Karnam Malleswari: অলিম্পিকে দেশের প্রথম মহিলা পদকজয়ী এবার বিশ্ববিদ্য়ালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর
- Published by:Suman Majumder
- news18 bangla
Last Updated:
২০০০ সালে সিডনি অলিম্পিকে ২৫ বছর বয়সী কর্নম ২৪০ কেজি ওজন তুলে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন।
#নয়াদিল্লি: তাঁকে বলা হয় আয়রন লেডি। ইস্পাতের মতোই কঠিন তাঁর মনোবল। কর্নম মালেশ্বরীর অভূতপূর্ব সাফল্যের কথা কে না জানে! অলিম্পিকে প্রথম ভারতীয় মহিলা হিসাবে পদক জিতেছিলেন তিনি। এত বছর পর শেষ পর্যন্ত প্রাপ্য সম্মান পেলেন তিনি। এবার কর্নম দিল্লি স্পোর্টস বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর হিসাবে দায়িত্ব সামলাবেন। হরিয়ানার যমুনানগরের বাসিন্দা এই ভারোত্তোলক ২০০ সালে অলিম্পিকে ব্রোঞ্জ পদক জিতেছিলেন।
ভারোত্তোলনে পদকজয়ী প্রথম ভারতীয় মহিলা কর্নম। ২০০০ সালে সিডনি অলিম্পিকে ২৫ বছর বয়সী কর্নম ২৪০ কেজি ওজন তুলে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন। অর্জুন এবং খেলরত্ন পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছেন কর্নম। বহু বছর ধরেই তিনি ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ায় উচ্চপদে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। অলিম্পিকে স্ন্যাচ ক্যাটেগরিতে ১১ কেজি ও ক্লিন অ্যান্ড জার্ক-এ ১৩০ কেজি ওজন তুলেছিলেন। এর আগে কোনও ভারতীয় মহিলা ভারোত্তোলক যা পারেননি। অলিম্পিকে তাঁর এমন পারফরম্যান্সের পরই কর্নমকে দ্য আয়রন লেডি বলা হয়।
advertisement
অন্ধ্রপ্রদেশের একটি ছোট গ্রাম বোসবানিপোটা থেকে উঠে এসেছিলেন। ১২ বছর বয়স থেকে তিনি ভারোত্তোলন শুরু করেন। তাঁর বাবা কর্নম মনোহর একজন ফুটবলার ছিলেন। তিনিই মেয়েকে ক্রীড়াক্ষেত্রে আসার জন্য উত্সাহ জুগিয়েছিলেন। কর্নমের চার বোনও ভারোত্তোলক। তবে তাঁরা কর্নমের মতো সাফল্য পাননি। একটা সময় স্বাস্থ্য় ভাল ছিল না কর্নমের। তাই চিকিত্সকরা তাঁকে ভারোত্তোলন থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই সময় কর্নমের মা মেয়েকে উত্সাহ জোগান। ১৯৯০ সালে কর্নমের প্রতিভা বুঝতে পারেন ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়ন লিয়োনিড তারনেঙ্কো। তিনিই কর্নমকে বেঙ্গালুরুর স্পোর্টস ইন্সটিটিউটে পাঠিয়ে দেন। সেই বছরই কর্নম ভারোত্তোলনে জুনিয়র বিভাগে জাতীয় রেকর্ড ভেঙে দেন। তার পর তিনি সিনিয়র স্তরেও একের পর এক জাতীয় রেকর্ড ভেঙেছেন। জাতীয় স্তরে এমন সাফল্যের পর আর তাঁকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। জাতীয় স্তর পেরিয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চেও একের পর এক সাফল্য পান কর্নম মালেশ্বরী।
advertisement
Location :
First Published :
June 23, 2021 4:57 PM IST