Para-shooter Dilraj Kaur: ২৮টি সোনা, ৮টি রূপো, তিনটি ব্রোঞ্জ পদক ঘরে, এমন ক্রীড়াবিদ চিপস বেচছেন বাজারে!

Last Updated:

তাও নিজের কোনও দোকান নেই। অস্থায়ী এক জায়গায় বসে চিপস, স্ন্যাকস বিক্রি করছেন তিনি।

#দেহরাদুন: বাজারে তাংর পরিচয়, চিপস বিক্রেতা। এর বেশি তাঁর ব্যাপারে কেউ জানতেও চায়নি কখনও। হন্তদন্ত হয়ে মানুষ বাজারে আসে। তার পর তাঁর থেকে কয়েক প্যাকেট চিপস কিনে বাড়ি ফিরে যায়। দিলরাজ কউর নিজে যেচে তো আর কাউকে পরিচয় দিতে পারেন না! তাই তাঁর পরিচয় বছরের পর বছর ধরে অজানাই থেকে যায়। দিলরাজ কউর কে, দেশের জন্য তিনি কী করেছেন, এসব তথ্য তুলে আনে সংবাদমাধ্যম। সাংবাদিকের তথ্য-তালাশের হুজুগ আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়, এই দেশে অযোগ্যের জন্য সিংহাসন আছে। কিন্তু যোগ্য মানুষের সমাদর নেই। দিলরাজ কউরের বাড়িতে শোভা পাচ্ছে ২৮টি সোনা, ৮টি রূপো ও তিনটি ব্রোঞ্জ পদক। আর তিনি কি না সংসার চালানোর জন্য বাজারে চিপস বিক্রি করছেন! তাও নিজের কোনও দোকান নেই। অস্থায়ী এক জায়গায় বসে চিপস, স্ন্যাকস বিক্রি করছেন তিনি।
দিলরাজ কউরের বয়স এখন ৩৪। যে সময় তিনি শুটিংয়ের জগতে পা রেখেছিলেন তখন এদেশে মেয়েদের এই খেলায় দেখা যেত না। ২০০৪-এ শুটিং শুরু করেছিলেন তিনি। প্যারা-শুটার হিসাবে। দেশের প্রথম মহিলা প্যারা-শুটার তিনি। তাঁর এখন এমন করুণ অবস্থা। ২০১৯ থেকে তিনি মহাবিপদে। বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে। এর পর ভাইও মারা যান। করোনা লকডাউনের জন্য চূড়ান্ত আর্থিক সঙ্কটের মধ্যে পড়ে তাঁর পরিবার। জাতীয় স্তরে ৩০টি পদকজয়ী প্যারা-শুটার শেষ পর্যন্ত মায়ের সঙ্গে বাজারে চিপল বিক্রি করতে বাধ্য হন। এদিন চোখের জন মুছে দিলরাজ বলেন, ''প্রথমে বাড়ির সামনে গোবিন্দগড়ে বিক্রি করতাম। কিন্তু সেখানে লোকজনের আনাগোনা তেমন ছিল না। তাই মা বলল, আমরা দেহরাদুনে গান্ধী পার্কের সামনে চিপস বসে বিক্রি করব। বাবার ডায়ালিসিসের জন্য অনেকগুলো টাকা খরচ হয়েছিল। এর পর ভাই ছাদ থেকে পড়ে গেল। মাথায় গুরুতর চোট পেল। ওর চিকিত্সায় আমরা কোনও ত্রুটি রাখিনি। তবুও ওকে বাঁচাতে পারলাম না। ওর চিকিত্সায় আমাদের কম করে এক কোটি টাকা খরচ হয়েছে। শেষ পর্যন্ত চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে ও মারা গেল। এখন আর আমাদের হাতে কোনও টাকা-পয়সা নেই। আমরা ধার-দেনায় ডুবে আছি।''
advertisement
advertisement
advertisement
ক্রীড়াক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য এদেশে বহু অ্যাথলিট চাকরি পেয়েছেন। কিন্তু দিলরাজের একটা চাকরি জোটেনি। আর এখানেই তাঁর ক্ষোভ। দিলরাজ বলছিলেন, ''রাজস্থান, হরিয়ানায় অ্যাথলিটরা চাকরি পায়। আমার গোটা শুটিং কেরিয়ার সাফল্যে ভরা। অনেক পদক জিতেছি। আমার কোচিং সার্টিফিকেট রয়েছে। আমি আইন নিয়ে পড়াশোনা করেছি। এর পরও কি আমি একটা চাকরি পাওয়ার যোগ্য নই! আমার সরকারি কোনও সাহায্য চাই না। নিজের যোগ্যতায় একটা চাকরি হয়তো আমি পেতে পারতাম।''
view comments
বাংলা খবর/ খবর/খেলা/
Para-shooter Dilraj Kaur: ২৮টি সোনা, ৮টি রূপো, তিনটি ব্রোঞ্জ পদক ঘরে, এমন ক্রীড়াবিদ চিপস বেচছেন বাজারে!
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement