#Mahindra Thar: গত বছরের অক্টোবরে Mahindra Thar-এর লঞ্চ থেকে শুরু করে একের পর এক নতুন ডিজাইন- সব মিলিয়ে Mahindra-র দ্বিতীয় জেনারেশনের এই গাড়ি নিয়ে একাধিক জল্পনা তৈরি হয়েছে। এর জেরে গাড়িপ্রেমীদের মধ্যেও বার বার আরও কৌতূহল বেড়েছে। এর মাঝেই লঞ্চের পর প্রথমবারের জন্য দাম বাড়তে চলেছে Mahindra Thar-এর। সম্প্রতি এক ঘোষণায় গাড়িপ্রস্তুতকারী সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, নির্দিষ্ট দু'টি ভ্যারিয়েন্টে গাড়ির দাম যথাক্রমে ২০,৩৩৭ ও ৪০,৩৩৮ টাকা করে বেড়েছে। তবে যাঁরা গত বছর ৩০ নভেম্বরের আগে বুকিং করেছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে এই মূল্য বৃদ্ধি লাগু হবে না। এবার এই মূল্য বৃদ্ধি সম্পর্কে বিশদে জেনে নেওয়া যাক!
লঞ্চের সময় একাধিক ভ্যারিয়েন্টে এসেছিল গাড়িটি। এক্ষেত্রে AX Std সিরিজ, AX(O), LX ম্যানুয়াল ট্রান্সমিশন ও LX অটোমেটিক ট্রান্সমিশন ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যাচ্ছিল এই গাড়ি। গাড়ির দাম শুরু হয়েছিল ৯.৮০ লক্ষ টাকা থেকে। অর্থাৎ AX Std ভ্যারিয়েন্টের দাম ছিল ৯.৮০ লক্ষ টাকা ও AX petrol ভ্যারিয়েন্টের দাম ছিল ১০.৬৫ লক্ষ টাকা। কিন্তু লঞ্চের মাস দু'য়েক পরই ওয়েবসাইট থেকে এই দুই ভ্যারিয়েন্টের গাড়ি সরিয়ে দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে গাড়ির দাম শুরু হয় ১১.৯০ লক্ষ টাকা থেকে। ২০,৩৩৭ টাকা বাড়ায়, গাড়িটির বর্তমানে দাম বেড়ে হয়েছে ১২.১০ লক্ষ টাকা। এই সিরিজে সবচেয়ে দামি মডেল LX Diesel AT HT। এর দাম প্রথমে ছিল ১৩.৭৫ লক্ষ টাকা। ৪০,৩৩৮ টাকা বাড়ায়, গাড়িটির বর্তমান দাম ১৪.১৫ লক্ষ টাকারও বেশি।
প্রস্তুতকারী সংস্থা সূত্রে খবর, বর্তমানে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে এই গাড়ির। এখনও পর্যন্ত ৩০,০০০-এর বেশি বুকিং হয়েছে। এক্ষেত্রে গাড়িতে পেট্রোল ও ডিজেল দু'ধরনের ইঞ্জিনের ব্যবস্থা রয়েছে। তাই ক্রেতাদের কাছে এবার বিকল্প বেছে নেওয়ার সুযোগ থাকছে। প্রস্তুতকারী সংস্থার দাবি, দু'টি ইঞ্জিনের পারফরম্যান্সই দুর্দান্ত। Mahindra Thar-এ থাকছে ২.০ -লিটার টার্বো পেট্রোল ইঞ্জিন। এটি ১৫০ PS ও ৩২০ Nm টর্ক পর্যন্ত ক্ষমতা সরবরাহ করতে পারে। থাকছে ২.২-লিটার টার্বো ডিজেল ইঞ্জিন। এই ডিজেল ইঞ্জিন ১৩০ PS ও ৩২০ Nm টর্ক পর্যন্ত ক্ষমতা সরবরাহ করতে পারে। এর সঙ্গেই সিক্স স্পিড ম্যানুয়াল গিয়ার বক্স ও সিক্স স্পিড টর্ক কনভার্টার অটোমেটিক ট্রান্সমিশন থাকছে। থাকছে ৪ হুইল ড্রাইভ সিস্টেম।
বলা বাহুল্য, SUV সেগমেন্টে ক্রেতাদের চাহিদা বাড়ার জেরেই এই মূল্য বৃদ্ধি। যেহেতু জনপ্রিয়তা ও চাহিদা বেড়েছে, তাই ওয়েটিং পিরিয়ডও বাড়াতে হয়েছে গাড়িপ্রস্তুতকারী সংস্থাকে। লঞ্চের সময়ে প্রথমের দিকে ওয়েটিং পিরিয়ড ছিল ৪-৫ মাসের। পরে নভেম্বরে তা বেড়ে হয় সাত মাস। শেষমেশ ১০ মাসের জন্য বাড়ে ওয়েটিং পিরিয়ড।