#পশ্চিম মেদিনীপুর- মেদিনীপুর শহর (West Medinipur Tourism) থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরে, জঙ্গলমহল শালবনির কর্ণগড় মহামায়া মন্দিরের পাশ দিয়ে প্রায় তিন কিলোমিটার ভেতরটি সেজে উঠেছে রানী শিরোমণির গড় পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে। শনিবার গ্রাম্য পরিবেশে তৈরি পর্যটন কেন্দ্রের ক্যাফেটেরিয়া, কটেজ ও পুষ্করিণীর উদ্বোধন করলেন রাজ্যের জল সম্পদ উন্নয়ন ও অনুসন্ধান মন্ত্রী ডাঃ মানস রঞ্জন ভূইয়া।
এইদিন বিকেলে শিরোমনি প্রাঙ্গণে এক মনোজ্ঞ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হলো পর্যটন কেন্দ্রের দরজা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পঞ্চায়েত প্রতিমন্ত্রী শিউলি শাহা, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা শাসক ডাঃ রেশমি কমল, জেলা পুলিশ সুপার দিনেশ কুমার, বিধায়ক জুন মালিয়া, দিনেন রায়, উত্তরা সিংহ হাজরা, অজিত মাইতি সহ প্রশাসনের অন্যান্য আধিকারিকগন (West Medinipur Tourism)। অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে জেলাশাসক জানান, প্রায় এক কিলোমিটার পরিধি জুড়ে গড়ে তোলা হয়েছে এই পর্যটন কেন্দ্র। বিভিন্ন দফতরের সহযোগে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে পর্যটন কেন্দ্রের পুস্করীনি থেকে কটেজ গুলি।
এই পর্যটন কেন্দ্র টি গড়ে তুলতে প্রায় দু'কোটি টাকা খরচ হয়েছে এখনও পর্যন্ত। এখানে গ্রাম্য পরিবেশে থাকার জন্য রয়েছে ন'টি কটেজ। আগামী ১৫ ডিসেম্বর থেকে চালু হয়ে যাবে বুকিং (West Medinipur Tourism)। ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসনের ওয়েবসাইটে রানী শিরোমণি গড়ের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করার পরিকল্পনা নিয়েছে জেলা প্রশাসন। জেলাশাসক আরও জানান, পশ্চিম মেদিনীপুরে এই ধরনের আরও কিছু পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে, যাতে করে জেলাসহ রাজ্যের পর্যটন শিল্পে উন্নতি সাধন হয়।
প্রসঙ্গত, মেদিনীপুর শহর থেকে ৬০ নং জাতীয় সড়ক ধরে ভাদুতলা যাওয়ার পর, ডান দিকের রাস্তা প্রায় ৬ কিমি পাড়ি দিলেই নজরে আসবে রানী শিরোমনির গড়ের ধ্বংসাবশেষ। আরে ধ্বংসাবশেষের চারপাশ ঘিরে, গড়ে তোলা হয়েছে পর্যটন কেন্দ্র। রাত্রি যাপনের জন্য রয়েছে কুঁড়েঘরের আদলে কটেজ, যার মধ্যে রয়েছে আরামদায়ক থাকার বন্দবস্ত। এছাড়াও রয়েছে গড়ের মধ্যে বিশাল পুস্করীনি। এদিক ওদিক বেড়াতে বেড়াতে দেখা যাবে ঐতিহাসিক বিভিন্ন স্থাপত্য।
Partha Mukherjee
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Paschim medinipur, Salboni, Tourist Spot, West Medinipur