Rare Planet Parade: সারিবদ্ধ ৬টি গ্রহ, রাতের আকাশে আরও ঔজ্জ্বল্য ছড়িয়ে দিচ্ছে ‘প্ল্যানেট প্যারেড’; ভারত থেকে কি দেখা যাবে বিরল এই মহাজাগতিক ঘটনা?
- Published by:Siddhartha Sarkar
- trending desk
Last Updated:
Rare Planet Parade to light up skies: ঝকঝকে রাতের আকাশে গ্রহ-নক্ষত্রের খেলা দেখতে সত্যিই ভাল লাগে। আর যাঁদের এহেন অভ্যাস রয়েছে, তাঁদের জন্য দারুণ সুখবর! কারণ ঘটতে চলেছে এক বিরল মহাজাগতিক ঘটনা। আসলে রীতিমতো প্যারেড করে সারিবদ্ধ হতে চলেছে ৬টি গ্রহ।
advertisement
যার ফলে এক অসাধারণ দুর্ধর্ষ দৃশ্যের সাক্ষী থাকবেন গোটা বিশ্বের মানুষ। এখানেই শেষ নয়, গত সপ্তাহের সংযোগের পর খুবই কাছাকাছি অবস্থানে আসতে চলেছে শনি এবং শুক্র গ্রহ। যদিও গ্রহগুলি নিখুঁত ভাবে এক লাইনে থাকবে না। কিন্তু আকাশের এক দিকে খুব কাছাকাছি অবস্থানে গ্রহগুলি সারিবদ্ধ হবে। ফলে নিঃসন্দেহেই সেই দৃশ্য অত্যন্ত উপভোগ্য হবে!
advertisement
যে সমস্ত গ্রহ সারিবদ্ধ হচ্ছে: যে গ্রহগুলি সারিবদ্ধ হচ্ছে, সেগুলির মধ্যে রয়েছে শুক্র, মঙ্গল, বৃহস্পতি, শনি, নেপচুন এবং ইউরেনাস। যদিও এই গ্রহগুলির মধ্যে লক্ষ লক্ষ কিলোমিটারের ব্যবধান। তবে আকাশে এই গ্রহগুলি এমন অবস্থানে আসতে চলেছে, যা দেখে মনে হবে যেন, খুবই কাছাকাছি রয়েছে তারা। আসলে কক্ষপথে পৃথিবীর অবস্থানের জেরেই এই মহাজাগতিক ঘটনা ঘটতে চলেছে। নাসা ব্যাখ্যা করে জানিয়েছে যে, জানুয়ারি মাসে মঙ্গল গ্রহ বিপরীত অবস্থানে পৌঁছবে। অর্থাৎ সূর্য থেকে পৃথিবীর একেবারে বিপরীতে থাকবে মঙ্গল। যার জেরে এই লাল গ্রহকে আরও বড় এবং উজ্জ্বল দেখাবে।
advertisement
কখন এবং কোথায় দেখা যাবে এই অ্যালাইনমেন্ট? ২১ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখ থেকে দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে এই প্ল্যানেটারি অ্যালাইনমেন্ট। আর মহাজাগতিক এই দৃশ্য চাক্ষুষ করার সেরা সময়টা হল সূর্যাস্তের পরবর্তী ৪৫ মিনিট সময়। আর যতক্ষণ না শুক্র গ্রহ এবং শনি গ্রহ দিগন্তের নীচে অস্ত যাচ্ছে, ততক্ষণ অর্থাৎ প্রায় তিন ঘণ্টা পর্যন্ত স্থায়ী হবে এই অ্যালাইনমেন্ট। নাসা জানিয়েছে যে, আঁধার নেমে আসার পর দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে দৃশ্যমান হবে শনি এবং শুক্র গ্রহ। আর মাথার উপর জ্বলজ্বল করবে বৃহস্পতি গ্রহ। অন্য দিকে আবার পূর্ব দিকে উদিত হবে মঙ্গল।
advertisement
ভারত থেকেও দৃশ্যমান হবে কি? যদি আবহাওয়া অনুকূল থাকে, তাহলে সারা ভারত জুড়ে দেখা যাবে এই প্ল্যানেটারি অ্যালাইনমেন্ট। আমাদের দেশের বেশিরভাগ শহরের মানুষই এই বিরল মহাজাগতিক ঘটনার সাক্ষী থাকতে পারবেন। আর সবথেকে বড় কথা হল, খালি চোখেই দেখা যাবে শুক্র, মঙ্গল, বৃহস্পতি এবং শনি গ্রহকে। যদিও নেপচুন আর ইউরেনাসকে চাক্ষুষ করার জন্য টেলিস্কোপের প্রয়োজন হবে। কারণ এই দুই গ্রহ ক্ষীণ থাকবে।