাণ স্টিভ জবস বা বিল গেটসের চেয়েও বেশি হত। তিনি বিশ্বের শীর্ষ বিলিয়নেয়ারদের মধ্যে স্থান পেতেন। কিন্তু ভাগ্য তাঁর কাছ থেকে এই সুবর্ণ সুযোগ কেড়ে নেয় অথবা সম্ভবত তিনি নিজেই তা প্রত্যাখ্যান করেন, তাও বলা যায়! (File Photo)
advertisement
advertisement
advertisement