₹40,000-এর মধ্যে সেরা ক্যামেরা ফোন? এসে গেছে OPPO Reno14 5G!

Last Updated:

একটি মিড-রেঞ্জ ফোন, যার ভাবনা একেবারে উচ্চমানের ফ্ল্যাগশিপের মতো—তৈরি হয়েছে সৃষ্টিশীল মানুষ, ভ্রমণপিপাসু আর প্রতিদিনের গল্পকারদের জন্য।

News18
News18
আপনি আপনি যদি কখনও হ্যানয়ের কোনো ছাদে দাঁড়িয়ে রেড রিভার-এর উপর ভেসে চলা ল্যান্টার্ন দেখতে দেখতে মুগ্ধ হয়ে যান, কিংবা ভোরবেলা হিমালয়ের কোনো ট্রেইলে উঠে দেখেন পাহাড়ের চূড়াগুলো কীভাবে গোলাপি আলোয় জ্বলে ওঠে—আর মনে হয়, “ইস! ফোনটা যদি এই জাদুটা একদম চোখের মতো তুলে ধরতে পারত!”—তাহলে OPPO Reno14 5G-ই সেই কাঙ্ক্ষিত উত্তর।
₹40,000-এর কম দামের হলেও, এটা মোটেও স্রেফ আরেকটা mid-range ফোন নয়। এটা তাদের জন্য, যারা প্রতিটা খাবার, প্রতিটা রাস্তার মোড় আর প্রতিটা golden hour-কে রূপ দেয় অসাধারণ কনটেন্টে। Flagship-grade ক্যামেরা, AI স্মার্টনেস, আর এমন এক ডিজাইন—যা যেমন দেখতে প্রিমিয়াম, তেমন ব্যবহারেও দারুণ—Reno14 5G এসেছে আপনার গল্পকে ক্যামেরায় ধরে রাখার নতুন মানে দিতে।
advertisement
advertisement
কেন এটা হতে পারে ₹40K-এর মধ্যে সেরা ক্যামেরা ফোন, আর কীভাবে এটা প্রতিদিনের মুহূর্তগুলোকে বদলে দিতে পারে এক একটা রঙিন স্মৃতিতে—চলুন, জেনে নিই।
ক্যামেরা, ছবির বাইরেও যার অনেক কিছু বলার আছে
Reno14 5G কেবল স্পেসিফিকেশন লিস্টে আটকে নেই। এর প্রতিটি লেন্স তৈরি হয়েছে বাস্তব জীবনের সৃষ্টিশীল কাজের কথা মাথায় রেখে—বিশেষ করে যখন আপনি ঘর থেকে অনেক দূরে, আর আপনার চারপাশে একের পর এক মুহূর্ত ধরা দিতে চায় ক্যামেরায়। হতে পারে ভিয়েতনামে আপনার পরবর্তী সফরই আপনাকে করে তুলবে একজন ট্র্যাভেল কনটেন্ট ক্রিয়েটর। এই ফোনে, সেটা শুধুই কল্পনা নয়—একদম বাস্তব সম্ভাবনা।
advertisement
50MP মেইন ক্যামেরার সাথে থাকা OIS (Optical Image Stabilization) নিশ্চিত করে ঝকঝকে পরিষ্কার ছবি—যখন আপনি সাইকলোতে করে ঘুরছেন হ্যানয়ের ওল্ড কোয়ার্টারের সরু রাস্তায়। রাস্তায় ধাক্কা লাগলেও মোশন আর টেক্সচার—সবই ধরা পড়ে নিখুঁতভাবে।
8MP আলট্রা-ওয়াইড লেন্স প্রাণ ফিরে পায় যখন আপনি ভোরবেলা দাঁড়িয়ে আছেন আন ব্যাং বিচে অথবা তাকিয়ে আছেন সাপার সবুজ ধাপে ধাপে গড়া পাহাড়ের দিকে—দৃশ্যপট এমনভাবে প্রসারিত হয় যেন আপনি ছবির ভেতর হেঁটে ঢুকে যেতে পারেন।
advertisement
3.5x 50MP টেলিফটো জুম দিয়ে আপনি ধরতে পারেন সেইসব সূক্ষ্ম ডিটেইল যা সাধারণ ক্যামেরায় ধোঁয়াটে হয়ে যায়—মার্বেল মাউন্টেনের প্যাগোডার উঁচুতে খোদাই করা ড্রাগন, কিংবা দূরে উড়তে থাকা একাকী প্রার্থনার পতাকা। আর যদি আরও কাছে যেতে চান, তাহলে 120x ডিজিটাল জুম এনে দেয় চোখে না পড়া অংশও স্পষ্ট করে দেখার ক্ষমতা।
advertisement
● আর যখন আপনি হোই আন-এর লালটেনে আলোকিত কোনো ক্যাফেতে বসে পড়েন একটু নিঃশ্বাস নিতে, তখনও 50MP সেলফি ক্যামেরার অটোফোকাস আপনার প্রতিচ্ছবিকে রাখে উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত—আপনি ক্লান্ত থাকুন, চলন্ত অবস্থায় হোন, কিংবা হালকা আবছা আলোয় ছবি তুলুন না কেন।
advertisement
এটাই হলো ব্যবহারকারীকেন্দ্রিক প্রকৌশলের আসল রূপ—একটি ক্যামেরা সিস্টেম, যা ঠিক যেমনটি আপনি মনে কল্পনা করেন, তেমনভাবেই আপনার গল্পকে বাঁধতে দেয়।
4K 60fps ভিডিও, মনে হয়, যেন আপনি নিজেই ঘটনাস্থলে আছেন
যেখানে ছবি তোলা শুধু গল্পের অর্ধেক, ভিডিও হলো তার আরেক অর্ধাংশ—আর এখানেই Reno14 দেখায় তার আসল দক্ষতা।
যেখানে বেশিরভাগ মিড-রেঞ্জ ফোন কমিয়ে আনে রেজোলিউশন, সেখানে Reno14 ধারণ করে 4K HDR ভিডিও, একেবারে স্মুথ 60fps-এ
advertisement
আর সবচেয়ে বড় কথা? অন্যান্য ফোনে যেখানে 4K সীমাবদ্ধ থাকে শুধু মেইন ক্যামেরায়, এখানে আপনি সেটা পাচ্ছেন মেইন, টেলিফটো এমনকি সেলফি লেন্স-এও।
অর্থাৎ আপনি শুরু করতে পারেন পুণের ব্যস্ত রাস্তায় স্কুটারের ভিড়ের ভিডিও মেইন ক্যামেরায় ধারণ করে, আর ঠিক ভিডিও চলার মাঝেই সুইচ করে নিতে পারেন আলট্রা-ওয়াইড লেন্সে—তাও কোনো ছন্দপতন, ঝাপসা বা ধারাবাহিকতা নষ্ট না করেই।
আর নেই সেই বিরক্তিকর কাট-এডিট, আর নেই কোনো কম্প্রোমাইজ।
এই ভিডিওগুলো শুধু স্মৃতি মনে করিয়ে দেবে না—বরং সেগুলোকেই ফিরিয়ে আনবে একেবারে জীবন্ত রূপে। আপনি যতবারই ‘প্লে’ চাপবেন, ঠিক ততবারই ফিরে যাবেন সেই মুহূর্তে, সেই অনুভবে।
আর আছে AI Voice Enhancer—একটা এমন সূক্ষ্ম, ব্যবহারযোগ্য ফিচার, যা প্রমাণ করে এই ফোন বানিয়েছেন ঠিক সেইরকম মানুষ, যারা নিজেরাই কনটেন্ট তৈরি করেন। যে কেউ চেষ্টা করেছেন কেরালার বাতাসভরা হাউসবোটে দাঁড়িয়ে ভিডিওতে কিছু বলার, কিংবা কোনো প্রতিধ্বনিময় ঐতিহ্যবাহী স্থানে নিজের কণ্ঠ ধরার—জানেন কত সহজে ভালো একটা ভাবনা হারিয়ে যায় ব্যাকগ্রাউন্ড আওয়াজে। AI Voice Enhancer-এর মাধ্যমে আপনার কণ্ঠ থাকবে স্পষ্ট আর আত্মবিশ্বাসী—আর চারপাশের অন্য সব শব্দ ধীরে ধীরে মিলিয়ে যাবে পেছনে।
Triple Flash Array: অন্ধকারেও ঝকঝকে ছবি। আলো কম? সমস্যা নেই
রাত নেমে এলেই গল্প থেমে যাবে—এমন তো নয়, তাই না?
Reno14-এর Triple Flash Array-এ রয়েছে দুটি উজ্জ্বল LED, মূল ও আলট্রা-ওয়াইড ক্যামেরার জন্য, আর আলাদা একটি টেলিফটো ফ্ল্যাশ—যার ফলে আলো কমলেও ছবি তোলা থেমে থাকে না।
আপনি যখন ব্যাঙ্ককের রঙিন নাইট মার্কেটে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, কিংবা টোকিওর নিয়ন আলোয় মোড়া গলিপথে, অথবা বেঙ্গালুরুর বৃষ্টিভেজা রাস্তায় ক্যামেরা তাক করছেন—আপনার ছবি থেকে যাবে সমান উজ্জ্বল, টেক্সচার-ভরা আর রঙে পরিপূর্ণ।
অতিরিক্ত কোনো গিয়ার ছাড়াই আন্ডারওয়াটার ফটোগ্রাফি
Reno14 শুধু টেকসই নয়—এটি এতটাই নিখুঁতভাবে প্রকৃতির প্রতিকূলতা প্রতিরোধে গড়া যে OPPO নিজেরাই চায় আপনি এটিকে জলের নিচে ক্যামেরা হিসেবে ব্যবহার করুন। আর তা সম্ভব হয়েছে এর IP68 রেটিং-এর জন্য।
তবে এখানেই থেমে নেই। IP66 এবং IP69 রেটিং-এর কারণে টানা বৃষ্টির ভেতর হেঁটে যাওয়া হোক বা হঠাৎ জল ছিটে যাওয়া—এই ফোনের মুখে ভাঁজ পড়ে না। আর যখন আপনি এক ধাপ এগিয়ে যান—ধরুন, ফু কুয়কের কাছাকাছি স্নরকেলিং করছেন, অথবা হোটেলের ইনফিনিটি পুলে ভেসে আছেন—তখন এটি বদলে যায় একদম 4K জলতল ক্যামেরা-সেটে। ধরে রাখে দুর্দান্ত ভিডিও আর হাই-রেজ ফটো—ঠিক সেখানে, যেখানে অন্য ফোনরা হার মেনে নেয়।
এমনই এক ফিচার, যেটা ব্যবহার করার কথা আপনি হয়তো ভাবেনইনি—আর একবার ব্যবহার করলেই বুঝবেন, আপনি এ ছাড়া চলতেই পারবেন না।
যখন AI হয়ে ওঠে সত্যিকারের সহকারী
Reno সিরিজ বরাবরই পরিচিত হয়েছে তার স্টাইলিশ ডিজাইন আর কনটেন্ট নির্মাতাদের জন্য তৈরি শক্তিশালী AI ফিচারের জন্য। Oppo এবার Reno14 5G সেই ঐতিহ্যকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে গেছে—নতুন এক স্তরে।
AI Editor 2.0: মুহূর্তেই প্রো-লেভেল এডিটিং
AI Editor 2.0 এমন এক টুলসেট, যা কাজ করে নতুনদের জন্যও, আবার প্রোফেশনালদের হাতেও সমান কার্যকর।
AI Recompose: একটিমাত্র ট্যাপে AI স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনার ছবি কাটে, সোজা করে, আর নতুন ফ্রেমে সাজিয়ে দেয়। হঠাৎ তোলা কোনো পোর্ট্রেট হোক কিংবা মজার কোনো গ্রুপ সেলফি—সেকেন্ডের মধ্যেই আপনি পেয়ে যান পরিমিত, প্রফেশনাল কম্পোজিশন।
AI Perfect Shot: গ্রুপ সেলফির ঠিক সেই মুহূর্তে কেউ চোখ বুজে ফেলেছে? কোনো সমস্যা নেই—আপনার অ্যালবাম থেকে ভালো একটি এক্সপ্রেশন বেছে নিয়ে সহজেই বদলে ফেলুন, যেন শুরু থেকেই ছবিটা ছিল একেবারে নিখুঁত।
আরও আছে কিছু জাদুকরী ফিচার—যেমন, AI Unblur, AI Reflection Remover আর আমাদের প্রিয় AI Eraser। এই তিনে মিলে আপনাকে এমন এক সুবিধা দেয়, যা যেন একেবারে গোপনে পাশে থাকা কোনো প্রো ডিজাইনারের মতো—আপনার প্রতিটা ছবি হয়ে ওঠে নিখুঁত, ঠিক যেমন আপনি চাইতেন।
AI Livephoto 2.0: মুভমেন্ট ক্যাপচার করা, সহজেই
ছবির সময়টাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি সাইগনের রাস্তায় কোনো পারফর্মারকে ক্যামেরায় ধরতে চান, কিংবা সমুদ্রের ঢেউয়ে বন্ধুরা লাফিয়ে পড়ার মুহূর্তটা ফ্রেমবন্দি করতে চান—AI Livephoto 2.0 নিশ্চিত করে, আপনি পাবেন সেই নিখুঁত মুহূর্তটা। ঝাপসা ছাড়া। কম্প্রোমাইজ ছাড়াই।
পারফরম্যান্স, যা বিন্দুমাত্র ঘাম ঝরায় না
Reno14 Pro-এর প্রতিটি কাজের পেছনে যে জিনিসটা নির্ভরতার ভিত্তি—তা হলো এর অসাধারণ শক্তি।
এই পারফরম্যান্সের পেছনে রয়েছে MediaTek Dimensity 8350, যা এনেছে স্পষ্ট ও শক্তিশালী অগ্রগতি—CPU Peak Performance-এ 20% উন্নতি, GPU পারফরম্যান্সে 60% বৃদ্ধি, এবং আগের জেনারেশনের তুলনায় NPU পারফরম্যান্সে 230% পর্যন্ত উন্নয়ন। অর্থাৎ, আপনি যখন চিয়াং মাই-এর কোনো ক্যাফেতে বসে 4K vlog এডিট করছেন, শেষ ট্রেকের ছবি ব্যাচ-প্রসেস করছেন, কিংবা এক অ্যাপ থেকে আরেক অ্যাপে অনায়াসে সরে যাচ্ছেন—Reno14 Pro ততটাই দ্রুত, মসৃণ এবং প্রতিক্রিয়াশীল। যেন আপনার ভাবনার আগেই কাজটা সেরে ফেলছে।
সবকিছুকে একত্রে গেঁথে রেখেছে ColorOS 15—OPPO-র নতুন সফটওয়্যার প্ল্যাটফর্ম, যা ডিজাইন করা হয়েছে আরও স্মার্ট মাল্টিটাস্কিং, বুদ্ধিদীপ্ত ব্যাটারি ব্যবস্থাপনা এবং উন্নত AI রিসোর্স অ্যালোকেশনের জন্য। স্মুথ ট্রানজিশন, দ্রুত রেসপন্স দেওয়া জেসচার, স্মার্ট রিমাইন্ডার থেকে শুরু করে উন্নত প্রাইভেসি কন্ট্রোল—সব মিলিয়ে ফোনটি যেন ঠিক ততটাই স্বজ্ঞাত ও প্রতিক্রিয়াশীল, যতটা শক্তিশালী।
এই সফটওয়্যার ভারতের বাস্তব পরিস্থিতির সাথেও নিজেকে মানিয়ে নেয়। OPPO Lab-এর টেস্টে যখন 35℃ গরম দুপুরের মতো পরিস্থিতি তৈরি করা হয়, তখনও ফোনটি ঠান্ডা থেকে যায়—আক্ষরিক অর্থেই। টানা তিন ঘণ্টা গেমিংয়ের পরেও ডিভাইসের তাপমাত্রা ছিল মাত্র 36.6℃-এর নিচে। এর পেছনে রয়েছে অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে অনুপ্রাণিত AI-পাওয়ারড কুলিং সিস্টেম—যেখানে আছে ভ্যাপার চেম্বার আর গ্রাফাইট লেয়ারের মতো প্রযুক্তি, যা তাপ ছড়িয়ে দেয় সমানভাবে, যাতে আপনার হাতে ফোন কখনও গরম লাগে না।
আর যখন আপনি গেম খেলতে শুরু করেন, তখন OPPO AI Frame Boosting একটানা মসৃণতা ধরে রাখে—ল্যাগ কমিয়ে আপনাকে সম্পূর্ণ মুহূর্তে ডুবিয়ে রাখে।
AI—নেপথ্যেও চালিয়ে যায় কাজ
সব সৃজনশীলতা ক্যামেরার সামনে হয় না। কিছু হয় মাথার ভেতর, যোগাযোগে, বা হঠাৎ আসা কোনো অনুপ্রেরণার মুহূর্তে। আর এখানেই Reno14 Pro-এর AI ফিচারগুলো নিঃশব্দে দায়িত্ব নেয় সেই ‘ঝামেলাগুলো’ সামলানোর।
নতুন যুক্ত হওয়া AI Mind Space হচ্ছে আপনার সবকিছু জমিয়ে রাখার কেন্দ্র—স্ক্রিনশট, লিংক, নোট, রিমাইন্ডার, যেটাই হোক না কেন। শুধু তিন আঙুলে একবার উপরের দিকে সোয়াইপ করুন, সাথে সাথে তা সেভ হয়ে যাবে। পরে একটি দ্রুত সার্চ করলেই আবার সব সামনে চলে আসবে—আর আলাদা করে অ্যাপ বা ফোল্ডারে খোঁজাখুঁজির দরকার নেই।
AI VoiceScribe আপনার কথা রিয়েল টাইম-এ পরিণত করে পরিষ্কার, পাঠযোগ্য টেক্সটে। আপনি যদি হাঁটতে হাঁটতে কোনো স্ক্রিপ্ট নিয়ে ভাবেন, কিংবা মিটিংয়ের মূল পয়েন্টগুলো ধরতে চান হাত ছাড়াই—তাহলেও এই ফিচার আপনার শব্দগুলোকে নিখুঁতভাবে টেক্সটে রূপান্তর করে নেয়, কোনো কিছু বাদ না দিয়েই।
AI Call Translator হলো আপনার পথে চলার সঙ্গী, একদম ব্যক্তিগত দোভাষী। ফোনে কথা বলার সময় রিয়েল-টাইম ভয়েস ট্রান্সলেশনের মাধ্যমে আপনি অনায়াসে জানতে পারেন হ্যানয়ের রাস্তার দিকনির্দেশ, বুক করতে পারেন বালিতে সার্ফিং লেসন, কিংবা আলাপ জমাতে পারেন নতুন কোনো বন্ধুর সঙ্গে—না থাকে ভাষার বাধা, না থাকে বিব্রতকর বিরতি।
আর যদি কথোপকথনের কিছু অংশ মিস হয়ে যায়? AI Call Summary তখনই আপনাকে উদ্ধার করে—মূল তথ্যগুলো আলাদা করে তুলে ধরে এবং মুহূর্তেই গোছানোভাবে সামনে এনে দেয়। পুরোটা আবার শুনতে হবে না—স্ক্রল করলেই হাইলাইটস দেখে সব ধরে ফেলা যায়।
সবশেষে, Reno14-এর Translate app অনুবাদকে শুধু সাধারণ বাক্য বা শব্দেই সীমাবদ্ধ রাখে না। আপনি চাইলে ক্যামেরা ব্যবহার করে সাইনবোর্ড কিংবা মেনু অনুবাদ করতে পারেন, লাইভ দুই-ভাষার কথোপকথনের জন্য ভয়েস বা স্প্লিট-স্ক্রিন মোডে যেতে পারেন, কিংবা মিটিং বা লেকচারের সময় চালু করতে পারেন ইন্টারপ্রিটেশন মোড—যার ট্রান্সক্রিপশন আপনি সেভ করে পরে আবার ফিরে দেখতে পারবেন।
টা এমন এক নিঃশব্দ সঙ্গী, যা ঠিক সঙ্গে থাকে সেইসব মানুষদের, যাদের জীবনের গতি টাইপিংয়ের আগেই ছুটে চলে।
দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি (অবিশ্বাস্য দ্রুত চার্জিং)
এতটা শক্তিশালী পারফরম্যান্স থাকা সত্ত্বেও ব্যাটারি লাইফে কোনো কম্প্রোমাইজ নেই। 6,000mAh ব্যাটারির জোরে টানা 2 দিন অনায়াসে চলে যায়—আপনি একদিকে এক্সপ্লোর করছেন, অন্যদিকে ক্যাপচার করছেন, আবার শেয়ারও করছেন—চার্জারের কথা মনেই থাকবে না।
আর যখন সত্যিই চার্জ দরকার হয়, তখন 80W SUPERVOOCTM চার্জ মাত্র 48 মিনিটেই ফোনকে 1% থেকে 100%-এ নিয়ে যায়। এমনকি মাত্র 10 মিনিটের টপ-আপেই আপনি ঘণ্টার পর ঘণ্টা কল, ভিডিও এডিট কিংবা অজানা শহরের পথে নেভিগেশন চালিয়ে যেতে পারবেন নির্ভারভাবে।
সৌন্দর্যের ভেতর লুকিয়ে থাকা শক্তি—একই সঙ্গে শিল্প আর আর্মার
প্রথম দেখাতেই Reno14 Pro মনে করিয়ে দেয় কীভাবে নান্দনিকতা আর প্রযুক্তি একসাথে হাঁটতে পারে। ইন্ডাস্ট্রি-ফার্স্ট OPPO Velvet Glass (Pearl White ভ্যারিয়েন্টে) এমন মসৃণ যে ছোঁয়ার পরেও তাতে আঙুলের ছাপ পড়ে না। 7.48mm-এর আল্ট্রা-স্লিম প্রোফাইল, এক টুকরো গ্লাস বডি—সব মিলে ফোনটি যেমন হালকা, তেমনই মজবুত।
আপনি পছন্দ করতে পারেন Forest Green—সবুজ পাতার ফাঁক দিয়ে রোদের আলো থেকে অনুপ্রাণিত একটি সজীব ছায়া, অথবা Pearl White—একটি শান্ত সমুদ্রতটের কোমল তরঙ্গের মতো শান্ত, স্নিগ্ধ।
অ্যাডভেঞ্চারের জন্য শুধু বডি নয়, স্ক্রিনটাও তৈরি। Reno14 Pro-এর 16.74cm AMOLED ডিসপ্লে 1 বিলিয়নেরও বেশি রঙ রেন্ডার করে, HDR10+ সার্টিফিকেশন, 1.5K রেজোলিউশন, অতিসূক্ষ্ম বেজেল এবং 93.4% screen-to-body ratio-র সঙ্গে। আপনি ছবি এডিট করুন, রিল দেখুন বা ফুটেজ রিভিউ করুন—সবকিছুই দেখায় অসাধারণ শার্প, প্রাণবন্ত আর বাস্তবঘনিষ্ঠ। 120Hz Smart Adaptive refresh rate একে রাখে মসৃণ, আর Splash Touch টেকনোলজি মানে আপনি স্ক্রিন ব্যবহার করতে পারবেন ভেজা আঙুল বা গ্লাভস পরেও—একেবারে আদর্শ বর্ষা, ট্রেক বা শীতকালীন ভ্রমণের জন্য।
aerospace-grade অ্যালুমিনিয়াম ফ্রেম সাধারণ প্লাস্টিকের তুলনায় 200%-এরও বেশি শক্তিশালী। ভেতরের Sponge Bionic Cushioning শক শোষণ করে নেয়—যেন হঠাৎ হাতছাড়া হলেও ফোনটা সুরক্ষিত থাকে।
এই ফোন প্রমাণ করে—দৃষ্টিনন্দন এবং টাফ, দুটো একসঙ্গে চাইলে কোনো ছাড় দিতে হয় না।
আমাদের রায়
যদি আপনি এমন একটি ফোন খুঁজে থাকেন, যা শুধু আপনার সঙ্গে তাল মেলায় না—বরং আপনাকে আরও দেখাতে, শুট করতে আর শেয়ার করতে অনুপ্রাণিত করে, তাহলে OPPO Reno14 5G-ই হতে পারে আপনার নতুন কো-ক্রিয়েটর।
আপনি যদি একজন ভবিষ্যৎ কনটেন্ট ক্রিয়েটর হন, ঘন ঘন ভ্রমণ করেন, বা কেবল চান প্রতিদিনের ছোট ছোট মুহূর্তগুলোও যেন ঠিক ততটাই অসাধারণ দেখায়, যতটা অসাধারণ সেগুলো মনে হয়—তাহলে এটাই সেই ফোন যা আপনার সব চাহিদা পূরণ করতে পারে।
ফ্ল্যাগশিপ-লেভেল ক্যামেরা সিস্টেম, ম্যাজিকের মতো কার্যকরী AI টুলস আর সাহসী, স্টাইলিশ ডিজাইন—সব মিলিয়ে Reno14 সিরিজ প্রমাণ করে দেয়, প্রিমিয়াম মানেই আর ধরাছোঁয়ার বাইরে নয়।
Reno14 5G-এর দাম শুরু ₹37,999 থেকে (8GB+256GB), ₹39,999-এ পাওয়া যাচ্ছে 12GB+256GB ভ্যারিয়েন্ট, আর সর্বোচ্চ ₹42,999-এ মিলছে 12GB+512GB ভার্সন। অন্যদিকে, Reno14 Pro 5G-এর দাম ₹49,999 (12GB+256GB) এবং ₹54,999 (12GB+512GB)। দুই মডেলই পাওয়া যাচ্ছে Amazon, Flipkart, OPPO Online Store ও নিকটবর্তী রিটেইল স্টোরে।
আগাম ক্রেতাদের জন্য থাকছে অসাধারণ সব অফার, যার মধ্যে রয়েছে No Cost EMI, নির্দিষ্ট কিছু ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড EMI-তে ক্যাশব্যাক, Zero Downpayment প্ল্যান, এক্সচেঞ্জ বোনাস, 3 মাসের Google One 2TB + Gemini Advanced ফ্রি (মূল্য ₹5,200), Jio ₹1199 প্ল্যানে 6 মাসের জন্য 10টি OTT অ্যাপে বিনামূল্যে সাবস্ক্রিপশন, 180 দিনের অতিরিক্ত ওয়ারেন্টি এবং ফ্রি স্ক্রিন ড্যামেজ প্রটেকশন।
এটা কেবল একটা ফোন নয়—এটা আপনার পরবর্তী গল্পের পাসপোর্ট। আর এখন, এটা পাওয়া আগের চেয়েও সহজ।
This is partnered article
বাংলা খবর/ খবর/প্রযুক্তি/
₹40,000-এর মধ্যে সেরা ক্যামেরা ফোন? এসে গেছে OPPO Reno14 5G!
Next Article
advertisement
Birbhum News: তিন বছরের প্রেম, বিয়ে করলেন নমিতা-সুস্মিতা! ভিড় উপচে পড়ল দুবরাজপুরের শিব মন্দিরে
তিন বছরের প্রেম, বিয়ে করলেন নমিতা-সুস্মিতা! ভিড় উপচে পড়ল দুবরাজপুরের শিব মন্দিরে
  • সামাজিক মাধ্যমে শুরু হয়েছিল পরিচয়, তারপর গড়ে ওঠে গভীর প্রেম। সেই সম্পর্কের বাঁধন এবার রূপ নিল বিবাহে। বীরভূমের দুবরাজপুরে শিব মন্দিরে সাতপাক ঘুরে নয়, সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে পরস্পরের জীবনসঙ্গী হলেন দুই মহিলা৷

VIEW MORE
advertisement
advertisement