Business Idea: প্লাস্টিকের ড্রাম, সামান্য জলেই দুর্দান্ত বিজনেস আইডিয়া! ৩ দিনে ডবল, অ্যাজোলা চাষ বাড়তি আয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছে গ্রামীণ মানুষদের

Last Updated:
গবাদি পশু, হাঁস, মুরগি বা মাছ — সবার খাবারেই অ্যাজোলা সমান কার্যকর। এতে দুধ উৎপাদন বৃদ্ধি পায়, পশুর রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং মাংস উৎপাদনও বেশি হয়। হাঁস-মুরগির ক্ষেত্রেও দেখা গেছে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি ও স্বাস্থ্যকর ফলাফল।
1/6
গৃহপালিত পশু পালন করতে চাইলেও অনেক সময়ই সমস্যায় পড়তে হয় পর্যাপ্ত পশুখাদ্যের অভাবে। গোচারণভূমি না থাকায় গবাদি পশুদের খাবার জোগাড় করা হয়ে দাঁড়ায় এক বড় চ্যালেঞ্জ। কিন্তু এখন সেই সমস্যা মিটতে পারে বাড়ির অল্প জায়গাতেই। কারণ এখন সহজ উপায়েই সম্ভব পশুখাদ্য উৎপাদন — ঘরোয়া স্তরে অ্যাজোলা চাষ করে।
গৃহপালিত পশু পালন করতে চাইলেও অনেক সময়ই সমস্যায় পড়তে হয় পর্যাপ্ত পশুখাদ্যের অভাবে। গোচারণভূমি না থাকায় গবাদি পশুদের খাবার জোগাড় করা হয়ে দাঁড়ায় এক বড় চ্যালেঞ্জ। কিন্তু এখন সেই সমস্যা মিটতে পারে বাড়ির অল্প জায়গাতেই। কারণ এখন সহজ উপায়েই সম্ভব পশুখাদ্য উৎপাদন — ঘরোয়া স্তরে অ্যাজোলা চাষ করে।
advertisement
2/6
উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হিঙ্গলগঞ্জ, সন্দেশখালি সহ বসিরহাট মহকুমার বিভিন্ন এলাকায় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে গ্রামবাসীদের মধ্যে শুরু হয়েছে এই অ্যাজোলা চাষের। এতে শুধু পশুপালন সহজ হবে না, গ্রামীণ অর্থনীতিতেও আসবে নতুন দিশা। স্থানীয় স্তরে তৈরি হবে পশুখাদ্যের স্বনির্ভর ব্যবস্থা।
উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হিঙ্গলগঞ্জ, সন্দেশখালি সহ বসিরহাট মহকুমার বিভিন্ন এলাকায় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে গ্রামবাসীদের মধ্যে শুরু হয়েছে এই অ্যাজোলা চাষের। এতে শুধু পশুপালন সহজ হবে না, গ্রামীণ অর্থনীতিতেও আসবে নতুন দিশা। স্থানীয় স্তরে তৈরি হবে পশুখাদ্যের স্বনির্ভর ব্যবস্থা।
advertisement
3/6
অ্যাজোলা হল একধরনের ক্ষুদ্র জলজ ফার্ণ জাতীয় উদ্ভিদ, যাকে বাংলায় পানা, ক্ষুদিপানা বা বুটি পানা নামেও ডাকা হয়। এটি বায়ুমণ্ডলীয় নাইট্রোজেন শোষণ করে পাতায় জমিয়ে রাখে, ফলে এটি একইসঙ্গে পশুখাদ্য ও জৈব সার হিসেবে অত্যন্ত কার্যকর। ধানক্ষেত, ডোবা, খাল, পুকুর—সব জায়গাতেই সহজে জন্মে এই উদ্ভিদ।
অ্যাজোলা হল একধরনের ক্ষুদ্র জলজ ফার্ণ জাতীয় উদ্ভিদ, যাকে বাংলায় পানা, ক্ষুদিপানা বা বুটি পানা নামেও ডাকা হয়। এটি বায়ুমণ্ডলীয় নাইট্রোজেন শোষণ করে পাতায় জমিয়ে রাখে, ফলে এটি একইসঙ্গে পশুখাদ্য ও জৈব সার হিসেবে অত্যন্ত কার্যকর। ধানক্ষেত, ডোবা, খাল, পুকুর—সব জায়গাতেই সহজে জন্মে এই উদ্ভিদ।
advertisement
4/6
গবাদি পশু, হাঁস, মুরগি বা মাছ — সবার খাবারেই অ্যাজোলা সমান কার্যকর। এতে দুধ উৎপাদন বৃদ্ধি পায়, পশুর রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং মাংস উৎপাদনও বেশি হয়। হাঁস-মুরগির ক্ষেত্রেও দেখা গেছে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি ও স্বাস্থ্যকর ফলাফল।
গবাদি পশু, হাঁস, মুরগি বা মাছ — সবার খাবারেই অ্যাজোলা সমান কার্যকর। এতে দুধ উৎপাদন বৃদ্ধি পায়, পশুর রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং মাংস উৎপাদনও বেশি হয়। হাঁস-মুরগির ক্ষেত্রেও দেখা গেছে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি ও স্বাস্থ্যকর ফলাফল।
advertisement
5/6
চাষ পদ্ধতিটিও অত্যন্ত সহজ। যে কোনও প্লাস্টিক ড্রাম, ব্যারেল, টব বা ছোট জলাধারে সামান্য জল রেখে তাতেই অ্যাজোলা চাষ করা যায়। মাত্র তিন দিনেই এটি দ্বিগুণ পরিমাণে বৃদ্ধি পায়। মাছ চাষের পুকুরের এক পাশে ছোট ঘের তৈরি করেও চাষ সম্ভব। শুকিয়ে গুঁড়ো করে মাছের খাদ্যের সঙ্গেও মেশানো যায় এই পুষ্টিকর উপাদানটি।
চাষ পদ্ধতিটিও অত্যন্ত সহজ। যে কোনও প্লাস্টিক ড্রাম, ব্যারেল, টব বা ছোট জলাধারে সামান্য জল রেখে তাতেই অ্যাজোলা চাষ করা যায়। মাত্র তিন দিনেই এটি দ্বিগুণ পরিমাণে বৃদ্ধি পায়। মাছ চাষের পুকুরের এক পাশে ছোট ঘের তৈরি করেও চাষ সম্ভব। শুকিয়ে গুঁড়ো করে মাছের খাদ্যের সঙ্গেও মেশানো যায় এই পুষ্টিকর উপাদানটি।
advertisement
6/6
সবচেয়ে বড় কথা, সাধারণ ঘাসের তুলনায় অ্যাজোলায় থাকে কয়েকগুণ বেশি পুষ্টি। তাই এটি এখন গ্রামীণ পশুপালনের ক্ষেত্রে এক নতুন আশার আলো। বাড়ির অল্প জমিতে এই চাষ করলে শুধু পশুখাদ্যের জোগানই নয়, অতিরিক্ত উৎপাদন বিক্রি করে অতিরিক্ত আয়ের পথও খুলে যায় গ্রামীণ মানুষের কাছে।
সবচেয়ে বড় কথা, সাধারণ ঘাসের তুলনায় অ্যাজোলায় থাকে কয়েকগুণ বেশি পুষ্টি। তাই এটি এখন গ্রামীণ পশুপালনের ক্ষেত্রে এক নতুন আশার আলো। বাড়ির অল্প জমিতে এই চাষ করলে শুধু পশুখাদ্যের জোগানই নয়, অতিরিক্ত উৎপাদন বিক্রি করে অতিরিক্ত আয়ের পথও খুলে যায় গ্রামীণ মানুষের কাছে।
advertisement
advertisement
advertisement