Pranati Nayak in Tokyo Olympics 2020: অলিম্পিকে বাংলার প্রত্যন্ত গ্রামের মেয়ে, প্রণতির স্বপ্নপূরণের অপেক্ষায় বারাসাত
- Published by:Siddhartha Sarkar
- news18 bangla
Last Updated:
Indian gymnast Pranati Nayak will be in action at the Tokyo Olympics: বাংলার প্রত্যন্ত গ্রামের মেয়ে প্রণতি নায়েক এবার টোকিও অলিম্পিকের ময়দানে। ভারতের একমাত্র জিমন্যাস্ট হিসেবে এবারের অলিম্পিকে সুযোগ।
রাজর্ষি রায় ও পার্থ মুখোপাধ্যায়: মুড়ি খেয়ে প্র্যাকটিসে নামতেন। অভাব ছিল নিত্যসঙ্গী। সাফল্যের পিছনে ছিল তীব্র লড়াই। বাংলার প্রত্যন্ত গ্রামের মেয়ে প্রণতি নায়েক এবার টোকিও অলিম্পিকের ময়দানে। ভারতের একমাত্র জিমন্যাস্ট হিসেবে টোকিও অলিম্পিকে সুযোগ। গর্বিত বারাসাতের ‘সমন্বয়’। অপেক্ষায় কোচ রাখি দেবনাথ।
ছোট্ট মেয়েটা দিনভর লাফিয়ে বেড়াত। বড় হয়ে সেই মেয়েটাই এবার অলিম্পিকে। পিংলার প্রণতি নায়েক। জিমনাস্টিক্সে ভারতের হয়ে সোনা জেতার স্বপ্ন বঙ্গ তনয়ার।
শুরুটা অবশ্য মসৃণ ছিল না। বাস চালকের বাবার অভাবের সংসার। সব বাধা-বিপত্তি কাটিয়ে এগিয়ে গিয়েছেন প্রণতি। করোনা আবহে অনুশীলনের জায়গাও পাচ্ছিলেন না। বন্ধ সাই। চারদিকের কড় বিধি-নিষেধে ঘরের বাইরে বেরনোর উপায় নেই। অথচ অতিমারির সময়ে জিমন্যাস্টদের শরীর ঠিক রাখা এক কঠিন চ্যালেঞ্জ। জিমন্যাস্টিকের ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জটা আরও কঠিন। সেই সময়ে পাশে এসে দাঁড়ান রাখি দেবনাথ। জাতীয় জিমন্যাস্ট, এখন রেলের কোচ।
advertisement
advertisement
বারাসাত শহরে সমন্বয়-এর মাঠে তাঁর কোচিং সেন্টার। প্রণতিকে নিজের কাছে রেখে, অনুশীলনের সুযোগ করে দেন রাখি।
প্রণতির সঙ্গেই অনুশীলন করতেন প্রীতি, সুমনরা। প্রণতির কাছ থেকেই কঠিন পরিশ্রমের মন্ত্র শেখা। সমন্নয় কর্তারাও চাইছেন, আরও অনেক প্রণতি তৈরি হোক তাঁদের ঘরের মাঠে। গতবছর লকডাউনের সময় থেকে টোকিও যাওয়ার আগে পর্যন্ত রাখির তত্ত্বাবধানেই ছিলেন প্রণতি। বহু ঝড়ঝাপটা পেরিয়ে স্বপ্নের কাছাকাছি বাংলার মেয়ে। ইতিহাস তৈরির অপেক্ষায় বারাসাত।
advertisement
বৃহস্পতিবার অলিম্পিকের উদ্দেশে জাপান রওনা দেন প্রণতি। পিংলার কড়কাই (চক কৃষ্ণদাসপুর) গ্রামের বাড়িতে বসে বাবা শ্রীমন্ত নায়েক কিংবা ছোটোবেলার প্রশিক্ষক চন্দন কুমার পাঁজা যখন প্রণতি'র লড়াইয়ের সেই দিনগুলোর কথা তুলে ধরলেন, এক নিমিষে মনে হতে বাধ্য- "সত্যিই এক রূপকথার যাত্রা। যেকোনও দিন যেকোনও সময় যে যাত্রা থেমে যেতে পারতো"! চোখে জল নিয়ে, পিংলার তথা জেলার একসময়ের সুপরিচিত জিমন্যাস্টিক প্রশিক্ষক (অর্থের অভাবে, আজ শুধুই এক বেসরকারি সংস্থার কর্মী) চন্দন কুমার পাঁজা বললেন, "প্রণতি শুধু ১৩০ কোটি ভারতবাসীর স্বপ্ন পূরণের অঙ্গীকার নিয়েই অলিম্পিক যাত্রা করেনি; ওর প্রতিটা লড়াই, প্রতিটা স্টেপের সঙ্গে, প্রত্যন্ত বাংলা তথা জেলার না খেতে পাওয়া, অর্থের অভাবে স্বপ্ন ধংস হয়ে যাওয়া প্রতিটা মেয়ের চোখের জলও জড়িয়ে আছে। তাই ওর জয় শুধু বিস্ময় প্রতিভা প্রণতির জয় নয়, হবে লড়াইয়ের অপর নাম প্রণতির জয়!"
Location :
First Published :
July 24, 2021 10:48 AM IST