Manasa Temple: শনি মঙ্গলে ভক্তদের ঢল, মনস্কামনা পূরণে দূরদূরান্ত থেকে বহু ভক্ত ভিড় জমান মাদপুরের মনসা মন্দিরে

Last Updated:

Manasa Temple: দেবীর কাছে মনস্কামনা জানালে তা পূরণ হয় মাদপুরের মনসা দেবীর মন্দিরে মাহাত্ম্য জানলে চমকে যাবেন

+
পুজো

পুজো দেওয়ার ভিড় মাদপুরের মনসা মন্দিরে

রঞ্জন চন্দ, খড়গপুর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়গপুর গ্রামীণ থানার অন্তর্গত মাদপুর। এই মাদপুরেই রয়েছে পুরনো এবং জাগ্রত মনসা দেবীর মন্দির। চারিদিক কারুকার্যমণ্ডিত প্রাচীর দিয়ে ঘেরা থাকলেও দেবীর মাথার উপরে নেই কোনও আচ্ছাদন। বছরে একটি নির্দিষ্ট সময়ে বড় পুজো হলেও সপ্তাহের শনি এবং মঙ্গলবার বেশ ভিড় জমে এই মন্দিরে।দূরদূরান্ত থেকে বহু ভক্ত মনস্কামনা পূরণে আসেন দেবীর কাছে।খড়গপুর লোকাল থানার অন্তর্গত গোবিন্দনগর মৌজার মহিষা গ্রামে রয়েছে মনসা দেবীর মন্দির। অনেকে এই মন্দিরকে মাদপুরের মনসা দেবীর মন্দির বলেও ডাকেন। খড়গপুর থেকে হাওড়াগামী রেললাইনের পাশে মাদপুরের কাছে ফাঁকা মাঠে মনসা দেবীর অবস্থান। মাদপুরের এই মনসা দেবীর মন্দিরকে নিয়ে বহু অলৌকিক কাহিনি প্রচলিত রয়েছে।
কথিত, এই মন্দিরে ভক্তদের মনস্কামনা দেবী মনসা পূরণ করেন। তা সে সন্তান লাভ হোক অথবা বেকারত্ব দূরীকরণ, কিংবা সাংসারিক কষ্টই হোক না-কেন, অথবা অসুস্থতা থেকে মুক্তি- সবকিছুই। অনেক সময় বাড়ির গরু-ছাগল হারিয়ে গেলে ওই গরু-ছাগলের ব্যবহার করা গলার দড়ির টুকরো নিয়ে দেবীর কাছে খুঁজে দেওয়ার মনস্কামনা জানালেও দেবী তা পূরণ করেন। আবার, অনেকে আসেন মানত পূরণ করতে। অতীতে এই অঞ্চলটি জঙ্গলে পরিপূর্ণ ছিল। যা মা মনসার জঙ্গল নামেই পরিচিত ছিল।
advertisement
প্রায় ৪০০ বছর আগে এই মহিষা গ্রামটি ছিল জমিদার যোগেশ্বর রায়ের তালুক। কথিত আছে, একদিন ভোরে জমিদার স্বপ্নাদেশ পান যে ওই জঙ্গলে দেবী মনসা রয়েছেন। স্বপ্নাদেশে জমিদারকে দেবীর পূজার ব্যবস্থা করতে বলেন দেবী। সেই স্বপ্নাদেশ পেয়ে জমিদার জঙ্গল পরিষ্কার করে ওই অঞ্চলে দেবীর নিয়মিত পুজোর ব্যবস্থা করেন।বর্তমানে মা মনসার স্থান বলে যেখানে ভক্তরা পুজো করেন, সেখানে আগে ছিল এক বিরাট উইয়ের ঢিপি। কথিত আছে, ওই ঢিপির নীচে প্রচুর সাপ থাকত।
advertisement
advertisement
আজ আর সেখানে জঙ্গল নেই। নেই পুরোনো গাছগাছালিও। বর্তমানে, ওই উইয়ের ঢিপিকে কংক্রিটে মুড়ে দেওয়া হয়েছে। সেখানে তৈরি করা হয়েছে পদ্মফুল। এই পদ্মফুল দেবী মনসার প্রতীক। শনিবার সকাল থেকে বহু ভক্তের ভিড় জমে ছিল এই মাদপুরের মনসা দেবীর মন্দিরে।
কেউ কেউ আবার মনস্কামনা জানিয়ে প্রতিষ্ঠিত পুকুর থেকে দণ্ডি কেটে মায়ের মন্দিরে আসে।সব মিলিয়ে বছরে নির্দিষ্ট দিনের পাশাপাশি শনি এবং মঙ্গলবার বেশ ভিড় জমে মনসা দেবীর মন্দিরে।
বাংলা খবর/ খবর/পশ্চিম মেদিনীপুর/
Manasa Temple: শনি মঙ্গলে ভক্তদের ঢল, মনস্কামনা পূরণে দূরদূরান্ত থেকে বহু ভক্ত ভিড় জমান মাদপুরের মনসা মন্দিরে
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement