Paschim Bardhaman: ৪০০ একর জমির জলের ঠিকানা পেয়েও পেলেন না কৃষকরা
Last Updated:
এ যেন ঠিক স্বপ্ন সত্যি হয়েও, সত্যি হল না। হাতের কাছে চারশো একর কৃষিজমির জল সরবরাহের ঠিকানা তৈরি হলেও, তা বাস্তব রূপ পেল না।
পশ্চিম বর্ধমান: এ যেন ঠিক স্বপ্ন সত্যি হয়েও, সত্যি হল না। হাতের কাছে চারশো একর কৃষিজমির জল সরবরাহের ঠিকানা তৈরি হলেও, তা বাস্তব রূপ পেল না। যে পুকুর খনন সম্পন্ন হলে, আশপাশের প্রায় ৪০০ একর জমিতে কৃষি কাজ অনেক সহজ হয়ে যেত, সেই কাজই হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে গেল। ফলে মাথায় হাত কৃষকদের। বিশেষ করে রবি শস্য ফলনের সময় জল সরবরাহের জন্য আবার কৃষকদের রীতিমতো দৌড়ঝাঁপ করতে হবে। অথচ পুকুর খননের কাজ সম্পন্ন হলে, সেই কাজ অনেকটাই সহজ হয়ে যেত। কৃষকদের অনেক খরচ কম হত। ফলে বাড়তি মুনাফা লাভ হত কৃষকদের। তা ছাড়াও এই পুকুর খনন সম্পন্ন হলে, সেখানে মাছ চাষ করার পরিকল্পনা ছিল। মাছ চাষের লভ্যাংশ পেতেন গ্রামবাসীদের সকলেই। কিন্তু সব পরিকল্পনা আপাতত পরিকল্পনাতেই থেকে গেল। কারণ যে পুকুরটিকে কেন্দ্র করে এত কিছু চিন্তা স্থানীয়রা করেছিলেন, সেই পুকুর খননের কাজ বন্ধ।
উল্লেখ্য আমলাজোরা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত এলাকায় একটি পুকুর খননের কাজ চলছিল। স্থানীয়দের অভিযোগ, অনেকটা এগিয়ে যাওয়ার পরেও আপাতত বন্ধ হয়ে গিয়েছে পুকুর খননের কাজ। জানা যাচ্ছে, যে ঠিকাদার পুকুর খননের কাজ করছিলেন, তিনি হুমকি পেয়ে এই কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ নদীর পাড়ে অবৈধ প্রাচীর নির্মাণের অভিযোগ
যদিও এই বিষয়ে প্রশাসনের কাছে এখনও পর্যন্ত কোনও লিখিত অভিযোগ জমা পড়েনি। তবে আমলাজোরা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ওই কুকুরটি খননের জন্য বিশেষভাবে উদ্যোগ নিয়েছিলেন কাঁকসার সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক এবং কাঁকসা থানার আইসি।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুনঃ রাস্তা সারাইয়ের দাবিতে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের
তবে হঠাৎ করে সেই পুকুর খননের কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় একদিকে যেমন ক্ষুব্ধ কৃষকরা, তেমনভাবেই তারা চিন্তিত। পাশাপাশি এই ঘটনার জেরে রীতিমতো ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন গ্রামবাসীদের একাংশও।
Nayan Ghosh
Location :
First Published :
May 27, 2022 10:23 AM IST