#গোয়া: নিজেদের শেষ ম্যাচে বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে জয় পেলেও শুক্রবার ড্র করল এস সি ইস্টবেঙ্গল।
কেরল ব্লাস্টার্স গোল করে এগিয়ে গেলেও অতিরিক্ত সময়ের শেষ মিনিটে গোল করে হার বাঁচালো লাল হলুদ। ম্যাচের প্রথমার্ধে ছিল গোলশূন্য। তবে দুই দলই গোলের মুখ খুলে ফেলেছিল বেশ কয়েকবার। প্রথম থেকেই বেশ ওপেন ফুটবল খেলছিল দুটো দল। কেরলের হয়ে মারে দুবার, রোহিত কুমার একবার সহজ সুযোগ মিস করেন। অন্যদিকে রফিক, মাগোমারাও বক্সের ভেতর লক্ষ্যে অবিচল থাকতে পারেননি। তবে ম্যাচে লাল-হলুদের বল দখল ছিল বেশি। কেরলের সাহাল, পেরেরা এবং মারের পায়ে বল পড়লে মনে হচ্ছিল বিপদ ঘটতে পারে।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধের কুড়ি মিনিট নাগাদ কেরল গোলরক্ষক অ্যালবিনো গোমেজ একটা লম্বা বল বাড়িয়েছিলেন। কেরলের স্ট্রাইকার জর্ডান মারে বলটা শরীর দিয়ে আড়াল করে যখন ছুটছেন তখন তাঁর গায়ে লেগে রয়েছেন দুই লাল-হলুদ ডিফেন্ডার। কিন্তু তাও বল জালে জড়াতে ভুল করেননি অস্ট্রেলিয়ান লিগে খেলে আসা স্ট্রাইকার। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে নতুন ফুটবলার অজয় ছেত্রীর তোলা বল পায়ে লাগলেই যেখানে গোল হয় সেটা সহজে মিস করলেন দ্বিতীয়ার্ধে নামা হালাওয়ে। তবে এদিন ব্রাইট খুব একটা ঝলক দেখাতে পারলেন না। শেষমুহূর্তে তাঁর তোলা কর্নার থেকে গোল হল বটে, কিন্তু অন্য দিন তিনি যেমন ওয়র্কলোড নিয়ে থাকেন, সেটা এদিন দেখা গেল না। প্রথমদিকে প্রচুর ভুল করছিলেন স্কট নেভিল। কিন্তু শেষ কয়েকটি ম্যাচে উন্নতি করেছিলেন তিনি। আজ কর্নার থেকে হেডে গোল করে দলকে হারের মুখ থেকে উদ্ধার করে আনলেন। স্টেনম্যানের জায়গায় দ্বিতীয়ার্ধে নামানো হল চোট কাটিয়ে আসা পিলকিংটনকে। এই ড্রয়ের ফলে লিগ টেবিলে নয় নম্বরে রইল লাল হলুদ। তাঁদের সংগ্রহে এগারো পয়েন্ট। ম্যাচ শেষে লাল হলুদ কোচ দাবি করলেন ম্যাচটা তাঁদের জেতা উচিত ছিল। তবে দলের খেলায় তিনি খুশি। শেষ মুহূর্তে গোল শোধ করা প্রমাণ করে এই দলটা হারার আগে হারতে চায় না। এটাই প্রমাণ করে আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে রয়েছে