Success Story: MBA পাশ করেও চাকরি নয়, পেয়ারা চাষ করেই লক্ষ লক্ষ টাকা লাভ তরুণের

Last Updated:
পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে চলে গিয়েছিল যে কৃষক পরিবারের সন্তানরাও কৃষিকাজে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছিলেন। সকলেই চাকরির উপর নির্ভর করে প্রতিষ্ঠা পেতে চাইছিলেন। কিন্তু সেই পরিস্থিতি একেবারে বদলে গিয়েছে।
1/7
একটা সময় ছিল যখন ভারতীয় সমাজে মনে করা হত লেখাপড়া শিখে ভাল চাকরি করাই উন্নতির একমাত্র মাপকাঠি। এমনকী পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে চলে গিয়েছিল যে কৃষক পরিবারের সন্তানরাও কৃষিকাজে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছিলেন। সকলেই চাকরির উপর নির্ভর করে প্রতিষ্ঠা পেতে চাইছিলেন। কিন্তু সেই পরিস্থিতি একেবারে বদলে গিয়েছে। ইদানীং কৃষির প্রতি আগ্রহ বাড়ছে অন্য পেশা-পরিবারের মানুষেরও।
একটা সময় ছিল যখন ভারতীয় সমাজে মনে করা হত লেখাপড়া শিখে ভাল চাকরি করাই উন্নতির একমাত্র মাপকাঠি। এমনকী পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে চলে গিয়েছিল যে কৃষক পরিবারের সন্তানরাও কৃষিকাজে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছিলেন। সকলেই চাকরির উপর নির্ভর করে প্রতিষ্ঠা পেতে চাইছিলেন। কিন্তু সেই পরিস্থিতি একেবারে বদলে গিয়েছে। ইদানীং কৃষির প্রতি আগ্রহ বাড়ছে অন্য পেশা-পরিবারের মানুষেরও।
advertisement
2/7
এটা ঠিক যে ভারত প্রায় সম্পূর্ণ ভাবেই কৃষির উপর নির্ভরশীল। এদেশের বেশির ভাগ মানুষ কৃষি কাজের সঙ্গে যুক্ত। অনেক রকম সমস্যা মোকাবিলা করে এদেশের কৃষকরা দীর্ঘদিন ধরে কৃষির উপরই আস্থা রেখেছেন।
এটা ঠিক যে ভারত প্রায় সম্পূর্ণ ভাবেই কৃষির উপর নির্ভরশীল। এদেশের বেশির ভাগ মানুষ কৃষি কাজের সঙ্গে যুক্ত। অনেক রকম সমস্যা মোকাবিলা করে এদেশের কৃষকরা দীর্ঘদিন ধরে কৃষির উপরই আস্থা রেখেছেন।
advertisement
3/7
তবে ঐতিহ্যবাহী ফসলে লাভের পরিমাণ ইদানীং ক্রমশ কমে আসছিল। তার ফলেই আগ্রহ হারাচ্ছিলেন পরবর্তী প্রজন্মের কৃষকরা। কিন্তু লাভ হচ্ছে না বলে কৃষিকাজ ছেড়ে দিলে তো চলবে না। তাই অনেক কৃষকই ক্ষেতে উদ্ভাবনী পদ্ধতি ব্যবহার করেতে শুরু করছেন। তার ফলও মিলেছে হাতে নাতে।
তবে ঐতিহ্যবাহী ফসলে লাভের পরিমাণ ইদানীং ক্রমশ কমে আসছিল। তার ফলেই আগ্রহ হারাচ্ছিলেন পরবর্তী প্রজন্মের কৃষকরা। কিন্তু লাভ হচ্ছে না বলে কৃষিকাজ ছেড়ে দিলে তো চলবে না। তাই অনেক কৃষকই ক্ষেতে উদ্ভাবনী পদ্ধতি ব্যবহার করেতে শুরু করছেন। তার ফলও মিলেছে হাতে নাতে।
advertisement
4/7
মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা প্রফুল্ল লাঠি এখন একজন সফল কৃষক। অথচ, এক সময় তিনিই ছিলেন অন্য পেশার মানুষ। এমবিএ স্নাতক প্রফুল্ল মোটা বেতনের চাকরি করতেন। সেই সব ছেড়ে তিনি শুরু করেন জৈব চাষ। আর তা থেকেই লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করছেন তিনি।
মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা প্রফুল্ল লাঠি এখন একজন সফল কৃষক। অথচ, এক সময় তিনিই ছিলেন অন্য পেশার মানুষ। এমবিএ স্নাতক প্রফুল্ল মোটা বেতনের চাকরি করতেন। সেই সব ছেড়ে তিনি শুরু করেন জৈব চাষ। আর তা থেকেই লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করছেন তিনি।
advertisement
5/7
২০১৭ সাল থেকে প্রফুল্ল তাঁর পৈতৃক ১৬ একর জমিতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেন। প্রাথমিক ভাবে পেয়ারা চাষ করার সিদ্ধান্ত নেন। মনোজ লাঠির ছেলে প্রফুল্ল তাঁর বাবার সঙ্গেই জৈব চাষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
২০১৭ সাল থেকে প্রফুল্ল তাঁর পৈতৃক ১৬ একর জমিতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেন। প্রাথমিক ভাবে পেয়ারা চাষ করার সিদ্ধান্ত নেন। মনোজ লাঠির ছেলে প্রফুল্ল তাঁর বাবার সঙ্গেই জৈব চাষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
advertisement
6/7
ছত্তিসগঢ়ের রায়পুরে এক হাজার পেয়ারা গাছ কিনে নিয়ে আসেন তাঁরা। চারা রোপণের প্রথম বছর ভাল ফলন হয়েছে। কিন্তু গত দুই-তিন বছর ধরে তাঁর পেয়ারা বাগানে কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে।ফলে খানিকটা আশাহত হয়েই অনেক ধরনের ফসলের বীজ বুনতে শুরু করেন। তাতে বহু টাকা ক্ষতি হয়েছে বলেও জানিয়েছেন প্রফুল্ল।
ছত্তিসগঢ়ের রায়পুরে এক হাজার পেয়ারা গাছ কিনে নিয়ে আসেন তাঁরা। চারা রোপণের প্রথম বছর ভাল ফলন হয়েছে। কিন্তু গত দুই-তিন বছর ধরে তাঁর পেয়ারা বাগানে কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে।ফলে খানিকটা আশাহত হয়েই অনেক ধরনের ফসলের বীজ বুনতে শুরু করেন। তাতে বহু টাকা ক্ষতি হয়েছে বলেও জানিয়েছেন প্রফুল্ল।
advertisement
7/7
তার পরই তাঁরা জৈব চাষের কথা ভাবেন। সার এবং কম্পোস্ট সবই ব্যবহৃত হয় জৈব পদ্ধতিতে। তাঁরা গোবর ও মূত্র থেকে তৈরি একটি সার গাছে দিয়ে থাকেন। তার ফলে এবছর ২০ থেকে ২৫ টন পেয়ারা উৎপাদন হয়েছে।যমনোজ লাঠি বলেছেন যে তিনি এই বছরে ১০ লক্ষ টাকা আয়ের আশা করছেন।
তার পরই তাঁরা জৈব চাষের কথা ভাবেন। সার এবং কম্পোস্ট সবই ব্যবহৃত হয় জৈব পদ্ধতিতে। তাঁরা গোবর ও মূত্র থেকে তৈরি একটি সার গাছে দিয়ে থাকেন। তার ফলে এবছর ২০ থেকে ২৫ টন পেয়ারা উৎপাদন হয়েছে।যমনোজ লাঠি বলেছেন যে তিনি এই বছরে ১০ লক্ষ টাকা আয়ের আশা করছেন।
advertisement
advertisement
advertisement