মাসিক বেতন ছিল ১৮ হাজার টাকা, আফজল এখন ৪ কোটি টাকার মালিক ! ভাগ্য ফেরাল Dream11
- Published by:Siddhartha Sarkar
- local18
Last Updated:
Dream 11 Khandwa Winner: বন্ধুরা না কি হামেশাই বলতেন আফজলকে, ড্রিম১১-এ একটা পছন্দের দল তৈরি করে তিনি নিজের ভাগ্য ফেরাতে পারেন। আফজল প্রথমে ব্যাপারটাকে তেমন গুরুত্ব দেননি। একটা খেলা কোটিপতি করে দিতে, তা তাঁর অবিশ্বাস্যই মনে হয়েছিল। তবে, পরে একদিন মনে হয় তা করেই দেখা যাক না! শুরু হয় ড্রিম১১-এ তাঁর যাত্রা।
Report- Sawan Patil: ক্রিকেট প্রেমে বরাবরই পোড়েন এই দেশের কোটি কোটি নাগরিক। সেই আবেগকেই অর্থ উপার্জনের পথে বদলে দিয়েছে ড্রিম১১। মাঝে মাঝেই খবর মেলে যে ড্রিম১১-এ নিজের পছন্দের একটি ক্রিকেট দল তৈরি করে ১ কোটি টাকা জিতে নিয়েছেন দেশের কোনও এক নাগরিক। তবে, এবার আর ১ কোটি নয়, সরাসরি ৪ কোটি টাকা জেতার খবর সামনে এল।
advertisement
এই খবরের নায়কের নাম আফজল খান। তিনি মধ্যপ্রদেশের খান্ডোয়া জেলার হারুদের বাসিন্দা। এক ট্র্যাভেল এজেন্সিতে অ্যাকাউন্ট কিপারের কাজ করেন আফজল। মাসে বেতন পান মাত্র ১৮ হাজার টাকা। তাই দিয়েই এত দিন পর্যন্ত চলছিল দারিদ্র্যের সঙ্গে তাঁর নিত্য সংগ্রাম। তবে, বন্ধুরা না কি হামেশাই বলতেন আফজলকে, ড্রিম১১-এ একটা পছন্দের দল তৈরি করে তিনি নিজের ভাগ্য ফেরাতে পারেন। আফজল প্রথমে ব্যাপারটাকে তেমন গুরুত্ব দেননি। একটা খেলা কোটিপতি করে দিতে, তা তাঁর অবিশ্বাস্যই মনে হয়েছিল। তবে, পরে একদিন মনে হয় তা করেই দেখা যাক না! শুরু হয় ড্রিম১১-এ তাঁর যাত্রা।
advertisement
জানা গিয়েছে যে সম্প্রতি পঞ্জাব এবং আরসিবির মধ্যের ম্যাচে আফজল একটি দল তৈরি করেছিলেন। ম্যাচ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁর এক বন্ধুর কাছ থেকে ফোন আসে। সেই বন্ধু বলেন, ‘‘ভাই, তুমি কোটিপতি হয়ে গিয়েছ!’’ আফজল নিজে এই প্রসঙ্গে বলেন যে তিনি দল তৈরি করে ঘুমোতে গিয়েছিলেন, আর কিছু দেখেননি, ভাবেননিও। রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ এক বন্ধু ফোন করেন। জানান, আফজলের তৈরি করা দলই পুরষ্কারের তালিকায় একেবারে রয়েছে। আফজলও দেখেন যে তাঁর অ্যাকাউন্টে ৪ কোটি ৪৭১ টাকা পুরস্কার জমা হয়ে গিয়েছে। খুব স্বাভাবিক ভাবেই সেই রাতে তিনি ঘুমোতে পারেননি।
advertisement
আফজল এই জয়ের খবর বাবা এবং ভাইকে প্রথমে দেন। দেখতে দেখতে খবর ছড়িয়ে পড়ে। বাড়িতে গ্রামের লোক ভিড় জমান, অভিনন্দনের বন্যায় প্লাবিত হন আফজল। জানান, এই টাকা থেকে প্রথমেই বাবার ঋণ শোধ করবেন। কিছু খরচ হবে বাচ্চাদের পড়াশোনায়। হজ যাত্রার পরিকল্পনাও করছেন আফজল, গ্রামের মন্দিরেও কিছু টাকা দান করার পরিকল্পনা তাঁর রয়েছে।
advertisement
আফজলের সাফল্যে ট্র্যাভেল এজেন্সি এবং সহকর্মীরাও খুশি, তাঁরা একে নিজেদেরই জয় বলে মনে করছেন। যদিও আফজল সতর্কতারই বার্তা দিয়েছেন দেশের উদ্দেশে। ‘‘আমি কাউকে এতে অর্থ বিনিয়োগ করতে উৎসাহিত করব না। এতে ১০০% আর্থিক ঝুঁকি রয়েছে। কোটি কোটি মানুষ এতে হেরে যান এবং মাত্র কয়েকজনই জেতেন। তাই আপনার কেরিয়ারের উপর মনোযোগ দিন, কঠোর পরিশ্রম করুন এবং সাবধানে চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নিন’’, বলছেন তিনি।