#কলকাতা : উইং ধরে একজনের দৌড় শুরু হলেই অন্যজন পৌঁছে যায় পেনাল্টি বক্সের আশেপাশে। যেন গন্ধ পায় গোলের ঠিকানা লেখা মাপা সেন্টার কিংবা ডিফেন্স চেরা থ্রুর। এরপর ঠিক কম্পাস মাপা থ্রু বা সেন্টার। দ্বিতীয় জনের সৌজন্যে তারপর বল জড়িয়ে যায় তিন কাঠির জালে। এটিকে-মোহনবাগানের প্রবীর দাস ও রয় কৃষ্ণা জুটির কথাই বলছি। ইতিমধ্যেই বিশেষজ্ঞদের নজর কেড়েছে ইন্ডিয়ান সুপার লিগের এই জুটি। উইং ধরে প্রবীরের দৌড় আর ঠিকানা লেখা সেন্টারে রয় কৃষ্ণার গোল। লাল-সাদা জার্সির পর সবুজ-মেরুন জার্সিতেও প্রবীর ও কৃষ্ণর ম্যাজিক চলছে আইএসএলে।
মাঠে কিংবা মাঠের বাইরে ফিজির স্ট্রাইকারের সঙ্গে কলকাতার উইং ব্যাকের রসায়নটা দুর্দান্ত। টিম হোটেলে দু’জনকে একসঙ্গে দেখলে এটিকে-মোহনবাগান কোচ অ্যান্তোনিও লোপেজ হাবাস মজা করে বলেন, ‘বিয়েটা কবে করছো তোমরা?’ কোচের কথায় মজা পান রয় কৃষ্ণা–প্রবীর দাস জুটিও।
টিম হোটেলে অবসর সময় কাটানো থেকে অনুশীলন। এক ফ্রেমে ফিজি, কলকাতার দুই তারকা ফুটবলার। এমনকী, গোয়ার টিম হোটেলে পাশাপাশি ঘরে থাকায় একেক দিন সকালে অনবরত কলিং বেল বাজিয়ে প্রবীরকে ঘুম থেকে তুলেও দেন কৃষ্ণা। সতীর্থ প্রীতম, প্রণয়রা বলেন, প্রবীরের মা–কে কৃষ্ণাও ‘মা’ বলেই ডাকেন। গত মরশুমে প্রবীরের সোদপুরের বাড়িতে দু’বার ঘুরতে গেছেন কৃষ্ণা। মধ্যাহ্নভোজে জমিয়ে বাঙালি রান্না খেয়ে দারুণ খুশি ফিজি তারকা। মটন ফেভারিট। এবার নিজের দেশ ফিজিতে নিয়ে গিয়ে প্রবীরকে রিটার্ন গিফট দেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন রয়। আইএসএল শেষ হলে, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ফিজি যেতে পারেন প্রবীর। ইতিমধ্যে রয়ের বন্ধুমহলেও দারুণ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন প্রবীর।
PARADIP GHOSH