#কলকাতা: কম্বোডিয়া এবং আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে জিতে প্রথম দুটো ম্যাচে একটা সুবিধাজনক জায়গায় পৌঁছে গিয়েছিল ভারতীয় ফুটবল দল। আজ হংকং ম্যাচে খেলতে নামার আগে এশিয়ান কাপে কোয়ালিফাই করে গিয়েছিল ভারত। সুখবরটা পেয়েই আজ নেমেছিল ব্লু টাইগাররা। কিন্তু তাই বলে এই ম্যাচকে হালকা হিসেবে নেয়নি ভারত।
কোচ ইগর শক্তিশালী দল নামিয়েছিলেন। সন্দেশ, আনোয়ার, সাহাল, সুনীল ছেত্রী সবাই শুরু করেছিলেন। ম্যাচের এক মিনিটের মধ্যে এগিয়ে যায় ভারত। কর্নার থেকে আশিক একটি বল মারেন। হংকং ডিফেন্স থেকে বল ফিরে এলে আনোয়ার জোরালো শটে গোল করেন। প্রথমেই লিড নিয়ে আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায় ভারতের। হংকং চেষ্টা করলেও ভারতের দাপট ছিল বেশি।
মিডফিল্ড অঞ্চলে সুরেশ এবং জিকসন বুদ্ধিদীপ্ত ফুটবল খেলেন। এদিন প্রথম থেকে সাহল দলে থাকায় ভারতের ব্যালেন্স বেড়ে গিয়েছিল আরো। বিরতি হওয়ার একটু আগে ব্যবধান বাড়ায় ভারত। জিকসনের ফ্রিকিক থেকে সুনীল দেখার মত গোল করলেন। ডান পায়ে বল ধরে বা পায়ে ঠান্ডা মাথায় ফিনিশ।
এই নিয়ে টুর্ণামেন্টে চতুর্থ গোল হয়ে গেল সুনীলের। হাঙ্গেরির কিংবদন্তি পুসকাসকে স্পর্শ করে ফেললেন আন্তর্জাতিক ফুটবলে ৮৪ গোল করে। সুনীল বুঝিয়ে চলেছেন তিনি এখনও অপরিহার্য ভারতীয় দলে। তবে এদিন সুনীল ছেত্রী সহজ গোল মিস না করলে ব্যবধান আরো বাড়তে পারত।
৬০ মিনিটে লিস্টন এবং মনবীরকে নিয়ে আসে ভারত। প্রবল বেগে বৃষ্টি হওয়ায় বল করে দ্রুত বেরিয়ে যাচ্ছিল। দ্বিতীয়ার্ধে হংকং অনেক বেশি আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে। গোল পরিশোধ করতে মরিয়া হয়ে ওঠে তারা। কিন্তু ভারতীয় ডিফেন্স ভুল না করায় গোল করতে পারেনি তারা।
প্রিয় দলের জয় জেতের এদিন যুবভারতী স্টেডিয়ামে উপস্থিত ছিলেন প্রায় ৪৫০০০ সমর্থক। ভারতীয় দল কথা দিয়েছিল জয়ের হ্যাটট্রিকের চেষ্টা করবে তারা। সেটাই করলো সুনীল, গ্লেন, আনোয়ার, আকাশ, রোশন। কলকাতা আবার বুঝিয়ে দিল কেন এই শহর ফুটবলের মক্কা। ভারতীয় ফুটবল দলের প্রতিটি মুভমেন্ট, প্রতিটি গোলের সুযোগ তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করলেন দর্শকরা।
ইন্ডিয়া ইন্ডিয়া চিৎকার আকাশ বাতাস ভরিয়ে দিল। তবে আলাদা করে বলতে হবে কেরলের আশিকের কথা। এই ফুটবলারটি তিনটি ম্যাচে অসাধারণ ফুটবল উপহার দিলেন। ৮৪ মিনিটে আবার ব্যবধান বাড়ায় ভারত। ব্র্যান্ডন ফার্নান্দেস দুরন্ত মাইনাস করলে বল জালে পাঠাতে ভুল করেননি মনবীর সিং।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।