রঞ্জন চন্দ, মেদিনীপুর: যখন ছুটে দৌড়ে বেড়ানোর সময়, তখনই বিরল স্নায়ুরোগে হুইল চেয়ারে সময় কাটে তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র আয়ুষের।পড়াশুনা, খেলাধুলা সবই হুইল চেয়ারে বসে। তবে আয়ুষের শখ বড় হয়ে হতে চায় মহাকাশবিজ্ঞানী। তবে পরিবারের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ আয়ুষের জন্য চিকিৎসার অর্থ সংগ্রহ। ওষুধের খরচ বাবদ এক বছরের মধ্যে পাঁচ কোটি টাকা জোগাড় করতে হবে। এছাড়াও বছর দশেকের আযুষের ওষুধের জন্যে প্রয়োজন ১৮ কোটি টাকা।
পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর শহরে পীযুষ মান্না ও সুদীপ্তা মান্নার বছর নয়ের ছেলে আয়ুষ। ছোট থেকে ছুটে, দৌড়ে বেড়ানো আয়ুষের ধীরে ধীরে বড় হতেই ধরা পড়ে বিরল রোগ স্পাইনাল মাসকুলার এট্রফি। জানা যায় ভারতবর্ষ জুড়ে প্রায় ৫০০ জনের এই রোগ রয়েছে। ছোট্ট আয়ুষ বন্দি হুইলচেয়ারে। তবে আয়ুষ কোনও ভাবে থেমে থাকে না। ছবি আঁকা, পড়াশুনো, অঙ্ক করা-বাবা-মায়ের ইচ্ছেশক্তি এবং তার নিজের জেদের বসে এগিয়ে চলেছে একগুচ্ছ স্বপ্ন নিয়ে।
আরও পড়ুন : হৃদি ভেসে যাওয়া তিস্তা আর করলানদীর স্রোত বয়ে চলে তাঁর সাতকাহনের উত্তরাধিকারে
পরিবারের দাবি, বছরখানেকের মধ্যে আয়ুষের প্রয়োজন ওষুধের যার খরচ প্রায় পাঁচ কোটি টাকা। একটা বোতল ওষুধের দাম বারো লক্ষ টাকা। যা ১২ দিন ব্যবহার করা যাবে। অন্যদিকে, ১৮ কোটি টাকা একসঙ্গে পাওয়া গেলে এই রোগের ওষুধ মিলবে। তবে এত টাকা আসবে কোথা থেকে, তা এখন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে আয়ুষের বাবা-মায়ের কাছে। আয়ুষের বাবা পীযূষ মান্না একটা বেসরকারি কোম্পানিতে কাজ করেন। মা সাধারণ গৃহবধু। বিরল এই রোগের ওষুধের টাকা জোগাড় করতে নাজেহাল হচ্ছে পরিবারটি। সকলের কাছে আবেদন, যথাসাধ্য সাহায্য করলে ভবিষ্যতে আয়ুষের চিকিৎসা চালিয়ে যেতে পারবেন তারা। তবে ৫ কোটি টাকা নেহাত কম নয়। এত টাকার সংস্থান কোথায়? উদ্বিগ্ন পরিবারের লোকজন।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Rare disease, West Midnapore