বার্সেলোনা: ২ (ডেভিড অ্যালাবা-৭' আত্মঘাতী, লুইস সুয়ারেজ-৫৭')বায়ার্ন মিউনিখ: ৮ (মুলার- ৪',৩১', পেরিসিচ-২১', সার্জি-২৭', কিমিচ-৬৩', লেওয়ানডস্কি-৮২', কুটিনহো-৮৫',৮৯' )
#লিসবন: অবিশ্বাস্য! ভাবা যায় না...! ম্যাচের স্কোরলাইন দেখলে এই কথাগুলিই যে কোনও মানুষের মুখ থেকে বেরোবে ৷
অবিশ্বাস্য ব্যাপারটাই শুক্রবার রাতে ঘটে গেল লিসবনে। লিওনেল মেসির বার্সেলোনাকে ৮–২ গোলে বিধ্বস্ত করেই উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে উঠে গেল বায়ার্ন মিউনিখ।
চেলসিকে নিয়ে ছেলেখেলা করে কোয়ার্টার ফাইনালে মেসির বার্সেলোনার মুখোমুখি হয়েছিল বায়ার্ন মিউনিখ ৷ মেসি বনাম রবার্ট লেওয়ানডস্কি দ্বৈরথ নিশ্চিত হতেই বায়ার্নের কিংবদন্তি লোথার ম্যাথাউস জানিয়ে দিয়েছিলেন, লিসবনে শুক্রবার জিতবে তাঁর পুরনো ক্লাবই, পারবে না বার্সা। এদিন তাঁর ভবিষ্যদ্বাণী অক্ষরে অক্ষরে মিলে গিয়েছে ৷
ম্যাচ শুরুর আগে বাজির দরে বায়ার্নই এগিয়ে ছিল। কিন্তু তাই বলে বায়ার্ন ক’গোলে জিতবে সেই বাজিতে নিশ্চিত ভাবেই কেউ ৮–২ গোলের কথা ভাবেননি। কী ভাবেই বা ভাববেন, বার্সেলোনা সেই কবে এক ম্যাচে ৮ গোল খেয়েছে তা কারোর পক্ষেই মনে রাখা সম্ভব নয়। লিসবনে বায়ার্ন ৯০ মিনিটে বার্সাকে ছাড়খার করে দেওয়ার পর পুরনো সেই রেকর্ড ঘাটতে বসতে হল সবাইকে। সেই ১৯৪৬ সালে শেষ বার একটি ম্যাচে ৮ গোল খেয়েছিল বার্সেলোনা। ১৯৪৬ সালে কোপা ডেল রে-তে সেভিয়ার কাছে ৮–০ গোলে হেরেছিল বার্সা।
ম্যাচের ৪ মিনিটেই মুলারের গোলে এগিয়ে যায় বায়ার্ন মিউনিখ ৷ এরপর ৭ মিনিটে আত্মঘাতী গোলে বার্সেলোনা সমতায় ফেরে ৷ বার্সা সমর্থকদের গোলের উৎসব ওই পর্যন্তই ৷ কারণ এরপর মুলার, পেরিসিচ, সার্জি, কিমিচ, লেওয়ানডস্কি, কুটিনহো- প্রত্যেকে একে একে গোল করে দলের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেন ৷ এই ম্যাচ অনেকটা ২০১৪ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে জার্মানির কাছে ব্রাজিলের ৭ গোল হজম করার দিনটাকেই মনে করাল ৷ ফের জার্মান গোল মেশিনের কাছে খড়কুটোর মতো উড়ে গেল বিপক্ষ ৷