#সেঞ্চুরিয়ন: তার প্রতিভা নিয়ে সন্দেহ ছিল না। জীবনে প্রথমবার টেস্ট ক্রিকেট খেলতে নেমেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে। তাও আবার বক্সিং ডে। শতরান করে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন নতুন নায়কের আবির্ভাব ঘটে গিয়েছে। টেকনিক, স্টাইল একেবারে নির্ভুল। সমস্যা ছিল মানসিকতায়। বড় ইনিংস খেলার মানসিক শক্তি যথেষ্ট ছিল না। মাঝের সময়টা বাদ পড়তে হয়।
ভেবেছিলেন টেস্ট ক্রিকেট বোধহয় তার জন্য শেষ। কিন্তু আশা ছাড়েননি। লড়াই ছাড়েননি। ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত খেলে গিয়েছেন একটা সময়। আইপিএলে পঞ্জাবের অধিনায়ক হিসেবে প্রচুর রান করেছেন। সুনীল গাভাসকার থেকে সচিন তেন্ডুলকর পর্যন্ত তার খেলায় মুগ্ধ। কিভাবে নিজেকে বদলে ফেললেন কে এল রাহুল?
আরও পড়ুন - SRK on Dhoni: ধোনিকে কেকেআরে নেওয়ার জন্য পাজামা বিক্রি করতেও প্রস্তুত ছিলেন শাহরুখ !
দেখে মনে হচ্ছে নিজের জীবনের সেরা ফর্মে আছেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ভুল শট না খেললে আরও একটা বড় রান নিশ্চিত ছিল। রাহুল বলছেন টেস্ট ক্রিকেটে সফল হওয়ার মন্ত্র খুব সহজ। অফ স্টাম্পের বাইরের বল প্রথম এক ঘন্টা ছেড়ে যাও। লোভে পরে কভার ড্রাইভ করতে গেলেই বিপদ হতে পারে। নতুন বল বেশি মুভ করে। তাই সতর্ক থাকতে হয়।
ঘন্টাখানেক পর পিচের চরিত্র বুঝে শট মারার ক্ষেত্রে সমস্যা অনেক কমে যায়। নিজের মনকে শান্ত থাকতে শিখিয়েছেন। মনের ওপর নিয়ন্ত্রণ এনেছেন। টেস্ট ক্রিকেট যে ধৈর্যের পরীক্ষা সেটা বুঝতে শিখেছেন। টি টোয়েন্টিতে তিনি ধুরন্ধর ব্যাটসম্যান হলেও টেস্ট ক্রিকেটে ধৈর্য এবং ইনিংস তৈরি করা আসল পরীক্ষা জানেন কর্নাটকের ব্যাটসম্যান। রাহুল মনে করছেন এই ফর্মুলা মেনেই সাফল্য এসেছে।
পাশাপাশি কোচ হিসেবে রাহুল দ্রাবিড় প্রচুর সাহায্য করছেন। টেকনিক্যাল সাহায্যের পাশাপাশি টেস্ট ক্রিকেটের ব্যাটিং কেমন হওয়া উচিত, সেটা বোঝানোর ক্ষেত্রে রাহুল দ্রাবিড়ের থেকে ভাল কেই বা হতে পারে? পাশাপাশি রাহুল জানিয়েছেন সহ অধিনায়ক হিসেবে নিজের দায়িত্ব উপভোগ করছেন। অধিনায়ক বিরাট কোহলির সঙ্গে প্রতিনিয়ত আলোচনা করে যেমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, তেমনই শামি, বুমরাহদের সাফল্য দেখে আনন্দিত হচ্ছেন।
কে এল রাহুল মনে করেন ভারতীয় দলের অনুশীলন চলার সময় শামি, বুমরাহদের বিরুদ্ধে ব্যাট করা রীতিমতো কঠিন কাজ। নিজের দলের ব্যাটসম্যান বলে তাদের ছাড় দেওয়া হয় না। বডিলাইন, এমনকি বাউন্সার পর্যন্ত সামলাতে হয়। তরুণ মহম্মদ সিরাজ যেভাবে দ্রুত উন্নতি করছেন সেটাও আনন্দ দেয় রাহুলকে। আর অভিজ্ঞ অশ্বিন দলের সম্পদ।
তিন দিনের ভেতর দ্বিতীয় টেস্টে নামতে হবে ওয়ান্ডারার্সে। হাতে সময় কম। তাই একদিন বিশ্রাম নিয়ে আবার প্রস্তুতিতে নেমে পড়তে হবে টিম ইন্ডিয়াকে। ভারত প্রথম ম্যাচ জিতলেও দক্ষিণ আফ্রিকা লড়াই করেছেন মনে করেন রাহুল। দ্বিতীয় টেস্টে তারা সমতা ফেরাতে মরিয়া হবে।
পাশাপাশি প্রথম ভারতীয় দল এবং এশিয়ান দল হিসেবে এই মাঠে টেস্ট জয় অনন্য নজির স্থাপন করে ফেলল টিম ইন্ডিয়া। সেই ম্যাচের সেরার পুরস্কার কে এল রাহুলের হাতে। উচ্ছ্বাসে ভেসে যেতে রাজি নন। লক্ষ্য ব্যাট হাতে ধারাবাহিকতা বজায় রাখা।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।