Paschim Bardhaman: তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিষাক্ত ছাইয়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে স্থানীয়দের জীবনযাত্রা
- Published by:Soumabrata Ghosh
Last Updated:
এলাকার গাছপালা থেকে বাড়িঘর সমস্ত কিছুই কালো ছাইয়ে ঢাকা। তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিষাক্ত ছাই মিশছে পানীয় জল, রান্না করা খাবারেও। বারবার বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের কাছে আবেদন জানানো হলেও সেই অর্থে কোনও সুরাহা মিলেনি।
দুর্গাপুর: দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে রাজ্য সরকারের অধীনে থাকা ডিপিএলের বিষাক্ত ছাই এর দাপটে মানুষের জীবন ওষ্ঠাগত হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ তাপবিদ্যুৎ সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের। দুর্গাপুর ইস্পাত নগরীর প্রাণকেন্দ্র সিটি সেন্টারের ঠিক উল্টোদিকে পেয়ালা ও পলাশডিহা গ্রাম। এলাকার গাছপালা থেকে বাড়িঘর সমস্ত কিছুই কালো ছাইয়ে ঢাকা। তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিষাক্ত ছাই মিশছে পানীয় জল, রান্না করা খাবারেও। বারবার বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের কাছে আবেদন জানানো হলেও সেই অর্থে কোনও সুরাহা মিলেনি। তাই বাধ্য হয়ে বাসিন্দারা এদিন বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন এই বিষাক্ত ছাই এর বিরুদ্ধে। এদিন এই দুটি গ্রামের মহিলারা আমিও কাউন্সিলর মানস রায়কে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। স্থানীয় গ্রামের মহিলাদের অভিযোগ, এই বিষাক্ত ছাই এর দাপটে নোংরা হচ্ছে ঘরবাড়ি, পুকুরের জল ও রাস্তাঘাট। শুধু তাই নয়, তাদের অভিযোগ গ্রামে একাধিক ব্যক্তি এই বিষাক্ত ছাই এর ফলে শ্বাসকষ্টে ভুগছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা এদিন ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরকে ঘিরে ধরে অভিযোগ জানাতে থাকেন। স্থানীয় বাসিন্দা তথা বিক্ষোভকারীরা দাবি জানান, হয় অবিলম্বে ওই কারখানার দূষিত বিষাক্ত ধোয়া ও ছাই বন্ধ করতে হবে, না হলে তাদের পুনর্বাসন দিয়ে অন্য কোথাও থাকার বন্দোবস্ত করতে হবে। এদিন স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগের সুরে ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এর সামনে বলেন, দুর্গাপুর নগর নিগমের পৌরনির্বাচন আর বেশি দেরি নেই। যদি সরকার আমাদের এই বিষাক্ত ছাই এর হাত থেকে মুক্তি না দেয়, তাহলে নির্বাচনে তারাও সরকারকে ছাই দিয়ে দেবেন। এই বিষয়ে দুর্গাপুর নগর নিগমের কাউন্সিলর মানস রায় অবিলম্বে এই সমস্যার কথা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানাবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন গ্রামবাসীদের। তারপরে বিক্ষোভ তুলে নেয় স্থানীয়রা।
Nayan Ghosh
view commentsLocation :
First Published :
April 04, 2022 1:53 PM IST
বাংলা খবর/ খবর/পশ্চিম বর্ধমান/
Paschim Bardhaman: তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিষাক্ত ছাইয়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে স্থানীয়দের জীবনযাত্রা
