Corona Lockdown: রোজগার বন্ধ, খেলার মাঠের কোচরা এখন চা, সিঙ্গারা বিক্রেতা

Last Updated:

তাঁরা এখন আফসোসের সুরে বলছেন, এদেশে খেলাধুলাকে পেশা হিসেবে না নিলেই হত!

#লখনউ: খেলাধুলার পাট চুকেছে এক বছরেরও বেশি সময় হতে চলল। ময়দানে খেলাধুলা ফেরেনি। আন্তর্জাতিক স্তরে অবশ্য ক্রিকেট এবং ফুটবল ম্যাচ চলছে। সেখানে তারকাদের মেলা। শুরু হয়েছিল আইপিএল। কিন্তু দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পর বিসিসিআই কোটিপতি লিগও বন্ধ করতে বাধ্য হয়। এসব তো গেল বড় আসরের কথা! ছোট মাঠের খবর কী! ক্রিকেট, ফুটবল ছাড়াও বাকি অনেক খেলার অস্তিত্ব রয়েছে এদেশে। কিন্তু সেইসব খেলার সঙ্গে যুক্ত কোচ এবং খেলোয়াড়দের আর্থিক ও মানসিক অবস্থা এখন বেশ খারাপ। ২০২০-র মার্চ থেকে লকডাউন। সেই তখন থেকে অনুশীলন বন্ধ। ফলে খেলোয়াড়দের যেমন ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত, তেমনই ছোট মাঠের প্রশিক্ষকদের দীর্ঘদিন ধরে রোজগার বন্ধ। ফলে বাধ্য হয়েই অনেকে অন্য কোনও পেশা বেছে নিয়েছেন। ছোট মাঠের কোচরা এখন আফসোসের সুরে বলছেন, খেলাধুলাকে পেশা হিসেবে না নিলেই হত! এখানে তো চরম অনিশ্চয়তা।
সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের বেশ কয়েকজন কোচের দুর্দশার খবর উঠে এসেছে জাতীয় সংবাদ মাধ্যমে। লখনউয়ের অভিজ্ঞ ফেন্সার সঞ্জীব কুমার গুপ্তা। তিনি এখন বাধ্য হয়ে কাঠের মিস্ত্রী হিসেবে কাজ করছেন। রোজা আয়  ৩০০ টাকার মতো। কোনওভাবে সংসার খরচ চালাচ্ছেন। পাঁচবার জাতীয় স্তরে পদক জিতেছেন তিনি। ফেন্সিংয়ে ডিপ্লোমা রয়েছে তাঁর। ভারতীয় সেনার একাডেমিতে বহু বছর ধরে কোচিং করাচ্ছেন তিনি। কিন্তু লকডাউনে খেলা বন্ধ। অনুশীলন হচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে বেঁচে থাকার জন্য অন্য পেশা বেছে নেওয়া ছাড়া উপায় ছিল না তাঁর কাছে। খেলা থেকে দূরে থাকতে মন চায় না। তবে সঞ্জীব কুমার গুপ্ত বলছেন, ''এর বাইরে কিছু করার ছিল না। কতদিন আর খালি হাতে বসে থাকা যায়! আমার ১২ বছরের মেয়ে ফেন্সিংয়ে জাতীয় স্তরে সোনা জিতেছে। পোল্যান্ডে টুর্নামেন্ট খেলতে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু ওকে পাঠাতে পারলাম না। রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সাহায্য চেয়েছিলাম। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। এমনকী স্কুলের মাইনে দিতে পারিনি বলে ক্লাস ফাইভ-এর রেজাল্ট হাতে পায়নি ও। এখন তো স্কুলে যাওয়াও বন্ধ করে দিয়েছে।''
advertisement
তীরন্দাজির কোচ প্রতাপ সিং য়ের অবস্থাও একই। দারিদ্র্যের জ্বালায় তিনি এখন সিঙ্গারা বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। গোটা জীবন তরুণ তীরন্দাজদের তৈরিতে মন দিয়েছেন। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে তাঁর কাছে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত তীরন্দাজরা দুর্দান্ত ফল করেছেন। এমন একজন কোচ এখন কিনা সিঙ্গারা বিক্রি করছেন! আক্ষেপের সুরে তিনি বললেন, এখন মনে হয় খেলাধুলাকে পেশা হিসাবে না বেছে নিলেই হত! কলকাতা এবং ভারতীয় সেনার একাডেমিতে তীরন্দাজির কোচ হিসেবে ১৮ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। জাতীয় স্তরে উত্তরপ্রদেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন আট বছর। তারই কি না এখন অবস্থা! তাঁর দুই ছেলেমেয়ে টাকার অভাবে স্কুল ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। বক্সার মহম্মদ নাসিম জাতীয় স্তরে বক্সিং চাম্পিয়ন। ছোটদের প্রশিক্ষণ দিতেন। লকডাউনের পর প্রশিক্ষণ বন্ধ। আয় নেই। তাই বাধ্য হয়ে এখন চা বিক্রি করছেন তিনি। ৩২ বছরের কেরিয়ার থমকে গিয়েছে করোনার জন্য।
advertisement
Click here to add News18 as your preferred news source on Google.
লেটেস্ট খেলার খবর (Sports News in Bengali), ক্রিকেটের খবর (Cricket News in Bangla), আইপিএলের খবর (IPL News)পাবেন নিউজ 18 বাংলা-তে ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর অনলাইনে নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভি-তে ৷ এর পাশাপাশি ডাউনলোড করুন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ সব খবরের আপডেট পেতে ! News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
view comments
বাংলা খবর/ খবর/খেলা/
Corona Lockdown: রোজগার বন্ধ, খেলার মাঠের কোচরা এখন চা, সিঙ্গারা বিক্রেতা
Next Article
advertisement
MGNREGA: মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! কোটি কোটি কৃষক শ্রমিকদের স্বার্থে আঘাত, কেন্দ্রের নয়া ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
  • মনরেগা প্রকল্পের নাম বদল নিয়ে এবার মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সরব সোনিয়া গান্ধি

  • কংগ্রেসে নেত্রীর দাবি, মনরেগা প্রকল্পকে কার্যত ধ্বংস করে দিল বিজেপি

  • প্রকল্পকে বদলের আইনকে ‘কালো আইন (ব্ল্যাক ল)’ বলে উল্লেখ্য সোনিয়ার৷

VIEW MORE
advertisement
advertisement