ভারত ৩২৯ ইংল্যান্ড ৩২২ ভারত জয়ী ৭ রানে
#পুনে: ভুবনেশ্বর, শার্দুলের হাতে কার্যত আত্মসমর্পণ করল ইংল্যান্ড। মহান অনিশ্চয়তার খেলা ক্রিকেটে এদিন ইংল্যান্ডের ইনিংস চলাকালীন এমনই মনে হচ্ছিল। কিন্তু এত রোমাঞ্চ অপেক্ষা করে আছে বোঝা যায়নি। তৃতীয় একদিনের ম্যাচে ভারত যখন প্রথমে ব্যাট করে ৩২৯ রান তোলে, সন্দেহ ছিল এই রান বিরাট কোহলিরা শেষ পর্যন্ত ধরে রাখতে পারবে কিনা। বেন স্টোকস এবং বেয়ারস্টোর ধ্বংসলীলা মনে করলে এই ক্ষমতা যে রয়েছে ইংল্যান্ডের এমন আশঙ্কা অমূলক নয়।এদিন স্যাম কারান ভারতের দুর্দশা হয়ে দেখা দিলেন।শেষ ওভারে নটরাজনের হাতে তুলে দিলেন বিরাট কোহলি। ৬ বলে ১৪ প্রয়োজন ছিল ইংল্যান্ডের। ভারতের প্রয়োজন ছিল দুটি উইকেট। প্রথম বলেই দুই নিতে গিয়ে কারান পা পিছলে পড়ে গেলেন। উল্টোদিকে রান আউট' হলেন উড। নটরাজন চাপের মুখে দুর্দান্ত বল করলেন। শেষ পর্যন্ত ভারত জিতল ৭ রানে। স্যাম কারান অপরাজিত রয়ে গেলেন ৯৬ রানে।
ভুবনেশ্বর কুমারের প্রথম ওভারেই তিনটে বাউন্ডারি মেরে ভারতীয় সমর্থকদের টেনশন বাড়িয়ে দিয়েছিলেন জেসন রয়। কিন্তু এই ওভারেই ভুবির দুর্দান্ত ইন সুইং বলে বোল্ড হলেন রয়। জনি বেয়ারস্টোকে ১ রানে এলবি করলেন সেই ভুবনেশ্বর। এরপর চিন্তা ছিল বেন স্টোকসকে নিয়ে। ইংলিশ অলরাউন্ডার এদিন ৩৫ করে ফিরে গেলেন নটরাজনের বলে ধাওয়ানের হাতে ক্যাচ দিয়ে। কিন্তু ১৬ রানের মাথায় তাঁর ক্যাচ মিস করেন হার্দিক। পুরো ভারতীয় দলের মাথায় হাত পড়ে গিয়েছিল। যাই হোক, ভারতের ভাগ্য ভাল, এদিন বেশি ভোগাননি বেন।
বাটলার ক্রমশ ছন্দ খুঁজে পাচ্ছিলেন। কিন্তু ব্যক্তিগত ১৫ রান করে শার্দুলের বলে এলবি হন। লিভিংস্টোন ৩৬ এবং মালান ৫০ ক্রমশ উইকেটে জমে যাচ্ছিলেন। দু'জনকেই ফিরিয়ে দিলেন শার্দুল। খুব অল্প সময়ের ভেতর শার্দুল নিজেকে প্রমাণ করেছেন গুরুত্বপূর্ণ সময় পার্টনারশিপ ভাঙার ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ বোলার হিসেবে। মইন আলি ক্রমশ ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছিলেন। ২৯ রানের মাথায় ভূবির বলে পান্ডিয়ার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন।
তবে এদিন ভারতীয় বোলারদের মধ্যে কোনও স্পিনার ছিল না। প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ প্রচুর রান দিলেন। ধারাবাহিকতার অভাব দেখা গেল নটরাজনের লাইন লেন্থ নিয়েও। স্যাম কারান এবং রশিদ লড়াই ছাড়েননি। হিসেব কষে এগোচ্ছিলেন। পঞ্চাশ রানের পার্টনারশিপ করে ফেললেন দুজনে। হার্দিক এদিন স্যাম কারানের ক্যাচও মিস করেন। এই ইংল্যান্ড দলের ব্যাটিং গভীরতা প্রচন্ড শক্তিশালী। তাই ভারতের কাজটা কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে উঠছিল। রশিদ ১৮ করে ফিরে গেলেন শার্দুল ঠাকুরের বলে। কভারে দুরন্ত ক্যাচ নিলেন বিরাট কোহলি। বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে এক হাতে ধরলেন বল।
কিন্তু লড়াকু স্যাম মনোবল হারাননি। শেষ ৫ ওভারে ৪৮ রান প্রয়োজন ছিল ইংল্যান্ডের। একার হাতে ম্যাচ ইংল্যান্ডের দিকে টানতে শুরু করলেন কারান। অসম্ভব লড়াইয়ে স্বপ্ন দেখাতে শুরু করলেন ইংল্যান্ডকে। ডাগ আউটে বসে থাকা রবি শাস্ত্রির মুখে তখন বিরক্তির ছাপ স্পষ্ট। ৪৭ তম ওভারে শার্দুল ঠাকুরের বলে ১৮ রান নিলেন স্যাম কারান। চাপের মুখে ভুবনেশ্বর কুমার পর্যন্ত অতিরিক্ত রান দিতে শুরু করলেন।কিন্তু সব ভাল যার শেষ ভাল। টেস্ট এবং টি টোয়েন্টির পর একদিনের সিরিজও এল ভারতের দখলে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: India vs england, ODI Series