#মেলবোর্ন: পাশাপাশি দুটো ম্যাচ। দুটো এরিনায়। একটা অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে। আরেকটা জিলেট সিরিজে। একটায় জিতলেন ব্যক্তি ফেডেরার। আরেকটায় টিম ইন্ডিয়া। তবে স্কোরলাইন ছাপিয়ে দুই ম্যাচই লিখে গেল বেলাশেষের রূপকথা।
কেউ গল্পের বই খুলে রূপকথা পড়ে শোনান নাতনিকে। কারও মাছ ধরার নেশা। কেউ একলা বেঞ্চের কোণে বসে ঝাপসা চশমা খুলে ডুব দেন সোনালী স্মৃতিতে। ইয়ারা নদীর ধারে এভাবেই মেলবোর্নের প্রতিটা বিকেলে লেখা হয় একেকটা বেলা শেষের গল্প। কেউ রিটায়ার্ড ব্যাঙ্ককর্মী। কেউ অধ্যাপক।
ব্যতিক্রম, দুই প্রবীণ। একজনের পদবী ফেডেরার। ইয়ারার পাড়েই অনেক বসন্তে রূপকথা লিখেছেন ফ্লিন্ডার্স পার্কে। কখনও মারাট সাফিনকে হারিয়ে। বা এপিক ম্যাচে সমকালীন জিনিয়াস নাদালকে হারিয়ে। নাম পাল্টে ফ্লিন্ডার্স পার্ক ইদানিং মেলবোর্ন পার্ক হয়েছে। ঠিক তার পাশেই এমসিজি। লর্ডসের পর বিশ্বের সবচেয়ে জাগ্রত ক্রিকেট তীর্থ। অতীতেও এই মাঠ মুগ্ধ হয়ে দেখেছে মাহি-ম্যাজিক। কখনও কার্লটন সিরিজে। কখনও অন্য কোনও অপাংতেয় ম্যাচে।
কিন্তু ইদানিং সময়টা আলাদা। দু’জনেই ৩৭ পেরিয়েছেন। মাঝবয়সের শরীরে গাঁটে গাঁটে ষড়যন্ত্র করে বয়স। দু-একটা ভুলচুকও হয়। ফেডেরারের অল্পের জন্য মিস হয় পাসিং শট। আবার স্টয়নিসের বলে ম্যাক্সওয়েলের হাতে জীবন পান ধোনি। মন্দজনে নিন্দে করে। কেউ বলে অচল। কেউ বাদ দিতে চায় বিশ্বকাপের ব্লুপ্রিন্ট থেকে। তবু চ্যাম্পিয়নের জিন জেতার ফন্দি আঁটা ছাড়েনি। ভোলেনি জিতে চলার অভ্যেস। তাই হাঁটুর বয়সী মার্কিন যুবা টেলর ফ্রিৎজকে হারাতে রাজা রজার ৩ সেটের বেশি সময় নেন না। আর মহেন্দ্র সিং ধোনিও মেলবোর্নে ভারতকে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। কখনও কার্তিককে নিয়ে। কখনও রেকর্ডবুকে সঙ্গী হিসেবে নাম লেখা হয় কেদারের। সিরিজ সেরার পুরস্কারে আলাদা মোহ নেই। শুধু থেকে যায় নিজের কাছে নিজেকে প্রমাণের খিদে। দেখ... এখনও পারি। এখনও যে অনেক রূপকথা বাকি। এখনও অনেক গল্প বলা বাকি এই বিরাট প্রজন্মকে ৷
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: MS Dhoni, Roger Federer, Yarra River