পর্তুগাল -৩ (গুয়েরেরো, রোনাল্ডো-২)
হাঙ্গেরি -০
#বুদাপেস্ট: পাঁচ বছর আগে এই হাঙ্গেরির বিরুদ্ধে ইউরো কাপের ম্যাচে আটকে গিয়েছিল পর্তুগাল। সেদিন খেলার ফল ছিল ৩-৩। জোড়া গোল করে নিশ্চিত হার বাঁচিয়েছিলেন রোনাল্ডো। আজ পুস্কাস স্টেডিয়ামে আবার আটকে যেতে বসেছিল পর্তুগাল। হাঙ্গেরির লড়াকু ফুটবল ভেদ করতে পারছিল না পর্তুগিজরা। ফিফা তালিকায় পর্তুগাল পঞ্চম স্থানে। হাঙ্গেরি ৩৭ নম্বর স্থানে।
মানের বিচারে অনেক এগিয়ে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন পর্তুগাল। কিন্তু নিজেদের ঘরের মাঠে স্টেডিয়াম ভর্তি দর্শকের সামনে হাঙ্গেরি লোক বাড়িয়ে ডিফেন্স শক্ত করেছিল। কিছুতেই ওপেন স্পেস পাচ্ছিলেন না রোনাল্ডো, ব্রুনো ফার্নান্দেজ, বার্নাড সিলভারা। কিন্তু পর্তুগালের কোচ ফার্নান্দোর একটা পরিবর্তন বদলে দিল ম্যাচের ভাগ্য। দিয়েগো জোতার পরিবর্তে নিয়ে এলেন রাফা সিলভাকে। বদলাতে শুরু করল পর্তুগালের ভাগ্য।
৮৪ মিনিটে রাফার পাস ধরে শট নেন গুয়েরেরো। বল ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে জড়িয়ে যায় জালে। ঠিক তিন মিনিট পর পেনাল্টি পেল পর্তুগাল। এবার সেই রাফাকেই বক্সে ফেলে দিলেন হাঙ্গেরির ডিফেন্ডার। গোল করতে ভুল করেননি রোনাল্ডো। অতিরিক্ত সময় অফসাইড ভেবে দাঁড়িয়ে পড়েছিল হাঙ্গেরি ডিফেন্স। গোলরক্ষককে কাটিয়ে নিয়ে বল জালে জড়িয়ে দিলেন পর্তুগিজ তারকা।
জোড়া গোল করে পেরিয়ে গেলেন প্লাতিনিকে। ইউরোয় এতদিন যে রেকর্ড ছিল ফরাসি কিংবদন্তির দখলে, সেই রেকর্ড ভেঙ্গে দিলেন রোনাল্ডো। ম্যাচের শুরু থেকে দেখে বোঝা যায়নি হাঙ্গেরি তিন গোলে ম্যাচটা হারতে পারে। প্রতিটা ইঞ্চিতে লড়াই করছিল তারা। দর্শকদের চিৎকার কাজটা সহজ করে দিয়েছিল। কিন্তু দিনের শেষে কোয়ালিটি পার্থক্য গড়ে দেয়। এদিন যেমন দিল। আন্তর্জাতিক গোলের ক্ষেত্রে রোনাল্ডোর সংখ্যা দাঁড়াল ১০৬। আর তিনটে গোল করলেই ইরানের আলি দাইকে স্পর্শ করবেন তিনি।এই জয় প্রমাণ করল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন দল নিজেদের সেরা ছন্দেই টুর্নামেন্ট খেলতে এসেছে। রোনাল্ডো নিজেই স্বীকার করেছেন ইউরো চ্যাম্পিয়ন দলের তুলনায় এই দলের মান বেশি।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Euro 2020, EURO 2020 Copa 2021