নতুন বছরে সম্পত্তি ও সঞ্চয়ের পরিমাণ বাড়াতে নজর দেওয়া যেতে পারে এই বিষয়গুলিতে

Last Updated:
উপার্জন শুরু হওয়ার পর থেকেই সঞ্চয় নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি ভাবনা-চিন্তা শুরু করতে হবে। তা হলেই বিনিয়োগ থেকে পাওয়া যাবে ঠিকঠাক রিটার্ন
1/8
ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত ও জীবনযাপন সুন্দর করে তুলতে অধিকাংশই সঞ্চয়ের পথে হাঁটেন। গাড়ি, বাড়ি কেনা হোক বা ছেলে-মেয়ের পড়াশোনা, একাধিক পরিকল্পনা সফল করতে কম-বেশি সবাই নানা ধরনের বিনিয়োগের পথে হাঁটেন। কেউ বেছে নেন মিউচুয়াল ফান্ড ইনভেস্টমেন্ট, কেউ বা আবার ফিক্সড ডিপোজিট। অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের কথায়, উপার্জন শুরু হওয়ার পর থেকেই সঞ্চয় নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি ভাবনা-চিন্তা শুরু করতে হবে। তা হলেই বিনিয়োগ থেকে পাওয়া যাবে ঠিকঠাক রিটার্ন। বাড়বে সম্পত্তি ও সঞ্চয়ের পরিমাণ। তবে তার আগে কয়েকটি বিষয়ে নজর দিতে হবে।
ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত ও জীবনযাপন সুন্দর করে তুলতে অধিকাংশই সঞ্চয়ের পথে হাঁটেন। গাড়ি, বাড়ি কেনা হোক বা ছেলে-মেয়ের পড়াশোনা, একাধিক পরিকল্পনা সফল করতে কম-বেশি সবাই নানা ধরনের বিনিয়োগের পথে হাঁটেন। কেউ বেছে নেন মিউচুয়াল ফান্ড ইনভেস্টমেন্ট, কেউ বা আবার ফিক্সড ডিপোজিট। অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের কথায়, উপার্জন শুরু হওয়ার পর থেকেই সঞ্চয় নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি ভাবনা-চিন্তা শুরু করতে হবে। তা হলেই বিনিয়োগ থেকে পাওয়া যাবে ঠিকঠাক রিটার্ন। বাড়বে সম্পত্তি ও সঞ্চয়ের পরিমাণ। তবে তার আগে কয়েকটি বিষয়ে নজর দিতে হবে।
advertisement
2/8
কথায় আছে, Time is money! তাই উপার্জন শুরু করার পর পরই ইনভেস্টমেন্ট নিয়ে ভাবনা-চিন্তা শুরু করতে হবে। এর ফলে সঞ্চয়ের জন্য একটা দীর্ঘ মেয়াদের পাশাপাশি টাকার পরিমাণ ও সুদের পরিমাণ বাড়ার সম্ভাবনাও থাকে। ধরা যাক, কোনও ২২ বছর বয়সী যুবক ২০২০ সাল থেকে ১৫ বছরের জন্য একটি পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ডে (Public Provident Fund) বার্ষিক ৫০,০০০ টাকা করে জমা করছেন।
কথায় আছে, Time is money! তাই উপার্জন শুরু করার পর পরই ইনভেস্টমেন্ট নিয়ে ভাবনা-চিন্তা শুরু করতে হবে। এর ফলে সঞ্চয়ের জন্য একটা দীর্ঘ মেয়াদের পাশাপাশি টাকার পরিমাণ ও সুদের পরিমাণ বাড়ার সম্ভাবনাও থাকে। ধরা যাক, কোনও ২২ বছর বয়সী যুবক ২০২০ সাল থেকে ১৫ বছরের জন্য একটি পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ডে (Public Provident Fund) বার্ষিক ৫০,০০০ টাকা করে জমা করছেন।
advertisement
3/8
১৫ বছর পর তাঁর বয়স যখন ৩৭ হবে, তখন প্রায় ১৩.৫৬ লক্ষ টাকার মতো জমা হতে পারে। এ ক্ষেত্রে সুদের হার আনুমানিক বার্ষিক ৭.১ শতাংশ হিসেবে ধরা হয়েছে। ভবিষ্যতে এই টাকা একাধিক কাজে লাগতে পারে। গাড়ি, বাড়ি কেনা বা আবার কোনও বড় সঞ্চয়ে পথ দেখাতে পারে এই টাকা। তাই অল্প বয়স থেকেই টাকা সঞ্চয়ে নজর দিতে হবে।
১৫ বছর পর তাঁর বয়স যখন ৩৭ হবে, তখন প্রায় ১৩.৫৬ লক্ষ টাকার মতো জমা হতে পারে। এ ক্ষেত্রে সুদের হার আনুমানিক বার্ষিক ৭.১ শতাংশ হিসেবে ধরা হয়েছে। ভবিষ্যতে এই টাকা একাধিক কাজে লাগতে পারে। গাড়ি, বাড়ি কেনা বা আবার কোনও বড় সঞ্চয়ে পথ দেখাতে পারে এই টাকা। তাই অল্প বয়স থেকেই টাকা সঞ্চয়ে নজর দিতে হবে।
advertisement
4/8
যাঁরা একটু বেশি পরিমাণ রিটার্নের আশায় রয়েছেন, তাঁদের জন্য বিনিয়োগের ভালো অপশন হতে পারে মিউচুয়াল ফান্ড (Mutual Fund)। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সংস্থা বা প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে। তবে নিজের আয়ের পরিমাণের দিকে নজর দিতে হবে।
যাঁরা একটু বেশি পরিমাণ রিটার্নের আশায় রয়েছেন, তাঁদের জন্য বিনিয়োগের ভালো অপশন হতে পারে মিউচুয়াল ফান্ড (Mutual Fund)। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সংস্থা বা প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে। তবে নিজের আয়ের পরিমাণের দিকে নজর দিতে হবে।
advertisement
5/8
একবার কোনও ইনভেস্টমন্ট পোর্টফোলিও (Investment Portfolio) বেছে নেওয়ার পর, সেই সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য ভালো করে খতিয়ে দেখতে হবে। এ ক্ষেত্রে নিয়মিত রি-ইনভেস্টিংয়ের (Reinvesting) মাধ্যমে রিটার্নের পরিমাণ বাড়ানো যায়।
একবার কোনও ইনভেস্টমন্ট পোর্টফোলিও (Investment Portfolio) বেছে নেওয়ার পর, সেই সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য ভালো করে খতিয়ে দেখতে হবে। এ ক্ষেত্রে নিয়মিত রি-ইনভেস্টিংয়ের (Reinvesting) মাধ্যমে রিটার্নের পরিমাণ বাড়ানো যায়।
advertisement
6/8
ওজন বুঝে বিনিয়োগ প্রয়োজন। অর্থাৎ কতটা ঝুঁকি নেওয়া যাবে, সেই বিষয়টি বুঝেই বিনিয়োগ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে বয়স, মাসিক ও বার্ষিক আয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অনেক ক্ষেত্রে নানা ধরনের লোন শোধ করার বিষয় থাকে। চাকরি থেকে অবসর বা চাকরি বদলও একটি উল্লেখযোগ্য বিষয়। তাই সমস্ত দিক বিবেচনা করে, বলা ভালো নিজের ওজন বুঝেই বিনিয়োগ করতে হবে।
ওজন বুঝে বিনিয়োগ প্রয়োজন। অর্থাৎ কতটা ঝুঁকি নেওয়া যাবে, সেই বিষয়টি বুঝেই বিনিয়োগ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে বয়স, মাসিক ও বার্ষিক আয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অনেক ক্ষেত্রে নানা ধরনের লোন শোধ করার বিষয় থাকে। চাকরি থেকে অবসর বা চাকরি বদলও একটি উল্লেখযোগ্য বিষয়। তাই সমস্ত দিক বিবেচনা করে, বলা ভালো নিজের ওজন বুঝেই বিনিয়োগ করতে হবে।
advertisement
7/8
অনেকেই একেবারে ঝুঁকি নিতে পছন্দ করেন না। তাই রিটার্নের বিষয়টি সুনিশ্চিত করার জন্য ভরসার মূল জায়গা হয়ে ওঠে ফিক্সড ডিপোজিট (Fixed Deposits)। তবে বেশি সঞ্চয়ের জন্য সমস্ত টাকা একটি অর্থাৎ সিঙ্গল ফিক্সড ডিপোজিটে বিনিয়োগ করলে চলবে না। এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন মেয়াদের একাধিক ফিক্সড ডিপোজিট বেছে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
অনেকেই একেবারে ঝুঁকি নিতে পছন্দ করেন না। তাই রিটার্নের বিষয়টি সুনিশ্চিত করার জন্য ভরসার মূল জায়গা হয়ে ওঠে ফিক্সড ডিপোজিট (Fixed Deposits)। তবে বেশি সঞ্চয়ের জন্য সমস্ত টাকা একটি অর্থাৎ সিঙ্গল ফিক্সড ডিপোজিটে বিনিয়োগ করলে চলবে না। এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন মেয়াদের একাধিক ফিক্সড ডিপোজিট বেছে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
advertisement
8/8
সর্বোপরি একটা কথা মাথায় রাখতে হবে। যদি নিজের সম্পত্তি ও অর্থের পরিমাণ বাড়াতে হয়, তা হলে সঞ্চয়ের পরিমাণ বাড়াতে হবে আর খরচ কমাতে হবে। এ ক্ষেত্রে আগাম পরিকল্পনা অত্যন্ত জরুরি।
সর্বোপরি একটা কথা মাথায় রাখতে হবে। যদি নিজের সম্পত্তি ও অর্থের পরিমাণ বাড়াতে হয়, তা হলে সঞ্চয়ের পরিমাণ বাড়াতে হবে আর খরচ কমাতে হবে। এ ক্ষেত্রে আগাম পরিকল্পনা অত্যন্ত জরুরি।
advertisement
advertisement
advertisement