আজকের খবরের কাগজের সেরা খবর

Last Updated:
প্রতিদিনের ব্যস্ততায় খবর কাগজ খুঁটিয়ে পড়া সম্ভব হয় না ৷ অনেক সময় গুরুত্বপূর্ণ খবর চোখ এড়িয়ে যায় ৷ তাছাড়া একাধিক কাগজও পড়ার মতো সময় কারোর হাতেই নেই ৷ তাই আসুন এক নজরে, একজায়গায় দেখে নিন কলকাতার বিভিন্ন কাগজের সেরা খবর গুলি ৷ রবিবারের গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলি হল-
anandabazar11
১) টাকার চিন্তায় ধৈর্যে চিড়, সে কি এল? দীর্ঘ অপেক্ষা ব্যাঙ্ক এবং এটিএমে
advertisement
বাড়ির লোকের আশা ছিল, আজ অন্তত রোগীর ব্যান্ডেজ খোলার দিনটা বলবেন হাসপাতালের ডাক্তার। পৌঁছে জানলেন, রোগী আইসিইউ-তে! শনিবার টাকা তুলতে গিয়ে দেশ জুড়ে মানুষের অভিজ্ঞতা অনেকটা এই রকমই। ভেবেছিলেন, তিন দিন কেটে যাওয়ার পরে এ বার নোট পাওয়া সহজ হবে, ঘটল উল্টো— সারা দিন হয়রানির শেষ থাকল না। শুক্রবারের মতো এ দিনও খালি হাতে ফিরিয়েছে বেশির ভাগ এটিএম। তার উপর লম্বা লাইন দিয়েও নোট মেলেনি প্রায় সমস্ত ব্যাঙ্কের বহু শাখায়। ফলে, এখনও ফাটল না হলেও, চিড় ধরছে ধৈর্যের বাঁধে। এক দিকে, হাতে থাকা ১০০ টাকার নোট ফুরিয়ে আসছে ক্রমশ। অন্য দিকে, পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনার স্পষ্ট আশ্বাস দিতে পারছে না কেন্দ্র। অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি এ দিন সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন, সপ্তাহ দুই-তিন লাগবে দেশের প্রায় দু’লক্ষ এটিএম-কে নতুন ব্যবস্থার উপযুক্ত করে তুলতে।
advertisement
২) মোদী সরকার ঝুটা-গন্দা, সুর আরও চড়ল মমতার
মানুষের ভোগান্তি আশঙ্কা করে প্রথম রাতেই গর্জে উঠেছিলেন তিনি। অথচ মুলায়ম-মায়াবতী-চিদম্বরমরা তখন ছিলেন সাবধানী! তথাকথিত কালো টাকা বিরোধী অভিযানের সমালোচনা করলে পাছে ভুল বার্তা যায়! কিন্তু জনতার দুর্ভোগ দেখে তাঁরাও এখন মুখ খোলায় কেন্দ্র-বিরোধী আক্রমণে আর আগল রাখলেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
advertisement
৩) পিছু হটা নয়, সুর চড়িয়ে হুঁশিয়ারি নরেন্দ্র মোদীর
বিরোধীদের একাংশের দাবি, নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করুন প্রধানমন্ত্রী। চাপ আসছে শরিকদের থেকেও। কিন্তু তিনি যে কোনও ভাবেই নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হটবেন না, তা স্পষ্ট বুঝিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুধু তা-ই নয়। কালো টাকার বিরুদ্ধে তিনি যে আগামী দিনে আরও বড় অভিযানে নামবেন, সেই হুঁশিয়ারিও দিয়ে রাখলেন মোদী। শনিবার জাপানে অনাবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে আলাপচারিতায় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য, যে ভাবে গোটা দেশ কষ্ট সহ্য করেও কালো টাকার বিরুদ্ধে লড়াইকে সমর্থন করছে, তা প্রশংসার। এ নিয়ে বিরোধীদের আক্রমণের জবাব দিতে তিনি আরও বড় দু’টি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দেন।
advertisement
৪) সঙ্কটমোচনে মোদীর ভরসা সেই অরুণ জেটলিই
আট তারিখে রাত আটটায় নোট বাতিলের ঘোষণা করে প্রধানমন্ত্রী পাড়ি দিয়েছেন বিদেশে। আর দেশের ভিতরে সমস্যা সামাল দেওয়ার ভার পড়েছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির ঘাড়ে। নরেন্দ্র মোদীর সঙ্কটমোচনে ফের আসরে সেই অরুণ জেটলি। কালো আর জাল টাকা রুখতে বাজার থেকে ১৪ লক্ষ কোটি টাকা উধাও করে দেওয়ার ঘটনা যে কোনও যুদ্ধের থেকে কম নয়, সেটি বিলক্ষণ জানতেন প্রধানমন্ত্রী। বিষয়টি ঘোষণার দিনই মানুষের ভোগান্তির কথা তিনি বারবার মনে করিয়েছেন। সরকারের অন্য কাউকে দিয়ে এই ঘোষণা না করে নিজেই সেই কাজটি করার পিছনে এটিও ছিল অন্যতম কারণ। কিন্তু এখন যখন দেশের প্রায় সব প্রান্ত থেকে ত্রাহি ত্রাহি রব উঠছে, নিত্যদিন দিবারাত্র সেই সঙ্কট সামালের ভার কিন্তু মোদীর বদলে জেটলির উপরেই। রোজ নিয়ম করে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, সরকারি-বেসরকারি ব্যাঙ্ক, অর্থ মন্ত্রকের কর্তাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করে মুশকিল আসান করার নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
advertisement
bartaman_big11
১) সমস্যা মিটতে আরও ৩ সপ্তাহ: জেটলি
এটিএম যন্ত্রণা আপাতত চলবে। অন্তত তিন সপ্তাহের আগে এটিএম সংকটের পুরোপুরি সমাধান সম্ভব নয়। আর ততদিন পর্যন্ত যে এটিএমগুলি চালু থাকছে সেগুলিতে একমাত্র ১০০ টাকার নোটই পাওয়া যাবে। নতুন দু’হাজার এবং ৫০০ টাকার নোট দেওয়ার মতো প্রযুক্তিগত পরিমার্জন এবং যান্ত্রিক পরিকাঠামোর বড়সড় একটি প্রক্রিয়া বদল করা হচ্ছে। আর সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে অন্তত তিন সপ্তাহ সময় লাগবেই। আজ অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বলেছেন, দেশে ২ লক্ষাধিক এটিএম মেশিন আছে। প্রত্যেকটি মেশিনেই ইঞ্জিনিয়ারদের গিয়ে গিয়ে এই পরিবর্তন করতে হবে। এই ক্যালিবারেশন পরিবর্তন না করা হলে পুরানো যান্ত্রিক পরিকাঠামোয় নতুন আকার ও আয়তনের নোটগুলি কোনও মেশিনই রিড করতে পারবে না। আর তার ফলে যান্ত্রিক পদ্ধতিতে গণনা করে নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা দেওয়াও যাবে না। সুতরাং রাষ্ট্রায়ত্ত এবং বেসরকারি ব্যাংকগুলির কাছে যে ১০০ টাকার ভাণ্ডার রয়েছে সেই পরিমাণের উপরই নির্ভর করে আপাতত এটিএম থেকে টাকা দেওয়া হচ্ছে। যা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। আর এটিএম মেশিনে সেই পূর্বতন ব্যবস্থা অর্থাৎ ১০০, ৫০০ কিংবা ১০০০ টাকার নোট তোলার প্রযুক্তিগত সেন্সরই বজায় থাকায় এখন আর নতুন ডিজাইন ও নতুন আকারের ২০০০ ও ৫০০ টাকার নোট এটিএম মেশিনের অন্তর্গত সেন্সর ও গণনাযন্ত্র রিড করতে অপারগ। তাই শুধুমাত্র ১০০ টাকার নোটই দেওয়া হচ্ছে। আর যেহেতু সিংহভাগ মেশিন এবং সেন্ট্রাল সার্ভারের পরিমার্জন তথা আপডেট চলছে সেই কারণেই দেশের অধিকাংশ এটিএম মেশিনই থাকছে বন্ধ।
advertisement
২) ভোগান্তি দেখতে পথে মমতা, তোপ মোদিকে
নোট-দুর্ভোগ খতিয়ে দেখতে পথে নামলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার দুপুরে নন্দন চত্বর থেকে চৌরঙ্গি, ভবানীপুর এলাকার বিভিন্ন ব্যাংক ঘুরে বেড়ালেন তিনি। স্টেট ব্যাংক, এইচডিএফসি, ইন্ডিয়ান ওভারসিজ ব্যাংকের সামনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী দেখেন দীর্ঘ লাইন। তিনি গাড়ি থেকে নেমে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষের সঙ্গে কথা বলেন, সকলেই জানান, তাঁরা তিন-চার ঘণ্টা দাঁড়িয়ে আছেন। মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের কাছে জানতে চান, তাঁরা কী করেন? কেউ বলেন, কাজ করেন, কেউ বলেন এলআইসি’র এজেন্ট, কেউ বলেন গৃহবধূ। তাঁরা বলেন, দু’হাজার টাকার নোট পেয়ে কী হবে? ভাঙাবেন কোথায়? ব্যাংকের কর্মচারীরা বাইরে এসে মুখ্যমন্ত্রীকে বলেন, নোট না এলে কী করে দেব? টাকা না পেয়ে এদিন রাজ্যের বিভিন্ন ব্যাংকে ভাঙচুর, বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেছে। কয়েকটি জায়গায় অবরোধও হয়েছে। পরে সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তীব্র ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, আগে থেকে পরিকল্পনা না করে এই ভাবে নোট বাতিল করায় মানুষকে চরম বিপদে ফেলা হয়েছে। আমাদের পার্টি মানুষের পার্টি। যে কোনও পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে রাজি আছি। কিন্তু মানুষের কথা বলবই। মানুষের জন্য যতদূর যাওয়ার যাব। মানুষ কেনাবেচা করতে পারছে না। বিয়ে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছেন। এদিন এই ইস্যুতে কংগ্রেস, সিপিএম, মায়াবতী, মুলায়ম সব দলকেই এক সঙ্গে সরব হওয়ার জন্য আবেদন জানান মমতা।
advertisement
৩) ডেলিভারি ম্যানও গ্যাসের দাম নেবে কার্ডে
বাড়িতে সাতসকালে যাঁরা রান্নার গ্যাস ডেলিভারি করতে আসেন, তাঁদের সঙ্গে খুচরো টাকা নিয়ে ঝামেলা কি বন্ধ হতে চলেছে? সিলিন্ডারের জন্য নগদ টাকা জোগাড় করে রাখার ঝঞ্ঝাটও কি শেষের পথে? কারণ এবার ডেলিভারি ম্যান বাড়িতে এসে রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার দিয়ে যাওয়ার সময় ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ডে পেমেন্ট নিয়ে যাবেন। অনেক গ্রাহক অভিযোগ করেন, তাঁর বুকিং করা গ্যাস নাকি মোটা টাকায় অন্য ব্যক্তিকে বেচে দেন ডেলিভারি ম্যান।
৪) হাসপাতাল বাতিল নোট না নেওয়ায় মুম্বইয়ে মৃত্যু সদ্যোজাতের
হাসপাতাল সদ্য বাতিল হওয়া ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট নিতে না চাওয়ায় সদ্যেজাত সন্তানকে বাঁচাতে পারলেন না মুম্বইয়ের এক দম্পতি। মুম্বইয়ের গোভান্দি এলাকায় এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে বৃহস্পতিবার। হতভাগ্য দম্পতি হলেন জগদীশ এবং কিরণ শর্মা। বুধবার এই অভিযোগের আঙুল উঠেছে জীবনজ্যোৎ হাসপাতালের বিরুদ্ধে। যদিও বেসরকারি হাসপাতালটির পক্ষ থেকে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, গত ছ’মাস ধরেই ওই হাসপাতালে নিয়মিতে চেকআপে যেতেই কিরণ। বুধবার বাড়িতেই তাঁর প্রসব যন্ত্রণা শুরু হয়। স্বামী জগদীশ হাসপাতালের দাবি মতো ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোটে ৬ হাজার টাকা মেটাতে চান। কিন্তু অভিযোগ, সরকারি নির্দেশ সত্ত্বেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তা নিতে অস্বীকার করে। এমনকী, শিশুটির ফাইলও তিনি পাননি। ফলে, অন্য হাসপাতালেও তাকে ভরতি করা যায়নি। বৃহস্পতিবার শিশুটি মারা যায়। দম্পতির অভিযোগ, জ্বরের কারণেই তাঁদের সন্তান মারা গিয়েছে। এরপরই জগদীশ চিঠি লিখে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ এফআইআর করেছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অবশ্য দাবি করেছে, এই অভিযোগ ভিত্তিহীন, মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
বাংলা খবর/ খবর/Uncategorized/
আজকের খবরের কাগজের সেরা খবর
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement