West Bardhaman News: বিশ্বকর্মা পুজোয় আর উৎসব হয় না, নীল কারখানায় এখন শুধু অন্ধকার
- Published by:kaustav bhowmick
- news18 bangla
- Reported by:NAYAN GHOSH
Last Updated:
কারখানা বন্ধ থাকায় আর বিশ্বকর্মা পুজোয় উৎসব হয় না আসানসোলে
পশ্চিম বর্ধমান: সে এক সময় ছিল। তখন বিশ্বকর্মা পুজো মানেই ছিল বিশাল উৎসব। হাজার হাজার লোকের আসা যাওয়া। তিনদিন ধরে পুজোর আনন্দ। দেদার খাওয়া দাওয়া। হঠাৎ করে যেন সেই দিনগুলো কোথায় হারিয়ে গেল। এখন শুধু হয় নিয়ম রক্ষার পুজো। বিশ্বকর্মা পুজো মানেই এখন মন খারাপের দিন। একসময় যেখানে শ্রমিক, কর্মী, তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বিশাল করে হতো বিশ্বকর্মা পুজোর আয়োজন সেখানে আজ শুধু টিমটিম করে জ্বলে প্রদীপ। এমনই করুন চিত্র আসানসোলের নীল কারখানায়।
একসময় এই নীল কারখানায় উৎপাদিত নীল প্রোডাক্ট বিদেশে রফতানি হত। কিন্তু আজ সেই কারখানা বন্ধ। বন্ধ অবস্থায় পেরিয়ে গিয়েছে এক দশক। বিশ্বকর্মা পুজোর দিন এই কারখানার প্রাক্তন শ্রমিকদের আরও বেশি করে পুরনো দিনের কথা মনে পড়ে।
advertisement
আসানসোলের ধাদকা এলাকায় ছিল রবীন ব্লু ফ্যাক্টরি। যাদের উৎপাদিত মূল প্রোডাক্ট ছিল নীল। একসময় যা ছিল নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস। রবীন নীল নামের প্রসিদ্ধ এই ব্র্যান্ডটি দেখা যত বাংলার ঘরে ঘরে। বাংলা তথা দেশের মানচিত্রের বাইরে গিয়েও নিজের জায়গা করে নিয়েছিল রবীন নীল। কিন্তু হঠাৎ করে কমতে শুরু করে চাহিদা। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের তালিকা থেকে বাদ পড়ে যেতে শুরু করে নীলের নাম। তখন থেকেই ক্ষয় শুরু কারখানার। ১৩ বছর আগে শেষবারের মতো খোলা হয়েছিল এই কারখানাটি। তারপর থেকে আর এখানে আসা যাওয়া নেই শ্রমিকদের। নেই নীলের কারবার। নেই সেই বিশ্বকর্মা পুজোও। ভগ্ন কারখানার রক্ষায় থাকা ১৩ জন নিরাপত্তা রক্ষী কোনওক্রমে শুধু পুজোটা চালিয়ে যান। তাও টিমটিম করে। আর নীল কারখানার পুজো দেখতে আসে না কেউ। শুধু বিশ্বকর্মা পুজোর দিন স্মৃতি আঁকড়ে ধরে বসে থাকেন নিরাপত্তা রক্ষীরা।
advertisement
নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মীরা বলছেন, চাহিদা কমে যাওয়ার জন্যই একসময় কারখানাটি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তবে তারা এখনও আশায় আছেন। যদি আবার অন্য কোনওভাবে কারখানা চালু হয়। আবার সেই পুরনো লোকজন যদি ফিরে আসেন। আবার যদি ফিরে আসে সেই বিশ্বকর্মা পুজোর আনন্দ। সেই আশাতেই দিন কাটে তাদের। তারা বলছেন, আগে বিশ্বকর্মা পুজোয় তিনদিন ধরে উৎসব হত। বাইরে থেকে যারা দেখতে আসতেন, তাদের হাতেও তুলে দেওয়া হত মিষ্টির প্যাকেট। কারখানায় কর্মরত কর্মী, শ্রমিকদের জন্য থাকতো দেদার খাওয়া দাওয়ার আয়োজন। তাই প্রত্যেক বছর যখন বিশ্বকর্মা পুজো আসে তখন শুধু পুরনো দিনগুলির কথা বেশি করে মনে পড়ে।
advertisement
নয়ন ঘোষ
view commentsLocation :
Kolkata,West Bengal
First Published :
September 18, 2023 6:35 PM IST
বাংলা খবর/ খবর/পশ্চিম বর্ধমান/
West Bardhaman News: বিশ্বকর্মা পুজোয় আর উৎসব হয় না, নীল কারখানায় এখন শুধু অন্ধকার