#দোহা: এবারের বিশ্বকাপে উরুগুয়ের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে সমানতালে লড়েছিল দক্ষিণ কোরিয়া। অন্যদিকে পর্তুগালের সঙ্গে ঘানা দেখিয়েছে কতোটা ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে তারা। শেষ বাঁশির আগ পর্যন্ত ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোদের বুকে কাঁপন ধরিয়েছে আফ্রিকান দলটি। ফলে কোরিয়ার বিপক্ষেও তারা ছেড়ে কথা বলবে না, জানাই ছিল । উরুগুয়ের বিপক্ষে গোলশূণ্য ড্র করা সন হিউং-মিনরাও ছিলেন মরণ কামড় দেওয়ার প্রচেষ্টায়।
আন্দ্রে আয়েউ, ওসমান বুকারিদের দিকে আরও একবার চেয়েছিলেন ঘানা ভক্তরা। আতলেতিক বিলবাওয়ের ইনাকি উইলিয়ামস। মাঝমাঠ ও রক্ষণেও আছেন থমাস পার্টে, ড্যানিয়েল আমার্টের মতো খেলোয়াড়রা। ম্যাচ জিততে হলে গোল করতে হত কোরিয়াকে। সন, জায় সুং লিদের ফিনিশিংটা করতে হবে ঠিক মতো। ম্যাচের প্রথম কুড়ি মিনিট দাপট ছিল কোরিয়ার।
কিন্তু তারপর ২৪ গোল করে ঘানাকে এগিয়ে দিলেন সালিসু। মিনিট দশ এরপর আবার গোল ঘানার। এবার গোল করলেন কুদুস। দুটি ক্ষেত্রেই এসিস্ট ছিল জর্ডান আয়ুর। দক্ষিণ কোরিয়া মাটিতে বল রেখে প্রচুর পাস খেললেও, ঘানার শারীরিক শক্তি এবং একের বিরুদ্ধে এক পরিস্থিতিতে মার খেয়ে যাচ্ছিল। অটো আদোর ছেলেরা দুটি গোলে এগিয়ে থাকার কারণে মানসিকভাবে অনেক স্বস্তিতে ছিল।
তবে দ্বিতীয়ার্ধে খেলা ঘুরিয়ে দিল দক্ষিণ কোরিয়া। দুমিনিটের ব্যবধানে দুটি গোল। দুটোই করলেন কোরিয়ার সেন্টার ফরওয়ার্ড চো গুই সং। প্রথমটা লির সেন্টার থেকে। দ্বিতীয়টা কিমের ক্রস থেকে। দুটো হেড রকেট গতিতে ভেঙে দিল ঘানার প্রতিরোধ। কেন বিশ্বকাপের ইতিহাসে দক্ষিণ কোরিয়া ইতালি এবং জার্মানিকে হারিয়েছিল সেটা প্রমাণ করল দুর্দান্ত কামবাকে।
কিন্তু ডিফেন্সের ভুলে আবার ৬৮ মিনিটে গোল হজম করল তারা। বা পায়ের শটে নিজের দ্বিতীয় গোল পেয়ে গেলেন মহম্মদ কুদুস। তবে এরপরেও লড়াই চালিয়ে গিয়েছিল দক্ষিণ কোরিয়া। লি র ফ্রিকিক বাঁচিয়ে দিলেন ঘানার গোলরক্ষক।
দক্ষিণ কোরিয়া দলটা উদ্বুদ্ধ ফুটবল খেললেও তাদের সেরা ফুটবলার সং হিউ মিন আজ তুলনামূলক নিজের সেরা পারফর্মেন্স তুলে ধরতে ব্যর্থ। তাই শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপ থেকে প্রায় বিদায় ঘন্টা বেজে গেল দক্ষিণ কোরিয়ার। গ্রুপের শেষ ম্যাচে পর্তুগালকে তারা হারাতে পারবে এমন সম্ভাবনা খুব একটা নেই। তবে ফুটবলে মিরাকেল হয়।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Fifa world Cup 2022, Ghana, South Korea