আজকের খবরের কাগজ কী বলছে?

Last Updated:
প্রতিদিনের ব্যস্ততায় খবর কাগজ খুঁটিয়ে পড়া সম্ভব হয় না ৷ অনেক সময় গুরুত্বপূর্ণ খবর চোখ এড়িয়ে যায় ৷ তাছাড়া একাধিক কাগজও পড়ার মতো সময় কারোর হাতেই নেই ৷ তাই আসুন এক নজরে, একজায়গায় দেখে নিন কলকাতার বিভিন্ন কাগজের সেরা খবর গুলি ৷ রবিবারের গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলি হল-
anandabazar11
১) জন্মদিনেই দরজা ভেঙে পবন রুইয়াকে পাকড়াও সিআইডি-র
advertisement
আজ ‘সাহেবে’র জন্মদিন। দিল্লির সুন্দরনগরের বাড়িটা তাই সাজানো হয়েছিল ফুল দিয়ে। আয়োজন ছিল সকালে পুজোরও। কিন্তু পুরোহিতের প্রায় পিছন পিছন গিয়ে দিল্লির সেই বাড়ির দরজায় কড়া নাড়লেন কলকাতার সিআইডি গোয়েন্দারা। প্রথমে তাঁদের ঢুকতে বাধা দেন নিরাপত্তারক্ষীরা। পরিচয় দেওয়ার পরে বলা হয়, ‘সাহেব বাড়ি নেই।’ শুনে এক রকম জোর করেই বাড়িতে ঢোকেন অফিসারেরা। বাইরে রয়ে যান দুই গোয়েন্দা-অফিসার। বিশাল বাড়ির কোথায় ‘সাহেব’ লুকিয়ে রয়েছেন, তা প্রথমে বোঝা যায়নি। এক অফিসার পরে জানান, খোঁজ করতে গিয়ে তাঁরা জানতে পারেন, ঘর লাগোয়া একটি শৌচাগারে লুকিয়ে আছেন ‘সাহেব’। কিন্তু পৌঁছনোর আগেই উধাও তিনি।
advertisement
২) ‘আমাকেই লোকসভায় বলতে দেওয়া হচ্ছে না, তাই জনসভায় বলছি’
গোলপোস্টটাই পিছিয়ে দিলেন তিনি। এতটাই যে, সেটা নজরেই আসছে না আর!
গত ৮ নভেম্বর রাতে তিনি ঘোষণা করেছিলেন, লড়াইটা পঞ্চাশ দিনের। তাতেই নিকেশ হবে যত জাল ও কালো টাকা। পথে বসবে সন্ত্রাসবাদী ও মাওবাদীরা। একটু দুর্ভোগ হলেও দেশবাসী যেন তাঁকে এই ক’টা দিন দেন। কিন্তু ওই ঘোষণার মাসপূর্তির দু’দিন পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কবুল করলেন, আদৌ পঞ্চাশ দিনে শেষ হওয়ার নয় মানুষের সমস্যা। সময় লাগবে আরও বেশি।
advertisement
কত বেশি? আজ আর কোনও সময়সীমা ঘোষণার পথে হাঁটেননি প্রধানমন্ত্রী। শুধু জানিয়েছেন, পঞ্চাশ দিনের পর থেকে সমস্যা ধীরে ধীরে কমে আসবে। এবং মানুষ নিজের চোখেই সেটা দেখতে পারবেন।
৩) স্ত্রীকে কটূক্তি, প্রতিবাদী সার্জেন্টকে দমদম রোডে পেটাল আধা পুলিশ
কর্তব্যরত অবস্থায় পুলিশের নিগৃহীত হওয়ার ঘটনা ইদানীং প্রায়ই ঘটছে। এ বার স্ত্রীর শ্লীলতাহানির প্রতিবাদ করতে গিয়েও মার খেলেন ট্র্যাফিক পুলিশের এক সার্জেন্ট।
advertisement
মত্ত অবস্থায় দুই যুবক তাঁর স্ত্রীকে অশ্লীল ইঙ্গিত ও কটূক্তি করলে রুখে দাঁড়ানোয় ট্র্যাফিক পুলিশের এক সার্জেন্টকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠল। শুক্রবার মধ্য রাতে দমদম রোডে চিড়িয়া মোড়ের কাছে ওই ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত রাজু লোধ। তাঁকে আধা পুলিশ বলা যেতে পারে। কারণ, তিনি দমদমে রেল পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ার হিসেবে কাজ করছিলেন।
advertisement
প্রহৃত সার্জেন্ট, কলকাতা পুলিশের ইস্ট ট্র্যাফিক গার্ডে কর্মরত, বছর বিয়াল্লিশের ওই ব্যক্তির ডান চোখে গুরুতর আঘাত লেগেছে। এতটাই যে, চোখের সাদা অংশ লাল হয়ে গিয়ে অনেকটা ঠেলে বেরিয়ে এসেছে। আঘাত লেগেছে তাঁর বাঁ কানেও। ঘটনার সময়ে কিন্তু তাঁর পরনে ছিল পুলিশের নীল জ্যাকেট, মাথায় পুলিশের সাদা হেলমেট ও সঙ্গে পুলিশের লাল মোটরবাইক। স্ত্রীর সঙ্গে অভব্যতা হচ্ছে দেখে তিনি নিজেকে পুলিশ বলে পরিচয় দিলে অভিযুক্ত রাজু লোধও পাল্টা গলা চড়িয়ে বলে, ‘আমিও পুলিশ!’
advertisement
৪) চিটফান্ড নিয়ে কেন্দ্র চিঠি দিল, বেজায় ক্ষুব্ধ মমতা
বিমান বিভ্রাট, সেনা মহড়ার পরে এ বার চিটফান্ড বিতর্ক। কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে সংঘাত ক্রমেই বাড়ছে।
নবান্নের খবর, এ রাজ্যে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা চিটফান্ডগুলির বিরুদ্ধে তদন্ত এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার প্রশ্নে রাজ্য সরকার কী করেছে, নতুন করে তা জানতে চেয়েছে কেন্দ্র। এবং এ নিয়ে আমলা স্তরে চিঠি চালাচালি না-করে খানিকটা নজিরবিহীন ভাবেই খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে সরাসরি জবাব চেয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী সন্তোষ গঙ্গোয়ার। সেই চিঠি পেয়ে বেজায় চটেছেন মুখ্যমন্ত্রী। গঙ্গোয়ারের চিঠির কড়া জবাব দেওয়ার জন্য অর্থ দফতরকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূলকে চাপে রাখতে চিট ফান্ড তদন্ত নিয়ে তৎপরতা বাড়িয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিপুল জয়ের পরে সে সবে ধামাচাপা পড়ে যায়। বিজেপির সঙ্গে যোগসাজশের ফলেই সিবিআই চিট ফান্ড তদন্তে তেমন গা লাগাচ্ছে না, এমন অভিযোগও উঠেছিল। তদন্ত নিজের পথে চলছে বলে সিবিআই দাবি করলেও কার্যক্ষেত্রে তাদের বিশেষ তৎপরতা দেখা যাচ্ছিল না।
advertisement
bartaman_big11
১) কালো টাকা প্রমাণে হিমশিম আয়কর দপ্তর
কালো টাকা উদ্ধারে দেশবাসীকে নাজেহাল করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলছেন, দেশে কালো টাকা ও সম্পত্তি তিনি উদ্ধার করবেনই। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর সেই চেষ্টার পদ্ধতি নিয়ে বেজায় বিপাকে পড়েছেন আয়কর দপ্তরের কর্তারা। তাঁরা বলছেন, টাকা বা সম্পত্তি ‘কালো’ কি না, তা দেখার অধিকার ও দায়িত্ব একমাত্র আয়কর দপ্তরেরই। অথচ সম্পত্তি ‘কালো’ হতে পারে, এমন গন্ধ অন্তত ১০ কোটি কেসে নভেম্বর মাসের আগেই পেয়েছে আয়কর দপ্তর। এ রাজ্যে সেই সংখ্যা ১ কোটির বেশি। সেইসব কেসের সম্পত্তি কতটা কালো, তার কিনারা করতেই কালঘাম ছুটছে দপ্তরের কর্তাদের। তার উপর নতুন করে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ঘেঁটে কালো টাকা বা সম্পত্তির সন্ধান করা যাবে কী করে, তা নিয়ে বেজায় চিন্তায় তাঁরা। যদিও বা তার হদিশ পাওয়া যায়, তাহলে তা আদৌ কালো কি না, তাও এত সহজে জানা যাবে না বলেই মনে করছেন আয়কর দপ্তরের কর্তারা।
২) লাইনে দাঁড়িয়ে কেন, মোবাইলকেই ব্যাংক হিসাবে ব্যবহার করুন: মোদি
নোট বাতিলের এক মাস পরও দেশজুড়ে টাকার জন্য হাহাকাঝর যেখানে বেড়েই চলেছে এবং গোটা দেশই টাকার জন্য প্রতিদিন দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়াতে বাধ্য হচ্ছে, তখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আজ বলেছেন, লাইনে দাঁড়ানোর দরকার নেই। মোবাইলেই ব্যাংকিং করুন। কেনাকাটা করুন মোবাইল ব্যবহার করে। আবার বলছি ৫০ দিন যেতে দিন। তারপর সব ঠিক হয়ে যাবে। আজও প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীর কাছে আর কিছুদিন সময় চেয়েছেন। বলেছেন, ৫০ দিন পার হওয়ার পর দেশের পরিস্থিতির আমূল পরিবর্তন হবে।
৩) দিল্লিতে ধৃত জেশপ কর্তা রুইয়া
জেশপ কর্তা পবন রুইয়ার জন্মদিন ছিল শনিবার। পার্টি কীভাবে হবে, তার পরিকল্পনা আগেই সেরে ফেলা হয়েছিল। এদিন সকাল থেকেই দিল্লির সুন্দরনগরের বাড়িতে চলছিল তার প্রস্তুতি। তখন সকাল এগারোটা। সিআইডি অফিসারদের গাড়ি এসে দাঁড়াল তাঁর বাড়ির সামনে। নেমে এলেন চার অফিসার। বিশাল বাংলোর গেটে যাওয়া মাত্রই তাঁদের পরিচয় জানতে চাইলেন নিরাপত্তা রক্ষী। সিআইডি থেকে আসছি বলার পরেও বিশ্বাস করতে চাননি ওই নিরাপত্তা রক্ষী। পরিচয়পত্র দেখিয়ে ভিতরে যাওয়ার অনুমতি চাইলেন তাঁরা।
৪) কাশীপুর থানার সামনেই শ্লীলতাহানি স্ত্রী’র, প্রতিবাদ করায় প্রহৃত সার্জেন্ট
কাশীপুর থানা থেকে ঢিলছোঁড়া দূরত্বে মধ্যরাতে শহরের বিটি রোডের বুকে স্ত্রীকে কটূক্তি করায় মাথা ঠিক রাখতে পারেননি কলকাতা পুলিশের এক সার্জেন্ট। রুখে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করেছিলেন। এই প্রতিবাদের মাশুল দিতে হল তাঁকে। এরপরই উর্দিতে থাকা ইস্ট ট্রাফিক গার্ডে কর্মরত ওই সার্জেন্টকে তিন-চারজনের দুষ্কৃতী দল নির্মমভাবে কিল-চড় ও ঘুসি মারতে থাকে। এমনকী সার্জেন্টের স্ত্রীকেও রেয়াত করেনি ওই দুষ্কৃতীরা। রীতিমতো তাঁর পোশাক ধরেও টানাটানি করা হয়েছে বলে অভিযোগ। দুষ্কৃতীদের প্রহারে সার্জেন্টের ডানচোখের রেটিনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বাংলা খবর/ খবর/Uncategorized/
আজকের খবরের কাগজ কী বলছে?
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement