Sawan Somwar: আজ শ্রাবণের প্রথম সোমবার, শিব ভক্তরা মাসভর ভুলেও ছোঁবেন না 'এই' কয়েকটি জিনিস! সংসারে অশান্তি চরমে, তছনছ জীবন

*প্রতি বছর শ্রাবণ মাস প্রতিটি শিবভক্তের হৃদয়কে ভক্তিতে ভরিয়ে দেয়। এই পুরো মাস জুড়ে মানুষ ভগবান শিবের পুজো করে, উপবাস করে এবং প্রতিটি কাজে শৃঙ্খলা, সংযম এবং নিষ্ঠা প্রদর্শনের চেষ্টা করে। এই কারণেই খাওয়া-দাওয়ার সময় কিছু বিষয় মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। বিশেষ করে সোমবারে, যখন উপবাস পালন করা হয়, তখন কী খাওয়া উচিত এবং কী উচিত না তা জানা আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। ভোপালের জ্যোতিষী এবং বাস্তু পরামর্শদাতা পণ্ডিত হিতেন্দ্র কুমার শর্মা এই বিষয়ে তথ্য প্রদান করছেন।

*উপবাস রাখার সময় কী খাওয়া উচিত: শ্রাবণ উপবাসের সময় এমন খাবার খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ যা শরীরকে শক্তি দেয়। শ্রাবণে নানা রকম ফল খাওয়া যায়। কারণ তাজা ফল শরীরকে ঠান্ডা করে এবং শক্তি বজায় রাখে। পরোটা খাওয়া যেতে পারে। হালকা এবং সুস্বাদু পরোটা দই বা চাটনির সঙ্গে খাওয়া যেতে পারে।

*সাবুদানা, মাখানা, আখরোট উপবাসের সময় খাওয়া যায়। দুধ তো বটেই, দই, ঘোল, পনিরের মতো দুগ্ধজাত দ্রব্য শরীরকে শক্তি দেয় এবং উপবাসের সময় প্রয়োজনীয় পুষ্টিও জোগায়। বাদাম, কাজু, কিশমিশ, খেজুরের মতো শুকনো ফলে প্রচুর পরিমাণে শক্তি থাকে এবং যে কোনও সময় খাওয়া যেতে পারে।

*ডাবের জল - শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে খুবই কার্যকর। কিছু বিশেষ সবজি - যেমন মিষ্টি আলু, স্কোয়াশ, আলু, সহজে হজম হয়। তাজা ধনেপাতা - উপবাসের খাবারে স্বাদ যোগ করার জন্য আদর্শ।

*উপবাস রাখার সময় কিছু জিনিস এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ এগুলো শরীরের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। শস্য, চাল, গম, ডাল উপবাসের সময় খাওয়া উচিত নয়। পেঁয়াজ, রসুন, মুলো, এগুলো উপবাসের সময় নিষিদ্ধ বলে বিবেচিত হয়। হলুদ, হিং এবং লাল মরিচের ব্যবহার করা চলবে না। সাধারণ লবণের বদলে উপবাসের সময় শুধুমাত্র সৈন্ধব লবণ ব্যবহার করা উচিত। গুড় এবং মেথি খাওয়া যায় না।

*উপবাসের সময় প্রচুর জল পান করা উচিত - শরীরকে জলশূন্যতা থেকে রক্ষা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এমন খাবার বেছে নিতে হবে, যা পেটের উপর চাপ সৃষ্টি করে না। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খান, যা হজমে সাহায্য করে। সাত্ত্বিক খাবার, যা শরীর ও মন উভয়ের জন্যই শান্তি বয়ে আনে, সেটাই খান।