অফিস না কি ওয়ার্ক ফ্রম হোম, কোনটা ভাল? কর্মীদের উত্তর শুনলে বিশ্বাস হবে না

ওয়ার্ক ফ্রম হোম-এর দিন শেষ। অফিস শুরু। করোনা অতিমারীর সময় প্রায় দু’বছর ধরে চলেছে বাড়ি থেকে কাজ। অভ্যাস হয়ে গিয়েছিল। এখন ফের রোজ খেয়েদেয়ে ভিড় বাসে অফিস ছুটতে হচ্ছে। অনেকেই বিরক্ত। কিন্তু উপায়ও নেই। অফিস না কি বাড়ি থেকে কাজ, কোনটা ভাল? এক সমীক্ষায় চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল।

সিবিআরই নামের একটি রিয়েল এস্টেট পরামর্শদাতা সংস্থা এর উপর সমীক্ষা চালায়। সেখানে দেখা যাচ্ছে, কর্মীরা বাড়ি থেকে কাজের বদলে অফিসে যেতেই বেশি আগ্রহী। তাঁদের মতে, এতে কাজ ভাল হয়। কিন্তু কোম্পানিগুলো বলছে উল্টো কথা। ওয়ার্ক ফ্রম হোমেই কর্মীরা বেশি ভাল কাজ করেছে বলে মত তাদের।

ওয়ার্ক ফ্রম হোমে চাপ বেশি: সমীক্ষায় উঠে এসেছে, অফিস থেকে দূরে বাড়ি বা প্রত্যন্ত অঞ্চলে বাস এমন কর্মীরা বলছেন, বাড়ি থেকে কাজে চাপ বেশি। কাজের মানও ভাল হয় না।

অনেকেই মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। ৭০ শতাংশ কর্মী এই দাবি করেছেন। ৬৮ শতাংশ কর্মী বলেছেন, বাড়ি থেকেই ভাল কাজ হয়। ৬৬ শতাংশ কর্মীর মতে, ওয়ার্ক ফ্রম হোমই কাজের সঠিক পদ্ধতি।

বাড়িতে একা একা কাজ। ঘরে ল্যাপটপে মুখ গুঁজে বসে থাকো। অফিসে সহকর্মীদের সঙ্গে হাসিঠাট্টা, গল্পগুজব করা যায়। এই পরিবেশ ‘মিস’ করেছেন অনেকেই। ফের অফিসে যেতে শুরু করেছেন ৮৩ শতাংশ কর্মী বলছেন, সহকর্মীদের সঙ্গে আগের থেকে অনেক ভাল সম্পর্ক। ৬৯ শতাংশ কর্মী অবশ্য একমত নন।

শুধু তাই নয়, সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ওয়ার্ক ফ্রম হোমের সময় অনেকেই নতুন চাকরির খোঁজ করতেন। কেন? পুরনো কর্মস্থল নিয়ে মনের মধ্যে জমে থাকা নানা অসন্তোষ, ক্ষোভ এভাবেই বেরিয়ে আসতে চাইত। চাকরি বদলের কথা ভাবতেন অন্তত ৬৪ শতাংশ কর্মী। ৫২ শতাংশ কর্মীর অবশ্য এসব নিয়ে হেলদোল ছিল না।

কোম্পানিগুলো বাড়ি থেকে কাজকেই সেরা মনে করছে: ওয়েবক্লিকসের প্রতিষ্ঠাতা প্রবীণ দুবে বলছেন, ‘আবার অফিস খুলে গিয়েছে। কর্মীরা আসতে শুরু করেছেন। তবে আমি মনে করি, ওয়ার্ক ফ্রম হোম মডেল বিশেষ করে আইটি সেক্টরে এখনও রয়েছে। এটাই সেরা।

কারণ এর অনেক সুবিধা। স্টার্টআপের দৃষ্টিকোণ থেকে ভাবুন। অফিসে কর্মীদের জন্য সব রকমের ব্যবস্থা করতে হবে। অফিস ভাড়া, ইলেকট্রিক, ডেস্ক থেকে শুরু করে ইন্টারনেট- বিশাল খরচ। ওয়ার্ক ফর্ম হোমে কর্মীদেরও সময় বাঁচে, যাতায়াতের ভাড়া বাঁচে’।