একটি ফোন কলেই বদলে গেল e-Rickshaw চালকের ভাগ্য, রাতারাতি হয়ে গেলেন লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক !
- Published by:Dolon Chattopadhyay
- local18
- Written by:Trending Desk
Last Updated:
তাঁর এই সাফল্যের পিছনে অবশ্য রয়েছে কঠোর পরিশ্রমও। আজ ওই টোটোচালকের সাফল্যের কাহিনিই শুনে নেওয়া যাক।
advertisement
advertisement
advertisement
পরশমণি সিং বলেন যে, সেই ২০০৩ সাল থেকেই কেবিসি-র জন্য চেষ্টা করে আসছেন তিনি। এর মধ্যে বেশ কয়েক বার কলও এসেছিল সেখান থেকে, কিন্তু কখনওই তিনি নির্বাচিত হননি। পরশমণি বলে চলেন, ২০১৯ এবং ২০২১ সালের মধ্যে করোনা অতিমারীর কারণে সৃষ্ট আর্থিক সঙ্কটের কারণে নিজের দোকান বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি। এরপর সংসার খরচ জোটাতে একটি টোটো কিনে তা চালাতে শুরু করেন।
advertisement
advertisement
কেবিসিতে জেতার পর পরশমণি সিং বলেছিলেন যে, কলেজ জীবনে গান লিখতে পছন্দ করতেন। এই সময়ে তিনি অনেক গান লিখেছিলেন। এর মধ্যে থেকে ওই মঞ্চে নিজের লেখা ‘অদ্ভুত তমতম’ গানটি গেয়ে শুনিয়েছিলেন তিনি। যা শুনে স্বয়ং অমিতাভ বচ্চনও আবেগতাড়িত হয়ে পড়েছিলেন। এদিকে পরশমণির অসুস্থতার কথা জানার পরে অমিতাভ বচ্চন তাঁর চিকিৎসার খরচ বহন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং মুম্বইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসার সম্পূর্ণ খরচ বহন করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন।
advertisement
পরশমণির তিন কন্যা রয়েছে। আর কেবিসি-তে জেতা এই পুরস্কারের অর্থ তিনি মেয়েদের পড়াশোনার জন্যই খরচ করবেন বলে জানান। ওই গেম শোয়ের সেটে পরশমণির সঙ্গে উপস্থিত হয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী অংশু দেবীও। তিনি Local 18-কে জানান যে, স্বামীর সাফল্যে তিনি এতটাই আনন্দিত, যা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। আর স্বয়ং অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পাওয়া তো তাঁর কাছে পরম সৌভাগ্যের বিষয়! এদিকে পরশমণির জয়ের পর তাঁর স্ত্রীর হাতে উপহারস্বরূপ একটি স্বর্ণমুদ্রাও তুলে দিয়েছেন অমিতাভ বচ্চন।