আজকের সেরা খবর
Last Updated:
প্রতিদিনের ব্যস্ততায় খবর কাগজ খুঁটিয়ে পড়া সম্ভব হয় না ৷ অনেক সময় গুরুত্বপূর্ণ খবর চোখ এড়িয়ে যায় ৷ তাছাড়া একাধিক কাগজও পড়ার মতো সময় কারোর হাতেই নেই ৷ তাই আসুন এক নজরে, একজায়গায় দেখে নিন কলকাতার বিভিন্ন কাগজের সেরা খবর গুলি ৷ বুধবার গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলি হল-
১)মান রাখতে মরিয়া, মমতার হুমকির জেরে জেদ বাড়ছে উর্দির
advertisement
রাজ্যবাসী ধন্য ধন্য করেছেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী ফল ভুগতে হবে বলে শাসিয়েছেন। রাজ্য পুলিশের কাছে এখন চ্যালেঞ্জ, তাঁরা ফের মাথায় ফাইল চাপা দিয়ে টেবিলের তলায় লুকোবেন, নাকি শিরদাঁড়া সোজা করে উর্দির দায়িত্ব পালন করবেন! সোমবার পুলিশের বিভিন্ন মহলে কান পাতলে একটা বার্তা কিন্তু পরিষ্কার— প্রকাশ্যে শাসানি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পুলিশকর্মীদের জেদই বাড়িয়ে দিয়েছেন। কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার পদমর্যাদার এক কর্তা যেমন স্পষ্টই বলে দিলেন, ‘‘মনে রাখবেন আনুগত্যের একটা সীমা আছে। অনেক নীচে নেমেছি আর পারব না!’’
advertisement
এ বারের ভোটে নির্বাচন কমিশন শাসক দলের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত মোট ৬৭ জন পুলিশ অফিসারকে বদলি করেছিল। তার পর ভোটের তৃতীয় দফা থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে নিজের কাজ করে দেখিয়েছে রাজ্য পুলিশ। বীরভূমে শান্তিপূর্ণ ভোট হওয়ার পরে কলকাতায় তিন দফা এবং বিধাননগরে পুলিশের ভূমিকা অত্যন্ত প্রশংসা অর্জন করেছে। শাসকের ভূতেদের দাঁত ফোটাতে না দিয়ে নিজের ভোট নিজে দিয়েছেন মানুষ। ৫ মে, শেষ দফার ভোটে পূর্ব মেদিনীপুর এবং কোচবিহারে এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকে কি না, এখন সেই জল্পনাই প্রবল। তারই মধ্যে রবিবার পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুরের সভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খোলাখুলি বলে দেন, ‘‘যা যা হয়েছে সব কিছুর উত্তর আমি বুঝে নেব।... যারা (পুলিশি তাণ্ডব) করল, আগামী দিনে তাদের ভুগতে হবে।’’
advertisement
২) ‘বাড়িতে ঢুকে ধর্ষণ করবে বলছিল, ঝান্ডা লুকিয়ে রাখতে বলেছিলাম’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ ছিল, সিপিএমকে মাটিতে মিশিয়ে দিতে হবে। কিন্তু সিপিএম নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে নিজে থেকেই মাটির তলায় (আন্ডারগ্রাউন্ড) চলে গিয়েছিল। আনন্দবাজার ওয়েবসাইটের জন্য অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অনেকটা এমনই বললেন মহম্মদ সেলিম। সিপিএম নেতার দাবি, ঝান্ডা লুকিয়ে লড়েছেন কমরেডরা। তাই কাদের শেষ করবেন, খুঁজেই পাননি মমতা।
advertisement
হাওয়া উঠেছে বাম-কংগ্রেস জোটের পক্ষে। দাবি জোট নেতাদের। তৃণমূল নেতারা বলছেন, তর্কের খাতিরে যদি মেনেও নেওয়া হয় যে হাওয়া উঠেছে, তা হলেও কি তৃণমূলকে হারানো সম্ভব জোটের পক্ষে? শুধু হাওয়ায় কি ভোট হয়? সংগঠন দরকার হয় না? সেলিম মানলেন, সংগঠন ছাড়া ভোট হয় না। কিন্তু সিপিএমের সংগঠন আর নেই, এ কথা নস্যাৎ করে দিলেন দলের পলিটব্যুরো সদস্য। তাঁর দাবি, ইচ্ছাকৃতই সংগঠন বা জনভিত্তিকে দৃষ্টির বাইরে নিয়ে গিয়েছিল সিপিএম। কারণ? মহম্মদ সেলিমের কথায়, ‘‘বাস্তবতার নিরিখে আমাদের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নীতি নিতে হয়। যেখানে ঝান্ডা লাগাতে গেলে ঘর বা দোকান পুড়িয়ে দেবে, ভেঙে দেবে, বাড়িছাড়া করে দেবে, জরিমানা করবে, মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেবে, যেখানে বাড়িতে ঢুকে রেপ করে দেব বলে হুমকি দেবে, সেখানে কৌশলগতভাবেই আমাকে বলতে হবে, ঝান্ডা লাগিও না। আমাকে দেখতে হবে, তাঁর হৃদয়ে, তাঁর মগজে সিপিএম রইল কি না।’’
advertisement
৩) ‘সব সাজানো ঘটনা’ বোঝাতে হরিদেবপুরে শোভন-সফর
উপলক্ষ ছিল প্রতিবাদ।
কীসের? সিপিএমের ‘কুৎসা’র।
হরিদেবপুরের দরির চকে সিপিএম সমর্থক এক পরিবারের উপরে হামলা ও বাড়ির ছোট্ট মেয়েকে মারধরের অভিযোগে দু’দিন ধরে উত্তাল রাজনীতি। সেই ঘটনাকেই ‘অপপ্রচার’ বলে দাবি করে সোমবার সেখানে প্রতিবাদ সভা করতে যান বেহালা পূর্ব কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী তথা কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। বাচ্চা মেয়েটির গলা জড়িয়ে ধরে চুমু খেয়ে পরিস্থিতি যথেষ্ট ‘শোভন’ করারও চেষ্টা করেন। কিন্তু তার বাড়ির চৌকাঠ মেয়র পেরোতে পারেননি। বাড়ির দরজায় দাঁড়িয়ে একটু কথা বলেই তাঁকে ফিরে যেতে হয়।
advertisement
৪)একশোর মুকুটে পাঠান পালক, অবিশ্বাস্য রাত দেখল লাগামহীন গম্ভীরকে
হাতের তোয়ালে ছুড়ে ফেলছেন মাটিতে, সঙ্গে ডাগআউট চেয়ারে আছড়ে পড়ছে সজোর পদাঘাত! জিততে আর চাই দুই, সূর্যকুমার যাদবের বাউন্ডারিটা এখনই বিলবোর্ডে ধাক্কা খেয়ে ফিরে এল। অবিশ্বাস্য, চরম অবিশ্বাস্য একটা ম্যাচ জিততে চলেছে কেকেআর।
সে ঠিক আছে। কিন্তু গৌতম গম্ভীরের এত আক্রোশ কেন?
advertisement
ইউসুফ পাঠানকে আসতে দেখা মাত্র পাগলের মতো একটা দৌড় শুরু করলেন তিনি। ফুটছেন, ছুটছেন, দীর্ঘদেহী পাঠানকে জড়িয়ে ধরছেন তীব্র আবেগে। পিঠে চাপড় পড়ছে তো পড়েই চলেছে। মুষ্টিবদ্ধ হাতের ঝাঁকানি যে সেই শুরু হয়েছে, শেষের আর নাম নেই।
Location :
First Published :
May 03, 2016 12:52 PM IST