অবসর জীবনে টাকা কম পড়বে না তো? এই ৫ লক্ষণ দেখলে এখন থেকেই সাবধান হন!

অবসর জীবন যেন নিশ্চিন্তে কাটে। এমনটা চান প্রত্যেকেই। বিশেষ করে টাকার চিন্তা যেন করতে না হয়। সে জন্য চাকরিজীবন থেকেই শুরু হয়ে যায় অবসরজীবন কাটানোর পরিকল্পনা। সেই মতো বিনিয়োগও করেন অনেকে। কিন্তু চিন্তার বিষয় হল, অনেক সময়ই পরিকল্পনা ফলপ্রসূ হয় না। অর্থাৎ যে বাজেট থাকলে নিশ্চিন্তে কাটানো যাবে মনে হয়েছিল, সেটা প্রয়োজনের তুলনায় আসলে অনেক কম। কোথা থেকে বোঝা যায় বিষয়টা?

লং টার্ম কেয়ার প্ল্যান না থাকা: প্রত্যেকেরই লং টার্ম কেয়ার প্ল্যান প্রয়োজন। এটা না থাকলে অবসরের অর্থ দ্রুত ফুরিয়ে যেতে পারে। লং টার্ম কেয়ার প্ল্যান না থাকলে ধনী ব্যক্তিদেরও ঝুঁকি রয়েছে। এমনটাই বলছেন আমেরিকান কলেজের অধ্যাপক ডেভ লিটেল।

জীবন প্রত্যাশার অবমূল্যায়ন: একজন মানুষ কত বছর বাঁচবে, কেউ জানে না। যদি কেউ প্রত্যাশার চেয়ে বেশি দিন বাঁচেন, তখন? সোশ্যাল সিকিউরিটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অনুসারে, ৬৫ বছর বয়সী ৩ জনের মধ্যে এক জন ৯০ বছর বয়স পর্যন্ত বেঁচে থাকবেন। এখন যদি কেউ অবসর পরবর্তী ২০ বছরের জন্য সঞ্চয় করেন এবং তিনি ৩০ বছর বাঁচেন তাহলে ১০ বছর বেঁচে থাকার খরচ তাঁকে জোগাড় করতে হবে।

স্বাস্থ্য পরিষেবায় বাড়তি খরচ: চিকিৎসা খরচ দিনদিন বাড়ছে। একটা বয়সের পর রোগভোগ অবশ্যাম্ভাবী। কিন্তু সেটা কত তা বোঝা মুশকিল। তাই বেশি টাকার স্বাস্থ্য বিমা করানো উচিত। না হলে অবসর জীবনের সঞ্চয় থেকে চিকিৎসা খরচ জোটাতে হবে।

মূল্যস্ফীতির হিসেব করতে হবে: চাকরি জীবনে বেতন বাড়ে। মুদ্রাস্ফীতির প্রভাব খুব একটা বোঝা যায় না। কিন্তু অবসরকালীন সঞ্চয়-গণনার মধ্যে মুদ্রাস্ফীতি বড় ফ্যাক্টর হয়ে উঠতে পারে। সব দেশেই পণ্য এবং পরিষেবা খরচ প্রতি বছর বৃদ্ধি পায়। সেই অনুযায়ী অবসরকালীন সঞ্চয় না করলে হাত কামড়ানো ছাড়া পথ থাকে না।

ট্যাক্স দিতে হবে: অবসরকালীন সঞ্চয়ে ট্যাক্স কতবড় কামড় দিতে পারে তা আগাম আন্দাজ করা যায় না। কারণ কর তো দিতেই হবে। অতএব সঞ্চয়ও করতে হবে বেশি। যাতে ট্যাক্স দিয়েও পর্যাপ্ত অর্থ হাতে থাকে।