টায়ার স্পেসিফিকেশনে কী লেখা আছে বুঝতে পারছেন না? এখানে রইল হিসেব-নিকেশ

Last Updated:

Tyre Specification: বাইক বা গাড়ি নিয়ে বেরোনোর আগে ছোট ছোট জিনিসগুলো মাথায় থাকছে তো? এগুলোই কিন্তু বড় ভূমিকা পালন করে। যেমন টায়ার। টায়ারের পাশে স্পেসিফিকেশন লেখা থাকে। কিন্তু এর অর্থ খুব কম চালকই বোঝেন।

কলকাতা: উইকএন্ডে লং ড্রাইভ। কিংবা বাইকে লাদাখ। কে না চায়! কিন্তু বাইক বা গাড়ি নিয়ে বেরোনোর আগে ছোট ছোট জিনিসগুলো মাথায় থাকছে তো? এগুলোই কিন্তু বড় ভূমিকা পালন করে। যেমন টায়ার। টায়ারের পাশে স্পেসিফিকেশন লেখা থাকে। কিন্তু এর অর্থ খুব কম চালকই বোঝেন।
আদর্শ টায়ার সাইজ স্পেসিফিকেশন কী হতে পারে? ইউজার ম্যানুয়ালে লেখা থাকে ‘P225/70/R16 91S’। এই কোড ব্যবহার করেই গাড়ির জন্য সঠিক মাপ এবং আদর্শ টায়ার খুঁজে বের করতে হবে।
আরও পড়ুন- লিস্ট, কোট আর কোড; WhatsApp-এ এখন চ্যাট আরও পার্সোনালাইজড, দেখে নিন কীভাবে
এই আলফা-নিউমেরিক কোডে সাত ধরনের উপাদান লুকিয়ে আছে। এর মধ্যে টায়ারের আদর্শ প্রস্থ, লোড সূচক, রিমের ব্যাস, আকৃতির অনুপাত এবং গতির রেটিং অন্যতম।
advertisement
advertisement
আলফা-সংখ্যাসূচক কোডের প্রথম অক্ষর ‘P’। এর অর্থ হল, টায়ারটি যাত্রীবাহী গাড়ির জন্য। সেটা মিনিভ্যান, এসইউভি বা অন্য কোনও ধরনের যাত্রীবাহী যান হতে পারে।
এর পর প্রথম সংখ্যাসূচক মান, ‘225’, মিলিমিটারে উল্লিখিত, এই মান টায়ারের প্রস্থ বর্ণনা করে। প্রস্থ মানে এক সাইডওয়াল থেকে আরেক সাইডওয়ালের পরিমাপ বোঝায়। সুতরাং P225 টায়ার যাত্রীবাহী গাড়ির জন্য যার প্রস্থ ২২৫ মিমি।
advertisement
এরপর একটি স্ল্যাশ চিহ্ন রয়েছে। তারপর দেওয়া হয়েছে ‘70’, এটা টায়ারের আকৃতির অনুপাত, যা শতাংশে হিসেব করা হয়। টায়ার নির্মাতারা রিমের উচ্চতাকে প্রস্থ দিয়ে ভাগ করে টায়ারের আকৃতির অনুপাত গণনা করে।
m
আকৃতি অনুপাতের পর স্ল্যাশ দিয়ে আবার একটি অক্ষর রয়েছে। এটা টায়ারের অভ্যন্তরীণ নির্মাণের ধরন বোঝায়, যা স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। এই ক্ষেত্রে রয়েছে ‘R’ অর্থাৎ রেডিয়াল। কিছু টায়ারে ‘D’ থাকে যা ডায়াগনাল বোঝায়। রেডিয়াল টায়ারের অর্থ ভেতরের প্লাই কর্ডগুলো ঘূর্ণন অক্ষের সঙ্গে লম্বালম্বিভাবে আছে।
advertisement
আরও পড়ুন- ওয়েব এবং মোবাইলে নয়া টেক্সট ফরম্যাটিং শর্টকাট আনছে WhatsApp; কীভাবে তা কাজ করবে?
পরবর্তী সংখ্যাটি ব্যাস কোড, যা এই ক্ষেত্রে’ 16’। এতে ব্যবহৃত মেট্রিক হল ইঞ্চি। এটি রিমের ব্যাস নির্দেশ করে যার উপর টায়ার মাউন্ট করা হয়। এর মানে টায়ারে ১৬ ইঞ্চি ব্যাসের রিম ফিট করবে।
পরবর্তী সংখ্যাটি হল লোড সূচক। অর্থাৎ টায়ারে সম্পূর্ণ হাওয়া ভরার পর কতটা ওজন নিতে পারবে। এই সূচক ৬০ থেকে শুরু হয়, ১৭৯ পর্যন্ত থাকে। ২৫০ কেজি থেকে ৭,৭৫০ কেজি পর্যন্ত লোড বহন করতে পারে।
advertisement
শেষ অক্ষরটি টায়ারের গতির রেটিং বোঝায়। এক্ষেত্রে ‘S’ মানে টায়ারের প্রতি ঘণ্টায় ১৮০ বেগে যাওয়ার ক্ষমতা রয়েছে।
বাংলা খবর/ খবর/প্রযুক্তি/
টায়ার স্পেসিফিকেশনে কী লেখা আছে বুঝতে পারছেন না? এখানে রইল হিসেব-নিকেশ
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement