#প্যারিস: ইউরোপের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার তিনি। লেওয়ান্ডোস্কি এবং তাঁকেই বিশ্বের সেরা বক্স স্ট্রাইকার হিসেবে ধরা হয়। যোগ্যতা নিয়ে সংশয় ছিল না কখনই। কিন্তু অতীতের একটা ছোট্ট ভুল লে ব্লু জার্সি পাওয়া থেকে বঞ্চিত করে রেখেছিল তাঁকে। ব্রাত্য হয়ে না থাকলে ফ্রান্স জাতীয় দলের হয়ে আরও অনেক বেশি গোল করে ফেলতেন তিনি। ২০১৫ সাল নাগাদ বিতর্কে জড়িয়ে পড়ার পরে দল থেকে ছিটকে যেতে হয়েছিল বেঞ্জেমাকে। জানা যাচ্ছে, এত দিন দলের বাইরে থাকার জন্য দেশঁকেই দায়ী করে এসেছেন এই স্ট্রাইকার। ঘনিষ্ঠ মহলে বলেছেন, ‘দেশঁ বর্ণবিদ্বেষী। আমার চামড়ার রংটা ওর পছন্দ নয়।’
উল্টোদিকে ফরাসি কোচও গোঁ ধরে ছিলেন, বেঞ্জেমাকে ফেরাবেন না। কিন্তু রিয়ালের হয়ে গত মরশুমে বেঞ্জেমার দুরন্ত ফর্ম ছবিটা বদলে দিতে থাকে। গত মরশুমে লা লিগায় ২৩টি গোল করেন তিনি। ন’টি ক্ষেত্রে গোল করতে সাহায্য করেছিলেন। ফরাসি জনতার আবেগও তখন বেঞ্জেমামুখী হতে শুরু করে। এই পরিস্থিতিতে দেশঁ ক্রমে বুঝতে পারছিলেন, ইউরোয় তাঁকে জাতীয় দলের বাইরে রাখা কঠিন হয়ে যাবে। দেঁশর সঙ্গে জ়িদানের সম্পর্ক যে দারুণ ভাল, সে রকম কিছু নয়। কিন্তু বেঞ্জেমার দলে ফেরার পথে সেটা আর বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি।
জানা যাচ্ছে, বেঞ্জেমাকে দলে নেওয়ার আগে তাঁকে নিয়ে আলাদা করে বৈঠকও করেন দেশঁ। দেশঁ বুঝিয়ে দিতে চেয়েছিল, দলে নিলেও কোনও রকম বিশৃঙ্খলা বরদাস্ত করা হবে না, কোচের কথাই হবে শেষ কথা। দু’জনের মধ্যে ঘণ্টা খানেকের বেশি কথাবার্তা হয়েছিল সে দিন। তার পরেই দল ঘোষণা হয়। বিশ্বকাপজয়ী ফ্রান্সকে ইউরোর শেষ ষোলোয় তোলার পরে ফরাসি ফুটবলপ্রেমীদের কাছে অবশ্যই নায়ক হয়ে উঠেছেন বেঞ্জেমা।
কিন্তু জ়িদানকেও ভুলছেন না তাঁরা। ফ্রান্সে জ়িদান প্রায় ঈশ্বরের সমান। দেশঁর জনপ্রিয়তা ওর কাছে কিছুই নয়। সবাই বুঝতে পারছে, বেঞ্জেমাকে ক্ষুরধার করে তুলতে জ়িদানের অবদানটা ঠিক কোথায়। ফরাসি কোচ নিজেও জানেন করিম যে জাতের স্ট্রাইকার, একবার যখন তিনি গোল পেতে শুরু করেছেন, নক আউট পর্বে তাঁকে থামিয়ে রাখা মুশকিল।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: EURO 2020 Copa 2021, Euro Cup 2020